শনিবার আহমেদাবাদে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। রাজনৈতিক কারণে দুই প্রতিবেশীর দ্বৈরথ বরাবরই আলোচনায় থাকে। এ দ্বৈরথ আলোচিত ক্রিকেটীয় উত্তেজনার কারণেও। তেমন কিছু ম্যাচ এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক।
জাভেদ মিয়াদাঁদের ছক্কা
১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল শারজায় জয়ের জন্য ৫০ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৪৬ রান। ৬১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওই অবস্থায় ১১৪ বলে ১১৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি মিয়াদাঁদ। শেষ বলে ১৯৯২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন ছিল ৪ রান; মিয়াদাঁদ ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন!
অনবদ্য ইমরান খান
শারজায় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেন ইমরান খান। ১০ ওভারে ২ মেডেন ১৪ রানে ৬ উইকেট নেন পাকিস্তানি এ অলরাউন্ডার।
ইমরান-আগুনে পুড়ে ১২৫ রানে অলআউট হয় ভারত। লক্ষ্যটা সহজ মনে হলেও ভারতের সমন্বিত বোলিং আক্রমণে মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ভারতের ৩৮ রানের জয়ের ম্যাচ আগুনে বোলিংয়ের কারণে আলোচিত।
অজয় জাদেজা ক্যামিও
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল অজয় জাদেজার ২৫ বলে ৪৫ রানের কারণে আলোচিত। ম্যাচে ওয়াকার ইউনিসের ওপর চড়াও হয়েছিলেন জাদেজা। ওয়াকারকে ৪ বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতের সংগ্রহকে ২৮৭-তে উন্নীত করেন এ ব্যাটার। আমির সোহেল ও ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মধ্যেকার উত্তেজনার কারণেও ম্যাচটি আলোচিত। পাকিস্তানকে ৩৯ রানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারত।
সৌরভ মুগ্ধতা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সিলভার জুবিলি উদযাপনে আয়োজিত প্রতিযোগিতার বেস্ট অব থ্রি ফাইনালে শিরোপা-ভাগ্য লিখে দেওয়া ম্যাচ দুই প্রতিবেশীর ক্রিকেট দ্বৈরথের আদর্শ বিজ্ঞাপন। সাঈদ আনোয়ারের ১৪০ রানের জবাবে সৌরভ গাঙ্গুলীর ১২৪ রানের কল্যাণে ৩১৫ রানের ইনিংস টপকে জয় তুলে নেয় ভারত। ১১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় সাজানো ইনিংসের কল্যাণে গাঙ্গুলী ম্যাচসেরা হন।
শচীন টেন্ডুলকারের শাসন
লিটল জিনিয়াস ক্যারিয়ারে ভারতকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৮ রানের ইনিংস বিখ্যাত হয়ে আছে পাকিস্তানি বোলারদের শাসনের ফলে। ২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস ও শোয়েব আখতারের ওপর তাণ্ডব চালান শচীন। শোয়েব আখতারের বলে আউট হলেও তার আগেই ম্যাচের ভাগ্যটা লিখে দিয়ে গেছেন শচীন।
ফখর জামান স্পেশাল
আন্ডারডগ হিসেবে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে এসেছিল পাকিস্তান; কিন্তু ভারতকে ১৮০ রানে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা উল্লাস করে পাকিস্তান। ম্যাচের স্পটলাইট নিজের ওপর নিয়ে যান ফখর জামান। ১০৬ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলার পথে আজহার আলীর সঙ্গে ১২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। ৩৩৮ করা পাকিস্তানি প্রতিপক্ষকে ১৫৮ রানে গুঁড়িয়ে ১৮০ রানের জয় তুলে নেয়।