প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে দারাজ বাংলাদেশ। চীনভিত্তিক আলিবাবা গ্রুপের মালিকানাধীন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির কর্মীর সংখ্যা এক হাজার ৭০০ থেকে কমে ৪৫০-এ আসতে পারে বলে খবর পাওয়া গেছে। কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী (সিইও) জেমস ডং।
নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বার্তায় জেমস বলেন, অনেক আলোচনার পর আমরা আরও সংকুচিত অবকাঠামোতে আসার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও দারাজ পরিবারের অনেককে বিদায় জানাতে হবে।
দারাজ বাংলাদেশ বলছে, অর্থনৈতিকভাবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে কর্মী বাহিনী কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কালবেলার সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক নাসডাক পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হতেই কর্মী বাহিনী হ্রাস করতে হচ্ছে দারাজকে। কারণ অর্ধযুগেরও বেশি সময় বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করেও মুনাফায় আসতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। নাসডাকে কোনো প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন পেতে সেটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে হয়, যা বছরের পর বছর লোকসানে থাকা দারাজের পক্ষে সম্ভব নয়।
এই বিতর্ক মাথায় নিয়ে গত জানুয়ারির শেষভাগে গ্রুপ সিইওর পদ ছেড়েছিলেন দারাজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জার্ক মিকেলসেন। প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র জানায়, পূর্ণকালীন প্রায় ৯০০ এবং চুক্তিভিত্তিক মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ৭০০ কর্মী রয়েছে দারাজ বাংলাদেশের। তবে নতুন সিদ্ধান্তে এই সংখ্যা নেমে আসবে ৪৫০-এ। চাকরি হারানো কর্মীদের মধ্যে ‘সি-লেভেল’ এর অন্তত তিনজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
তারা হলেন চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আব্দুর রউফ এবং চিফ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অফিসার ফারহানা রফিক উজ্জামান।
সূত্র বলছে, সম্প্রতি দারাজে এক নিরীক্ষা পরিচালিত হয় সিঙ্গাপুর কার্যালয় থেকে। এই নিরীক্ষায় দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের অন্তত তিনটি অনিয়ম উঠে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বাজারে কর্মীদের ঢেলে সাজাতে চায় আলিবাবা গ্রুপ। তবে এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট কমিউনিকেশন বিভাগে যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য করতে চাননি কোনো কর্মকর্তা। তবে অত্র বিভাগ জানায়, এ বিষয়ে দারাজ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে দেওয়া হবে।