ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয় : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।পুরোনো ছবি

প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঢাকা সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশ্নে দ্বিধা নেই। সবকিছু মিলিয়ে ভারত তো আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। কিন্তু আমাদের পাশে আছে। আমরা বন্ধু হিসেবে ভারতকে পাশে দেখতে চাই।’

সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে ঢাকা সফররত ১১ ভারতীয় সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে ট্রাস্টেড ফ্রেন্ড আর একজনও নেই। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক। বর্তমান নরেন্দ্র মোদির সরকারের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্ব আছে। এ বন্ধুত্বের বিকাশও হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের একাত্তরের রাখিবন্ধন অটুট আছে। রক্তের রাখিবন্ধন আমরা ভুলি না, কখনো ভুলতে পারি না।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই স্মৃতিভরা। আমাদের সেই টেস্টের (মুক্তিযুদ্ধ) সময়ে ভারত ছিল বিশ্বস্ত, আশ্রয়দাতা।’ আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য কতটা কঠিন হবে, ভারতের সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি। থার্ড টার্ম অতিক্রম করে চতুর্থ টার্মের জন্য আমরা নির্বাচনে যাব। গতবারের চেয়ে আরেকটু টাফ হবে। একটা ব্যাপার হলো কস্ট অব লিভিং সামাল দিতে ব্যর্থ হলে ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে।’

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে ২৫ জন এবং আসাম ও গৌহাটি থেকে ৯ সাংবাদিক বাংলাদেশ সফরে আসেন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com