মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ দুজন গুলিবিদ্ধ ও উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে এ সংঘর্ষ। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে কংশুপুরা, মুন্সীকান্দি, বেহেরকান্দি, ঢালীকান্দি, নোয়াদ্দা ও লক্ষ্মীবেদী গ্রামে।
গুলিবিদ্ধরা হলো—কংশুপুরা মনু মোল্লার ছেলে পরান মোল্লা (১২) ও পুরাবা জারের শাহজালাল মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (১৮)। তাদের মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, তাদের দুজনের চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গুলির স্প্লিন্টারের আঘাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার শুরু ঢালীকান্দি আজিজ কুরানীর বাড়ির পাশে। সেখানে জনি নামে একজনকে মারধর করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কল্পনার লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে যান মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এএসআই মিজান ও মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিট পুলিশের এসআই লিটু গাজি। এর মধ্যে শিপন পাটোয়ারীর লোকজনের সঙ্গে কল্পনার লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এতে দফায় দফায় ককটেলের বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও গুলি ছোড়া হয়। এ সময় এক শিশুসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হন।
সদর থানার এএসআই মিজান জানান, সংঘর্ষ চলে কয়েক ঘণ্টা ধরে। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কাউকে আটক করা হয়নি।