ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে খুলনা নগরীতে চিকিৎসকের ওপর পুলিশের হামলা-মামলার প্রতিবাদ ও নানা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন খুলনার চিকিৎসকরা। এবার তারা আরও কঠোর পথে এগোচ্ছেন। ঘোষণা দেওয়া হয়েছে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ। পাশাপাশি ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর নামে করা মামলা প্রত্যাহার না করা হলে গণপদত্যাগের হুমকিও দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে, তাদের কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। তবে ইতোমধ্যে অভিযুক্ত এএসআই নাঈমকে ক্লোজ করেছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ।
জানা গেছে, দুই দিন ধরে খুলনায় চিকিৎসকরা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার ভোর ৬টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা। তাদের অভিযোগ, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশে কর্মরত এএসআই ও কতিপয় সন্ত্রাসী ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলা, শারীরিক নির্যাতন, অপারেশন চলাকালে হক নার্সিং হোমের ওটি ভাঙচুর করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ওই পুলিশ কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের দাবিতে ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতি পালন আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএমএ। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও একমাত্র জরুরি সেবা ছাড়া কোনো রোগী দেখেননি চিকিৎসকরা।
এদিকে খুলনা মহানগরীর সাতরাস্তা মিলন চত্বরে গতকাল বৃহস্পতিবার সমাবেশ করেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। সেখান থেকে জানানো হয় এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা কর্মবিরতি স্থগিত করবেন না। পাশাপাশি নুশরাত আরার করা মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে অবিলম্বে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় চিকিৎসকরা গণপদত্যাগ করবেন বলে হুমকি দেন।
খুলনা বিএমএর সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসক নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলা করে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের এএসআই নাঈম ও তার কয়েক সহযোগী। এ সময় তারা অপারেশন বন্ধ করে দেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং পুলিশের এএসআই নাঈমসহ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে। আমরা অবিলম্বে ওই পুলিশ কর্তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; অন্যথায় গণপদত্যাগ করবেন চিকিৎসকরা।