জ্বালানি তেল উত্তোলন, বিতরণ ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত পেট্রোল পাম্প মালিক ও শ্রমিকরা পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছেন। একটি অংশ জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে আজ রোববার রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন, বিতরণ ও পরিবহন বন্ধের ডাক দিয়েছে, অন্যপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সরকারের আশ্বাসের কারণে সবকিছু স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ধর্মঘটে যাওয়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের এক কর্মকর্তা। অন্যদিকে ধর্মঘটে যাওয়া সংগঠনের নেতারা জানান, সরকার শুধু একটি দাবি মেনেছে। আজকের ধর্মঘট আগামীকাল সোমবার প্রত্যাহার হতে পারে।
গতকাল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর আহসান উদ্দিন পারভেজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাদের দাবি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করা হয়। সে পর্যন্ত সব ডিপো থেকে তেল উত্তোলন স্বাভাবিক রাখা হবে।
অন্যদিকে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন স্বাক্ষরিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন না করায় আজ থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করা হবে। সংগঠনটির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি।
মালিক সমিতির একাংশের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন দাবি করেন, তারাই বৃহত্তর অংশ। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের একাংশের মালিক-শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে আছেন।
অন্য অংশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে সংগঠনটির পাঠানো প্যাডে দেওয়া নম্বরগুলোও বন্ধ পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন