বাংলাদেশের ৫০ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। তবে এ সাফল্য পণ্যের বৈচিত্রায়ণের গ্যারান্টি নয়। পোশাক খাত ছাড়া রপ্তানিতে তেমন বৈচিত্রায়ণ চোখে পড়ে না। বিশ্বে যে কটি জায়গায় সুযোগের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি, দক্ষিণ এশিয়া তার মধ্যে অন্যতম। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকায় বাংলাদেশের উৎপাদনশীল অর্থনীতি সামনে এগোচ্ছে না। এখানকার মূল সমস্যা অনানুষ্ঠানিক খাত নিয়ে। এটিই সামষ্টিক অর্থনীতির বড় সমস্যা।
গতকাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট স্টোরি : রুল অব ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরস ইন ড্রাইভিং ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান অর্থনীবিদ হ্যান্স টিমার।
তিনি বলেন, অনানুষ্ঠানিক খাতে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎপাদন খাতের এক দশমিক পাঁচ শতাংশ এড়িয়ে যায়, আর এক শতাংশ সরাসরি বর্জন করে। ৯৭ শতাংশ ফ্যাক্টরি তাদের বহিরাগত হিসেবে মূল্যায়ন করে। অনানুষ্ঠানিক খাতের এ প্রতিষ্ঠানগুলো ই-কমার্সে যুক্ত হওয়ার পর তাদের বিক্রি ও ব্যবসা বেড়েছে।
হ্যান্স টিমার বলেন, লিঙ্গবৈষম্য থেকে শুরু করে ধর্ম, এমনকি জন্মস্থানের বৈষম্যও এখানে প্রবল। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে এ অঞ্চলে জন্মহার কমলেও শ্রমে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ৩৬ শতাংশ।
প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ শিক্ষায় এগিয়েছে, তবে পিছিয়ে আছে দক্ষতায়। নারীরা এ মুহূর্তে শ্রমবাজারে আসতে পছন্দ করছেন। সরাসরি বিদেশি অর্থায়ন আনার সময় এখনই।
বিআইডিএসের গবেষক কাজী ইকবাল বলেন, দেশের অনানুষ্ঠানিক খাত নিয়ে কাজ চলছে। তবে সমস্যা হলো, গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা পড়াশোনা শেষ করে কোথায় চাকরি নেবে সেটাই বড় চিন্তার। গ্রামে সে ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, দেশের উদ্যোক্তারা সমস্যা সত্ত্বেও যেভাবে উন্নয়ন ঘটিয়েছে তা বিস্ময়কর।