উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে। এরই মধ্যে তার লন্ডনযাত্রার ভিসার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অতি সম্প্রতি তার সঙ্গে সম্ভাব্য সফরসঙ্গী অনেকেই ভিসার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বিদেশ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার প্রক্রিয়াও চলছে, যেখানে সব চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা থাকবে। তবে ঠিক কবে নাগাদ খালেদা জিয়া রওনা করবেন, তা নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থার ওপর। এ ব্যাপারে মেডিকেল বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে অতি দ্রুত উনাকে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে অন্য একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হবে।’ ধারণা করা হচ্ছে, সেই দেশটি আমেরিকা। তবে জার্মানিতে এ ধরনের সুযোগ থাকায় লন্ডন থেকে সেখানেও যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সম্ভাব্য সফরসঙ্গী হিসেবে পরিবারের সদস্য, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, মেডিকেল বোর্ডের সদস্য, ব্যক্তিগত সহকারী, নার্স এবং দলের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ এক বা একাধিক নেতা থাকছেন। একটি সূত্রের ভাষ্য, অন্তত ১৫ জনের একটি টিম যাচ্ছে লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাবেন। ওই দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।