ব্যাডমিন্টন এশিয়ার সূচিভুক্ত প্রতিযোগিতা ‘ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ’ শুরু হওয়ার কথা ১৭ ডিসেম্বর। আসরের জন্য কাগজপত্রই প্রস্তুত করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফেডারেশনের কমিটি সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে কার্যক্রম। ব্যাডমিন্টনের মতো বিভিন্ন ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে এমন অচলাবস্থা বিদ্যমান।
১৭ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ। ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আসরের নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হওয়ার কথা। এ আসর আয়োজনের আগে সব পরিকল্পনা সাজিয়ে ব্যাডমিন্টন এশিয়া কনফেডারেশনে (বিএসি) পাঠানোর কথা কয়েক মাস আগে। কিন্তু সেটা এখনো করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।
এ প্রসঙ্গে দেশের ব্যাডমিন্টনের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন কালবেলাকে বলেছেন, ‘প্রসপেক্টাস তৈরি করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা তা বিএসির কাছে পাঠিয়ে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব আগেই চূড়ান্ত করে পাঠানোর কথা ছিল। আমরা ১০ দিন অতিরিক্ত সময় নিয়েছি।’ ব্যাডমিন্টন সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ফেডারেশনের দায়িত্বে আমি থাকি আর অন্য কেউ আসুক, আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতা হবে। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করা হয়েছে। নেতৃত্বশূন্যতার কারণে প্রথম বিচ কাবাডি বিশ্বকাপে দল পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অন্যান্য আয়োজন নিয়েও সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে আছে কাবাডি ফেডারেশন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফেডারেশনের কার্যক্রম সচল হওয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
স্থবির হয়ে থাকা জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো সচল করার জন্য কাজ করছে সার্চ কমিটি। কবে নাগাদ ফেডারেশনগুলোর কার্যক্রম সচল হতে পারে—এ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল সার্চ কমিটির এক কর্মকর্তার সঙ্গে। ওই কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেছেন, ‘আমরা কাজ করছি। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে কিছু বিষয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক হতে আরেকটু সময় লাগবে।’
নেতৃত্বশূন্যতার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে অ্যাথলেটিকসের জাতীয় দলের ক্যাম্প। রাষ্ট্রক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। ফেডারেশন সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে অপসারণ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এ অচলাবস্থার কারণে অ্যাথলেটিকসের জাতীয় দলের ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় দলের ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করা কোচরা জানিয়েছেন, ফেডারেশন থেকে দিকনির্দেশনা না পাওয়ার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ক্যাম্প। নতুন কমিটি উদ্যোগ নিলে তা পুনরায় শুরু হতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ান অ্যাথলেটিকস, এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস এবং দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসকে সামনে রেখে এ ক্যাম্প শুরু করা হয়েছিল।
অ্যাথলেটিকসের মতো সাঁতার ফেডারেশনেও অচলাবস্থা বিরাজ করছে। যে কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। ৩৫ সাঁতারু ও ৫ কোচ এবং অফিসিয়াল নিয়ে এ ক্যাম্প চলেছে প্রায় পাঁচ মাস। রাষ্ট্রক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১০ আগস্ট এ ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে এ ক্যাম্প শুরু করা হয়েছিল। ব্যাডমিন্টন, কাবাডি, অ্যাথলেটিকস ও সাঁতারের মতো অন্যান্য জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনেও অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থা দূর করাতে কাজ করছে সার্চ কমিটি, সবার দৃষ্টি ওই কমিটির দিকে।