বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১
শফিকুল ইসলাম
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪০ এএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রাজনীতিতে নির্বাচনী হাওয়া

ত্রয়োদশ সংসদ
রাজনীতিতে নির্বাচনী হাওয়া

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পাঁচ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অবশ্য গত বছর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষদিকে বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়। পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে চলতি বছরের আগস্টের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বলছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। তবে সংস্কার যেন অনন্তকাল না হয়। দ্রুত নির্বাচন না হলে কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে ১২ দলীয় জোট। অন্যান্য রাজনৈতিক দল, জোট এবং ব্যবসায়িক সমিতিসহ বিশিষ্টজন বলছেন, যত দ্রুত সংসদ নির্বাচন হবে, ততই ভালো। কেননা, নির্বাচিত সরকার ও গণতন্ত্র সুসংহত না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। ওদিকে গত সোমবার ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, দুই দেশের পারস্পরিক সার্বিক সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন সে দেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে। বিশ্লেষক বলছেন, দেশের রাজনীতিতে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনমুখী হওয়া; কিন্তু তারা সেটি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে নানা আলোচনা চলছে। শুরু হয়েছে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ। অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা ইস্যুতে বাগবিতণ্ডা ও তর্কবিতর্ক যতই থাক, ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। এসবের মাধ্যমে রাজনীতিতে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ রোববার বলেছেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের আগে একটা রি-অ্যাকশন টাইম দিতে হবে। এমন ইভেন্ট আসা ঠিক হবে না, যা জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করে।’ তাছাড়া ড. ইউনূস আরও বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে সরকার এ যাবৎকালের সেরা করার পরিকল্পনা করছে; যাতে এটি গণতন্ত্রের একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে এ সরকারকে স্বাগত জানানো হলেও গত বছরের ২৪ আগস্ট দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রশ্নে ‘অতিদ্রুত’ সংলাপের দাবি জানান। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংসদ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই সংসদ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে সেই সংস্কার যাতে অনন্তকাল ধরে না হয়। এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস তার সরকারের যে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন, সেখানে নির্বাচন প্রশ্নে কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকায় ‘হতাশা’ প্রকাশ করে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন ইস্যুতে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতেও সন্তুষ্ট নয় বিএনপি। এ অবস্থায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের পক্ষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জোরালো হচ্ছে।

এদিকে গত সোমবার রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নিয়মিত সভায় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনসহ চলমান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বলেন, নির্বাচন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ছিল যে, এই বছরের শেষের দিকে অথবা পরবর্তী বছরের অর্থাৎ ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে… এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি, এক এত বিলম্বিত করার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি যে, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা মনে করি, এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এ কারণে আমরা সরকারকে আহ্বান জানাতে চাচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকেও আহ্বান জানাচ্ছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই বছরের মাঝামাঝি সময়েই মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।

মির্জা ফখরুল বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেছে এবং সরকারের ভেতরে একটা মোটামুটি স্থিতিশীলতা এসেছে। সে ক্ষেত্রে এই নির্বাচন (জাতীয় নির্বাচন) অনুষ্ঠানের জন্য মনে হয়, এই মাসে আগামীকাল সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের রিপোর্ট এসে যাবে। সুতরাং মনে হয় না, আরও বিলম্বিত করার কোনো কারণ আছে। যত বিলম্ব হচ্ছে, ততই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নই ওঠে না। আমরা আগে সংসদ নির্বাচন চাই। কারণ পুরো দেশ ও জাতির মূল ফোকাসটা হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপরে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে রাষ্ট্রযন্ত্রের সব অঙ্গ দুর্নীতি ও দলীয়করণে নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলোর সংস্কার জরুরি। সংস্কার না করে এখন নির্বাচন দেওয়া হলে ২০১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো ভোট হবে। ছাত্র-জনতার এই রক্ত বৃথা যাবে। নির্বাচন ভালো করতে গেলে কমপক্ষে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ বিভাগ, সিভিল বিভাগ, বিচার বিভাগসহ

সাত-আট জায়গায় সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে বিভিন্ন সংস্কারের জন্য প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। আমরা একের পর এক এসব প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছি। গোলাম পরওয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, আপনারা তো দেশ শাসন করতে আসেননি। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটা বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আপনি নিশ্চিত করবেন। সেটা করার জন্য যেসব অর্গান (অঙ্গগুলো) সংস্কার করা লাগে, আপনি করুন। এগুলো সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ করতে হবে।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনটা জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, সেজন্য মানুষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ, সেটা তারা পূরণ করতে চায়। আমরা বলছি, প্রয়োজনীয় সংস্কার করুন; কিন্তু সেটা কতদিন? দেশের অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বুঝতে হবে, স্থানীয় সরকার দেশ চালায় না; দেশ চালায় কিন্তু জাতীয় সংসদ, আইন প্রণয়ন করে জাতীয় সংসদ, গণতন্ত্রের মূল বিষয়টা হচ্ছে জাতীয় সংসদ। সুতরাং অবিলম্বে দেশের স্থিতিশীলতা আনতে হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নেই। দ্রুত নির্বাচনের পথনকশা ঘোষণা করতে হবে।

আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এবিসিসিআই) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকারও সামাল দিতে পারছে না। কেননা, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুণী এবং অভিজ্ঞ মানুষ। কিন্তু সরকার পরিচালনায় দক্ষ নন। এজন্য অনেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে চাচ্ছে। তবে সেটি হতে দেওয়া ঠিক হবে না। সরকারের উচিত হবে দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে হয় না। কারণ গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের সামগ্রিক দুরবস্থার সমাধান হবে না। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকলে অনেক দিক থেকেই সংকট সমাধান হয়।

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দুটি সময়সূচির কথা বলা হয়েছে; একটি এ বছরের ডিসেম্বরে, আরেকটি সামনের বছরের জুনে। আমরা বলছি, এ দুটি সময় নির্ধারণ করবে সংস্কারের কী রূপরেখা হচ্ছে, সংস্কারের গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। আমরা মনে করি, সরকার যদি আন্তরিক হয়, এটা (নির্বাচন) ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব। সংস্কারগুলো করে একটা গণ-ঐক্য বা ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। সম্ভব না হলে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এটা দু-এক মাস পেছালেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন বলেন, দেশকে একটা সঠিক জায়গায় নিতে হলে সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। বিএনপিই তো সংস্কার আগে তৈরি করেছে। ২০১৬ সালে ‘ভিশন-২০৩০’ ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ সালে ৩১ দফা দিয়েছে। বিএনপির হাত ধরেই তো সংস্কারের শুরু। সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের চূড়ান্ত রোডম্যাপ ঘোষণা দেওয়া।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, গত ৪ মাসে নির্বাচন নিয়ে সরকারকে খুব বেশি সিরিয়াস দেখা যায়নি। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা দেখা দিয়েছে। সরকার একবার বলছে ২০২৫ সালের শেষে, আবার বলছে ২০২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন দেবে। এত লম্বা সময়ের পরও নির্বাচনের সময়টা কনফার্ম করা যাচ্ছে না। সেজন্যই দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আবার সরকারের কার্যক্রমেও কিন্তু বোঝা যায়নি যে, সরকার নির্বাচন দ্রুত করতে খুব আগ্রহী। অথচ সরকারের উচিত ছিল রাজনৈতিক দল এবং নাগরিকদের বোঝানো যে, তারা দ্রুত নির্বাচন দিতে চায়। যদি না পারে বা চ্যালেঞ্জ থাকে সেটি রাজনৈতিক দল ও নাগরিকরা দেখবে; কিন্তু তারা সেটি করেনি বরং নাগরিক ও দলগুলোর কাজটা তারা নিয়ে নিয়েছে। ডিমান্ড সাইডের কাজটা সাপ্লাই সাইড নিয়ে নিয়েছে। এটা ঠিক হয়নি। ফলে ডিমান্ড সাইডে অবিশ্বাস করছে। আমি মনে করি সরকারের কার্যক্রম নির্বাচনমুখী হওয়া উচিত। কেননা, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ অনেকগুলো কাজ রয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতের যে কথা বলা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ অবান্তর এবং ভুয়া কথা। ইসি প্রস্তুত হতেই পারে না। সরকারকে খুব সিরিয়াসলি নির্বাচনমুখী হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দল এবং নাগরিকরা যাতে বুঝতে পারে যে, তারা (সরকার) নির্বাচন দিয়ে দ্রুত চলে যেতে চান। এতে সরকারের প্রতি সমর্থন বেড়ে যাবে; কিন্তু সরকার সেটি বোঝাতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হল বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

বুলডোজার দিয়ে শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙা শুরু

পাবিপ্রবিতে শেখ মুজিবুর ও শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভেঙ্গে দিলেন শিক্ষার্থীরা

‘হাজারটা লাশ মাড়িয়েও যার একবিন্দু অনুশোচনা নেই...’

রাবিতে শেখ পরিবারের নাম মুছলো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, নতুন নামে চার হল

সারজিস আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাস

জামায়াত আমিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস

এবার আ.লীগ নিয়ে বিএনপির নতুন অবস্থান

সার বিক্রিতে আ.লীগ নেতার অনিয়ম, অতঃপর... 

এবার সুধা সদনেও আগুন

১০

সৌদি আরবে বাংলাদেশি যুবক খুন

১১

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদদের রাষ্ট্রীয় খেতাব দেবে বিএনপি’

১২

সাংবাদিকদের ওপর হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

১৩

কুষ্টিয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো হানিফের বাড়ি

১৪

মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল, সম্পাদক মিন্টু

১৫

৩২ নম্বরের সর্বশেষ অবস্থা

১৬

১৫ বছরে ১৩ বার বদলি হন ডা. পলাশ

১৭

নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করুন : জামায়াত নেতা রফিকুল

১৮

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, খালেদা জিয়াকে স্মরণ করলেন ইলিয়াস

১৯

৩২ নম্বর ভেঙে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা পিনাকীর

২০
X