চার দফায় মেয়াদ বাড়ানো হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন কাজে নেই চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি। পাঁচ বছরেও মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। লেক খননের কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হলেও মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদনের জন্য কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে জমি অধিগ্রহণের পর সীমানা প্রাচীরের নির্মাণকাজ শুরু হলেও বাকি আছে ৫৮ শতাংশ কাজ। ফলে মেয়াদ বাড়লেও ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুরান ঢাকায় জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ২০১৬ সালের আগস্টে কেরানীগঞ্জে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের কার্যনির্বাহী পরিষদে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনে ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার প্রকল্প পাস হয়।
২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এর মাধ্যমেই ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন, পরিকল্পনা ও প্রকৌশল ভবন নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, লেক ও পুকুর খনন, সংযোগ সেতু, অভ্যন্তরীণ সারফেস ড্রেন ও মাস্টারপ্ল্যানের কাজ করার কথা ছিল।
জানা যায়, নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের ঘোষণার পাঁচ বছরে ১৮৮ দশমিক ৪ একর জায়গা অধিগ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০০ একরের ক্যাম্পাসের এখনো ১১ দশমিক ৬ একর জমি অধিগ্রহণ বাকি। অধিগ্রহণের সেই ফাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এখন আটকে আছে ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে। এদিকে, সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংডম গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ৩০ জুনের মধ্যে তা শেষের কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি সে সময় পর্যন্ত মাত্র ৩৮ শতাংশ কাজ শেষ করে। পরে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রকল্প পরিচালকের কাছে আবেদন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ার হেলালউদ্দিন বলেন, সর্বশেষ দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের পুকুরের কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদনের পরে লেকের কাজ শুরু হবে। জমি ভরাটের টেন্ডারসহ চলতি মেয়াদ শেষের আগেই অনেক কাজ বাস্তবায়ন হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ সীমানা প্রাচীরের বিষয়ে বলেন, এ কাজ শেষ হওয়ার কথা আরও আগে। কিন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ ধীরগতির মনে হচ্ছে। তারা কাজের জন্য বিল তুলতে চাচ্ছে। কিন্তু আমরা কাজের অগ্রগতি যাচাই করে বিল তোলার অনুমতি দেব।