মহাসড়কের ঠিক পাশে তিনতলা ভবন। এর দেয়াল আর সড়কের পাশে মূল ফটকে ব্যানার টানানো, ‘দি সিটি ট্রাভেলস’, ওমরাহ বুকিং চলছে। কিন্তু ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে লম্বা সড়ক, যেন কোনো আবাসিক এলাকা। দুই পাশে প্লট। কয়েকটি ভবনে চলছে নির্মাণকাজ। গড়ে উঠছে সুউচ্চ ভবন। সড়ক ধরে এগিয়ে যেতেই দেখা যায়, জমির ওপর দেয়াল তুলে চিহ্নিত করা হয়েছে প্লট। স্টিকার সাঁটানো ‘জমজম নূর সিটি’। এ যেন বাইরে এক ভেতরে আরেক। আয়নাবাজি!
এ তো গেল প্রকল্পের অবস্থা। প্রকল্পের মালিকও কম যান না ভোল বদলানোয়। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বাসিন্দা হাফেজ নুর মোহাম্মদ বিগত সরকারের আমলে ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিএস গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর সঙ্গে ছিল দহরম মহরম। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রকল্পে অন্যতম বিনিয়োগকারী লিকুসহ প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই এতটা বাড়বাড়ন্ত নুর মোহাম্মদের। সরকার পতনের পর নুর মোহাম্মদ হয়ে যান জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাভার শাখার সভাপতি। যদিও ট্রাভেলস কোম্পানির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বহু নেতাকে দেশ ছাড়ায় তিনি সহযোগিতা করেছেন বলে খবর মিলেছে। দেশ ছেড়েছেন, কারণ তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতাকারী এবং ছাত্র হত্যা মামলার আসামি।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ঢাকার নিকটবর্তী সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের কোন্ডা, কোটিপাড়া এলাকায় গত পাঁচ-ছয় বছর আগে গড়ে ওঠে বিতর্কিত জমজম সিটি। ধলেশ্বরী নদীর শাখা বামনি খালের জলাধার ও পানি চলাচলের জলাভূমির ওপর বালু ভরাট করে গড়ে তোলা হয় এ প্রকল্প। স্থানীয়দের বাধাসহ নানা অভিযোগের জেরে আদালত, পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক এ প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে আবাসন প্রকল্প বর্ধিত করার কাজ।
সম্প্রতি সরেজমিন প্রকল্পটিতে গিয়ে ফটকের ছবি তুলতেই এগিয়ে আসেন একজন নিরাপত্তারক্ষী। পেছনে পেছনে এগিয়ে আসেন প্রকল্পের একজন পরিচালক ও কয়েকজন সাঙ্গোপাঙ্গ। উত্তেজিত হয়ে ছবি তোলায় বাধা দিতে চান তারা। পুরোটা ঘুরে দেখার উদ্দেশ্যে ভেতরে ঢুকতেই এ প্রতিবেদকের পেছনে লোক পাঠানো হয়। মোবাইল ফোন বের করতেই ছবি তুলতে বাধা দিতে চিৎকার করতে থাকেন তিনি।
সরেজমিন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, এখানে পাঁচটি কলোনি রয়েছে। প্রথম কলোনিতে দুটি তিন তলা ভবন, একটি প্রকল্প কার্যালয় এবং নদীর ওপর একটি ভবন দেখা গেল। দ্বিতীয় কলোনিতে একটি সিলিন্ডার গোডাউন ও নির্মীয়মাণ তিন তলা দুটি ভবন। তৃতীয় কলোনিতে একটি মসজিদ ও গোটা পাঁচেক ভবন। এর মধ্যে একটি নয়তলা। পরের কলোনিতে একাধিক তিন তলা ভবন আর শেষ কলোনিতে অন্তত অর্ধশত প্লটের সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে।
বামনি খাল:
কয়েক বছর ধরেই সাভারের বলিয়ারপুর এলাকায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বামনি খাল দখল করে জমজম হাউজিং কোম্পানি প্লট বিক্রি করছে। এই খাল দিয়ে এক সময়ে নানা ধরনের নৌযান চলাচল করত। স্থানীয় বাসিন্দারা বর্ষা মৌসুমে নৌকায় যাতায়াত করতেন। গত বছরও খাল দিয়ে নৌকা বেয়ে চলেছেন অনেকে। কিন্তু জমজম হাউজিং কোম্পানির মালিক হাজি নুর মোহাম্মদ লোকজন নিয়ে খালটি ভরাট করে রাতারাতি নানা ইমারত নির্মাণ করেন। এমনকি তার উদ্যোগে খালের জায়গায় চান্দুলিয়া এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সহযোগিতায় একটি মসজিদও নির্মাণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে যাদুরচর, মধুরচর, মেইটকা, তেঁতুলঝোড়া, বলিয়ারপুর, চান্দুলিয়ার শত শত মানুষ একত্র হয়ে প্রতিবাদ করেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত কমিটি করে।
প্রধানমন্ত্রীর পিএস লিকুসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ:
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে রীতিমতো প্রকাশ্য দিবালোকে বামনি খালের জলাধারের ওপর গড়ে ওঠে জমজম নূর হাউজিং প্রকল্প। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোপালগঞ্জের বাসিন্দা হাফেজ নুর মোহাম্মদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রকল্পের কার্যালয়ের পরের ভবনটিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তার মালিকানাধীন বলে জানায় প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের দাবি, লিকুর প্রভাবেই প্রশাসনের চোখের সামনে খালটি দখল করেন নুর মোহাম্মদ। লিকু ও আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতার বিনিয়োগ রয়েছে এ প্রকল্পে। নুর মোহাম্মদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাভারের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, বনগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ভাকুর্তা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেনসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে।
আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তার ছিল নিবিড় যোগাযোগ। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করতেন তিনি। আমিনবাজার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা রাসেল মোল্লার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সাধারণ জনগণের কোনো প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হলেই ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা সেখানে গিয়ে হাজির হতেন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা
