দেশের ১০টি গ্রামে স্মার্ট এগ্রিকালচার পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, পানি ও সার কীটনাশকসহ সার্বিকভাবে খরচ কমানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কৃষিতে ইন্টারনেট অব থিংস, ডেটা এনালিটিক্স, ড্রোন, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্সের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের তাগিদও দেন পলক।
গতকাল সোমবার সিংড়া উপজেলার কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন জুনাইদ আহমেদ পলক। উপজেলার ছয় হাজার ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিংড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী, ১২নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ এলাকার কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা সময়মতো ন্যায্য মূল্যে সার, তেল, বীজ ও বিদ্যুৎসহ সবকিছুতে সহযোগিতা পাচ্ছে বলেই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে স্মার্ট কৃষি কার্যক্রম শুরু করছি।
পলক আরও বলেন, স্মার্ট কৃষি কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে কীভাবে স্বল্প সম্পদ বিনিয়োগে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমরা অধিক উৎপাদন করা যায়। আমরা অল্প পানি, অল্প সার, অল্প কীটনাশক দিয়ে যদি অধিক পরিমাণ ফসল ফলন করতে পারি তাহলে কৃষিতে খরচ বাঁচবে এবং উৎপাদন বাড়বে। এর ফলে ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব।
পরে প্রতিমন্ত্রী সিংড়া উপজেলার কৃষকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।