গত পাঁচ মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বহুলাংশে কমেছে। একইভাবে গত বছরের রমজানের তুলনায় এ বছর বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমেছে বলে গতকাল জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমেছে। এসব পণ্যের তালিকায় রয়েছে চাল, গম, ডাল, মুরগি, ডিম, মাছ, সয়াবিন, পামওয়েল, চিনি, লবণ, আলু, টমেটো, মরিচ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও হলুদ।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মুদি দোকান ও মুরগির মার্কেট থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সংগৃহীত তথ্যে এ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের চাল (নাজিরশাইল, মিনিকেট, বিআর২৮, গুটি ও পাইজাম) এবং গমের (খোলা ও প্যাকেটজাত আটা-ময়দা) দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও গত বছরের রমজানের তুলনায় চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়া ডিমের ডজন নভেম্বরে ১৪৭ টাকা থেকে কমে মার্চে দাঁড়িয়েছে ১৩০ টাকা, বড় পাঙাশ মাছ ২৭০ টাকা কেজি থেকে ২৬০, কৈ ২১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮০, মাঝারি তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। এদিকে খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ থেকে কমে ১৬৬, বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৬৮ থেকে ১৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। খোলা চিনি ১২৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি, প্যাকেটজাত ১২৭ থেকে ১২৫ এবং প্যাকেটজাত লবণের কেজি ৪০ টাকায় স্থির রয়েছে।
মন্তব্য করুন