২০২২ সালের ১৫ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরের এক চিঠিতে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের চার সদস্যবিশিষ্ট একটি দল জমজম নূর হাউজিং প্রকল্প পরিদর্শন করে। এতে দেখা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই নিচু জমি ও জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা ৬ (৩) অনুযায়ী জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। এর পরও ভরাট করায় এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে। এতে ক্ষতিপূরণের মূল্য ধরা হয় ২৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত প্রকল্পের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জলাশয় ও খাল দখল এবং অবৈধ স্থাপনা করার দায়ে অনুমোদনহীন জমজম নূর সিটিতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও একটি ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর জমজম নূর সিটি প্রকল্পের কাজে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এর কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে, না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের কোন্ডা বিলমালিয়া ও চান্দুলিয়া মৌজায় রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের কোনো অনুমোদন ছাড়াই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে—এমন অভিযোগে ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর একটি রিট করেন এক আইনজীবী। এর জেরেই এ স্থিতাবস্থা জারি করা হয়।
দখল-নির্যাতন:
২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে গুলিবর্ষণ ও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে জমজম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে সাভার মডেল থানার এসআই মোখলেছুর রহমানকেও লাঞ্ছিত করে আবাসন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। ওই দিন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ আলমনগর এলাকায় সরকারি খালের বড় একটি অংশসহ খাসজমি ও স্থানীয় বাসিন্দা সুজন চন্দ্র দাসের রেকর্ডীয় সম্পত্তি দখলে অস্থায়ী সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে। এ সময় এলাকাবাসী বাধা দেয়। ভুক্তভোগী সুজন চন্দ্র দাস বলেন, আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া রেকর্ডীয় ৬৩ শতাংশ জমি জমজম কর্তৃপক্ষ দখল করার জন্য বালু ভরাট করেছে।
২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট সাভারের আলমনগর হাউজিংয়ের জাকির হোসেনের মালিকানাধীন গরুর খামারে হামলা করে পাঁচটি গরু লুট করে জমজম হাউজিং প্রকল্পের লোকজন। হামলায় খামারের পাঁচজন আহত হন। খামার মালিক জাকির হোসেন বলেন, অতর্কিতভাবে জমজম নূর হাউজিং প্রকল্পের লোকজন এসে হামলা চালিয়ে দুটি বাছুরসহ তিনটি বড় গরু লুট করে। হামলায় পাঁচজন আহত হয়।
কারাভোগ:
২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট ও ১৬ সেপ্টেম্বর সাভারের সুগন্ধা হাউজিংয়ে পৃথক হামলার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। কিন্তু অল্প কিছুদিন পরই জামিনে মুক্ত হয়ে আবার শুরু করেন অবৈধ কার্যক্রম।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি:
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিকেলের দিকে আদাবর রিং রোড এলাকায় মো. সানি নামে এক ইলেকট্রিক কর্মীকে হত্যার ঘটনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর আদাবর থানায় দায়ের করা মামলায় ৩০ নম্বর আসামি করা হয়েছে হাফেজ নুর মোহাম্মদকে।
অন্যদিকে, ৫ আগস্ট সকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাজার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক ছাত্র নিহতের ঘটনায় সাভার মডেল থানায় করা মামলায় ৯৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে এই হাফেজ নুর মোহাম্মদকে।
খাল রক্ষায় পদক্ষেপ চান সংশ্লিষ্টরা:
স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব হযরত আলী বলেন, ছোটবেলা থেকে এখানে খাল দেখেছি। নিচু জমিতে পানি জমত। কিন্তু কয়েক বছর আগে জোরপূর্বক ওইখানে বালু ভরাট করে আবাসন প্রকল্প করা হচ্ছে। পানি স্বাভাবিক চলাচল করতে পারে না। পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু তারা তো সবসময় থাকে না। এই সুযোগে ওই কোম্পানি এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আইন মানছে না। আমি এই খাল ভরাট বন্ধ ও জমজম হাউজিং বন্ধে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুরোনো ম্যাপ দেখে যেটা দখল হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে আনতে সামাজিক সচেতনতা চালাতে হবে। খাল দখল ও ভরাট বন্ধে রাষ্ট্রকেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে জমজম নূর সিটি হাউজিংয়ের মালিক হাফেজ নুর মোহাম্মদকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদেবার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব দেননি। আবাসন প্রকল্পের কার্যালয়ে গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে নিজেকে ব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে কামরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি বলেন, পুরো প্রকল্পের কোনো অংশই খালের জমিতে পড়েনি। কোনো জমি দখলের অভিযোগ সত্য নয়। আইনের নির্দেশ মেনে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে এটি একটি ট্রাভেলস কোম্পানি। ভবন নির্মাণ হচ্ছে—এমন তথ্য দেখালে তিনি এ-সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি।
যা বলছে কর্তৃপক্ষ:
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইলিয়াস মাহমুদ বলেন, নির্দেশনা অমান্যের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টির খোঁজ নেব। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি জানলাম। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।