অতিথি ও পর্যটকদের অভ্যর্থনায় আবাসিক হোটেলে নারী বা পুরুষ রিসিপশনিস্ট থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি দেখেন, সেখানে সশরীরে কেউ নেই, তখন বিষয়টি ভৌতিক মনে হলেও আসলে বাস্তবে তা নয়! হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্কে রাখা ল্যাপটপের স্ক্রিনে তার উপস্থিতি দেখা যাবে। অভ্যর্থনাকারী তার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছেন অনলাইনে যুক্ত হয়ে অর্থাৎ ভার্চুয়ালি। সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিচ্ছেন। মাত্র দুজন নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে মুষ্টিমেয় প্রযুক্তিবিদ সশরীরে কাজ করেন হোটেলটিতে। ভারতের সবচেয়ে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ শহর বেঙ্গালুরুতে হোটেলটির অবস্থান। এভাবেই যেন এক নতুন চমক দেখাল উদ্ভাবনের এ নগরী।
অতিথিদের চেক ইন থেকে শুরু করে নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সেবা ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পেশাদারের মতো দিচ্ছেন দক্ষ আতিথেয়তা। কর্মকর্তারা হেড অফিসে বসেই সুন্দর করে সবকিছু সমন্বয় করছেন। ভারতের অন্য কোথাও এখনো প্রযুক্তির এমন অভিনব ব্যবহার শুরু হয়নি।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরু ঘুরে এসে ভার্চুয়াল রিসিপশনিস্টের ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হোটেলের পুরো অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা অনন্যা নারাং।
মুহূর্তের মধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়। ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় নেটিজেনদের মধ্যে। কেউ বিস্ময় প্রকাশ করেন, অভ্যর্থনার মতো মানবিক বিষয়ে প্রযুক্তিকে বিকল্প ভাবা হচ্ছে দেখে। আবার কেউ উদ্বেগ জানিয়েছেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়ার শঙ্কায়। কারও কাছে বিষয়টি শুধুই কৌতূহলের খোরাক। একজন আখ্যা দিয়েছেন ‘ওয়েলকাম টু ফিউচার অব হসপিটালিটি’ বলে।
ক্ষুব্ধ এক নেটিজেন লেখেন, সবার বোঝা উচিত আতিথেয়তা বা অভ্যর্থনা কখনো রোবট দিয়ে বা ভার্চুয়ালি করা যায় না। আমরা আজ যে প্রযুক্তি তৈরি করছি, আগামীকাল তা আমাদেরই জব খাবে, মনে রাখবেন। তবে ব্যঙ্গ করে আরেকজন লেখেন, ভারতে এটা নতুন হতে পারে, বিশ্বে নয়। ইউরোপ-আমেরিকায় আগে থেকেই এমনটা চালু আছে।