জনগণের দোরগোড়ায় স্মার্ট সেবা পৌঁছে দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ ডিজিটাল সেন্টারের সেরা উদ্যোক্তাদের সনদ ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেছে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। প্রতি জেলা থেকে একজন নারী ও একজন পুরুষকে সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। একই সঙ্গে দেশজুড়ে ডিজিটাল সেন্টারের সেরা তিন উদ্ভাবনী নারী উদ্যোক্তাকে স্মার্ট ডিভাইস (ট্যাব) দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এটুআইর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এ ছাড়া ‘২০৪১ সালের স্মার্ট ডিজিটাল সেন্টার: উদ্যোক্তার স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার তিন বিজয়ীসহ ১৪০ উদ্যোক্তাকে পুরস্কৃত করা হয়।
স্মার্ট নাগরিক সেবাকে উৎসাহিত করতে গত বছরের ১১ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: স্মার্ট সেবা ক্যাম্পেইন ২০২২’ পালিত হয়। একসেবা রিপোর্ট বিশ্লেষণ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর রিপোর্ট পর্যালোচনা, জেলা প্রশাসনের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ, সর্বাধিক সেবা প্রদান, সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা এবং পরবর্তী ই-সেবা ক্যাম্পেইনের সেরা পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মোট ১৩৪ উদ্যোক্তাকে নির্বাচন করা হয়। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ, ভিডিও প্রদর্শনী, মাইকিং, উঠান বৈঠক আয়োজনের মাধ্যমে স্মার্ট সেবার বিষয়ে প্রচার করেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা। এ সময় বিশেষ শ্রেণির নাগরিকদের (বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ইত্যাদি) বিনামূল্যে স্মার্ট সেবা প্রদান করেন তারা। এ ছাড়া ব্যাংক হিসাব খোলা ও রেমিট্যান্স আনয়নে উদ্যোগ গ্রহণ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধিমূলক প্রচারে অংশ নেন উদ্যোক্তারা। এ ক্যাম্পেইনে সব মিলিয়ে ৭৮ লাখ ৭২ হাজার ২৯৪টি স্মার্ট সেবা প্রদান করেন ৮ হাজার ৬৬৩টি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা। এ সময় প্রায় ১০৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। রেমিট্যান্স গ্রহণ করা হয় ৬৭ কোটি টাকা। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন এটুআইর প্রজেক্ট ম্যানেজার মাজেদুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট কো-অর্ডিনেটর অশোক বিশ্বাস, ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট মাসুম বিল্লাহ, কামাল হোসেন সৈকত প্রমুখ।মন্তব্য করুন