দুই বছর আগে রাজধানীর কলাবাগানে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাজরিন মোস্তফা মৌমিতা। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে তার পরিবার। সেই মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে তদন্তে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। তাই শিগগির তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং এজাহারভুক্ত আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পরিবারের করা হত্যা মামলার তদন্তে নেমে আমির হামজা আদনানকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার কাছে হত্যার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও মৌমিতা ছাদে উঠার আগে-পরে অন্য কাউকে ছাদে উঠতে দেখা যায়নি। ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগেরও সত্যতা মেলেনি। বিষয়টি এরই মধ্যে বাদীকে জানানো হয়েছে।
২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভবনের ছাদে ওঠেন মৌমিতা। সন্ধ্যার দিকে পরিবার জানতে পারে, মৌমিতা ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে রায়েরবাজার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ওই বছরের ১ মার্চ রাতে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন মৌমিতার বাবা কামাল মোস্তফা খান শামীম। ফরহাদ আহমেদ ফাইজার, আমির হামজা আদনান, তানভীর, ত্রিনয়ন ও অপরাজিতাকে আসামি করা হয়। অভিযোগ ছিল, মাঝেমধ্যে বিকেলে ছাদে উঠলে মৌমিতাকে উত্ত্যক্ত করতেন ওই বাড়ির মালিকের ছেলে ফাইজার। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এতে ফাইজার ও তার বন্ধুরা জড়িত থাকতে পারেন।
মৌমিতার বাবা কালবেলাকে বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করবে, এমন কোনো ধরনের ঘটনা ছিল না। পুলিশ তদন্তে হত্যার অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছে। আমরাও চাই যেন নির্দোষ কেউ ভুক্তভোগী না হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। ময়নাতদন্ত, ফরেনসিকসহ অনেক রিপোর্ট থাকায় তদন্ত শেষ করতে দেরি হয়েছে। শিগগির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।