ফেসবুকের মতো নতুন আরেকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, নাম ‘বাংলা বুক’। নাম শুনে বুঝতে বাকি নেই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশেই তৈরি। আর এটি তৈরি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী। দীর্ঘ কয়েক মাসের পরিশ্রমের পর সাইটটি তৈরি করেন তিনি। গত শুক্রবার অফিসিয়ালি ব্যবহারের জন্য ওয়েবসাইটটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে বাংলা বুক ওয়েবসাইটটি অ্যাপস আকারে পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি অন্য যে কোনো মাধ্যমের চেয়ে নিরাপদ ও সহজ বলে দাবি বাংলা বুকের উদ্ভাবক ওই শিক্ষার্থীর। কারণ হিসেবে পুরো সাইটটিতেই ওপেন সোর্স কোডিংয়ের ব্যবহারের কথা জানান।
শিক্ষার্থীর নাম মো. মেহেদি হাসান। তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। এ ছাড়া তিনি backspace-journal নামক একটি ব্লগিং সাইটের অ্যাডমিন। কয়েক বছর ধরে লেখাপড়ার পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজও করছেন তিনি।
ইংরেজির শিক্ষার্থী হয়ে প্রোগ্রামিং ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বিষয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি কালবেলাকে বলেন, সাহিত্য পড়ে প্রোগ্রামিং করতে বাধা নেই। বর্তমানে এখন ‘Stack Overflow’-এর মতো হাজারো সাইট আছে, যেখানে ওপেন সোর্স কোড পাবেন। এ ছাড়া বহুল আলোচিত এআই প্রযুক্তি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।
মেহেদি হাসান আরও জানান, এটি পুরোপুরি আমি বানিয়েছি, তা নয়। বরং বিভিন্ন সোর্স থেকে সাহায্য নিয়ে সাইটটি তৈরি করেছি। যাতে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেরও একটা নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থাকে। আর ফেসবুক থেকে মাঝেমধ্যে তথ্য চুরির সংবাদ পাওয়া যায়। সেদিক বিবেচনায় ওপেন সোর্স কোডিং ব্যবহার করেছি। যাতে সবার তথ্য নিরাপদ থাকে। মেহেদি বলেন, নতুন এ সাইটে সব ধরনের পোস্ট করা যাবে। শেয়ার করা যাবে ছবি, অডিও ক্লিপ, ভিডিও ইত্যাদি। পেজ, গ্রুপ কিংবা ইভেন্টও তৈরি করতে পারবেন। একে অন্যের বন্ধু তালিকায় যুক্ত থাকতে পারবেন। এ ছাড়া মেসেজে সরাসরি নন-ড্রপ অডিও বা ভিডিও কল নিতে পারবেন, যা উচ্চ মানসম্পন্ন।
নতুন এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কীভাবে ব্যবহার করা যাবে—এ বিষয়ে তিনি জানান https://social.backspace-journal.com-এ শুধু নাম ও ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে।
এ ছাড়া যে কোনো সমস্যার বিষয়ে [email protected] ঠিকানায় ইমেইল করলে আমাদের ক্ষুদ্র টিম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
মন্তব্য করুন