
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দের কেউ নেই—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ঢাকায় দায়িত্ব পালনের বর্ষপূর্তিতে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যতের পথ’ শীর্ষক এক নিবন্ধে গতকাল বুধবার পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যাত্রাপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আসন্ন সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে পছন্দের কেউ নেই, তবে তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চান। যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের সরকার তারাই নির্বাচন করবে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব—একথা উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সরকার, মিডিয়া থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নাগরিক সমাজ থেকে রাজনৈতিক দল—প্রত্যেকেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের কেউ যদি নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় বা তাদের কেউ যদি অন্যকে তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়, তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারী, রাজনৈতিক দলগুলো, সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ প্রত্যেকের আইনের শাসনকে সম্মান করা এবং সহিংসা, হয়রানি ও ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গতকাল এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের যাত্রাপথে যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের সঙ্গী ছিল, আগামীতেও থাকবে—এমন মন্তব্য করে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি এক বছর পূর্তি করতে পেরে আনন্দিত। গত এক বছরে আমার ঢাকা, সুন্দরবন, রাজশাহী ও কক্সবাজারের অনেক জায়গায় ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। শিঙাড়া, বিরিয়ানি ও মিষ্টিদই খুব ভালো লেগেছ। আমি সর্বস্তরের বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেখা করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কথা ভাবলেই একটা উপমা চলে আসে। সেটা হলো, আমি এমন একটি গাড়িতে চড়েছি, যেটা একটা সময়ের ধারা ধরে ছুটে চলছে। আমি যখন গাড়ির আয়নায় তাকাই, তখন অবাক হই, বাংলাদেশ মাত্র ৫১ বছরে কতটা এগিয়েছে। এমন একটি বাংলাদেশকে দেখতে পাই, যে দেশটি স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উন্নীত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। আমি যখন সামনের দিকে তাকাই, তখন আমি ভাবি আগামী ৫১ বছরে বাংলাদেশ কত দূর যেতে পারে।