চট্টগ্রামের সব ভবন তদারকি করতে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যেন বেইলি রোডের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। মন্ত্রী বলেন, আপনারা যেসব স্থানে অবৈধ কানেকশন দিয়েছেন, সেগুলোও বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে ষোলশহরে অবস্থিত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে প্রি-পেইড মিটার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। সে সময় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভবন করতে অথরিটির অনুমোদন ও ডিজাইন আছে কি না দেখতে হবে। ডিজাইনে রেস্টুরেন্টের অনুমোদন না থাকলে, রেসিডেন্সিয়াল বাড়িতে হোটেল, বাসাবাড়ির মধ্যে ইন্ডাস্ট্রি দেখলে লাইন কাটবেন। সেগুলো অডিট করতে মাসখানেক পর লোক পাঠাব। যদি গাফিলতি দেখি, তাহলে আপনাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, সরকার অনুমোদিত শিল্প এলাকা ছাড়া কোথাও গ্যাসের কানেকশন হবে না। আপনারা যেসব স্থানে অবৈধ কানেকশন দিয়েছেন, সেগুলোও বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, কর্ণফুলীর সব গ্রাহককে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রি-পেইড ও স্মার্ট মিটারের আওতায় আনাই মূল টার্গেট। তিনি বলেন, সারা দেশে বকেয়া প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পেতে নিয়মিত বিল দেওয়াটাও জরুরি।
এর আগে পতেঙ্গায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার প্রধান স্থাপনা এবং এসপিএম ডেসপাচ সেন্টার পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। সে সময় তিনি বলেন, মহেশখালী থেকে সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে পতেঙ্গা ডিপোতে ডিজেল ও ক্রুড ওয়েল আসবে। তেলের ডিসপাচ সেন্টারের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। এখান থেকে যাবে ঢাকার গোদনাইল ডিপোতে। সেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ হবে।
অটোমেশনের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। তবে পুরোপুরি শেষ করতে আরও তিন বছর লাগবে। জ্বালানি তেলের মজুত সক্ষমতা আগের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের নুপালিগড় থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনায় খরচ কমেছে। সে সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, বিপিসির চেয়ারম্যান ও কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।