জয় তখন খুব বেশি দূরে নয় মোহামেডানের। হঠাৎ সাকিব আল হাসানকে নিতে বিকেএসপিতে এসে নামল একটি হেলিকপ্টার। ব্যক্তিগত কাজে দ্রুত ঢাকায় ফিরতে হতো সাকিবের। সে কারণেই নিজের বোলিং শেষ করে দ্রুত ঢাকায় ফেরেন সাকিব। এ অলরাউন্ডারের দলে ফেরার ম্যাচে লিগে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে মোহামেডান। চার হারের পর শেখ জামালের বিপক্ষে ২২ রানের স্বস্তির জয় পেয়েছে তারা।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেই রাতে ঢাকায় আসেন সাকিব। তার সঙ্গে এসেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও রনি তালুকদারও। তিন তারকার ফেরা জয়ের পেছনে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। দলকে উজ্জীবিত করেছেন সাকিব-মিরাজরা। ম্যাচের পর মিরাজই বলেছিলেন সে কথা, ‘সাকিব ভাই একটা কথাই বলেছেন যে, পেছনে যা হয়েছে ওগুলো চিন্তা করে লাভ নেই এবং ওটা ফিরেও আসবে না। আমিও একই কথা বলেছি যে, আমরা চারটা ম্যাচ হেরেছি, কিন্তু আমরা যদি এ ম্যাচটা জিতি একটা মোমেন্টাম পাব। তাহলে আমাদের পরের ম্যাচগুলো সহজ হবে।’
চার হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল মোহামেডান। দলের এমন ভরাডুবি দেখে হতাশ হয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড সিরিজে ব্যস্ত থাকা মিরাজরাও, ‘অবশ্যই আমরা সবাই হতাশ ছিলাম। যেহেতু টানা চারটা ম্যাচ জিততে পারিনি। কিন্তু খেলোয়াড়রা চেষ্টা করেছে। যেসব জায়গায় উন্নতি করার দরকার ছিল, সেগুলো নিয়ে কথা বলেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।’ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা মোহামেডানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইমরুলের সঙ্গে রনির (৩২) ৭৯ রানের জুটি ভাঙলে পরপর আরও দুই ব্যাটার হারায় মোহামেডান। মিরাজ ও সাকিব ফেরেন ব্যক্তিগত ৫ রানে। চাপের মুহূর্তে ইমরুলের সঙ্গে দারুণ জুটি হয় মাহমুদউল্লাহর। ৭৩ রানের এ জুটি ভেঙে ইমরুলকে (৮৬) ফেরান পারভেজ রাসুলি। ফিফটি থেকে দুই রান দূরে থেকে ফেরেন মাহমুদউল্লাহও। ইংলিশ অলরাউন্ডার জ্যাক লিনটটের ঝোড়ো (১০ বলে ২৪) ব্যাটে ২৯০ রানের পুঁজি পায় তারা। রান তাড়ায় শেখ জামালকে চেপে রেখেছিলেন সাকিব-মিরাজরা। সাইফ হাসান ও রাসুলির ফিফটিতে ২৬৮ রানে থামে তারা।
দিনের অন্য দুই ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ১২৪ রানে হারায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।