কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা, বিচ্ছিন্ন মারামারি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহযোগিতার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং বর্তমান মেয়র সুন্দর আলী পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
নির্বাচনে ৯ হাজার ১৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুন্দর আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৯০ ভোট।
নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর পিএস এসএম অলি উল্লাহকে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমানের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেন বলে হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেন। কোনো কোনো কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।
এদিকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া কেন্দ্রে মেয়র পদে নৌকা মার্কায় ভোট না দেওয়ায় রফিজ উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে শাসায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান বলে হাবিবুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন।
দুপুর ১টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর বাড়ি লাগোয়া কেন্দ্র কৃষ্ণপুরা এনআইবি স্বপ্নডানা একাডেমি কেন্দ্রের সামনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শব্দর আলী, জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪ জন। সংঘর্ষের সময় ছোড়া ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল দীর্ঘ সময় এমপির বাড়ির বাইরে পড়ে ছিল।
মন্তব্য করুন