শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আলম রায়হান
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:০১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আব্বাসের গাবগাছ এবং গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস

আব্বাসের গাবগাছ এবং গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস

গল্পটি প্রচলিত। এক লোক নবাগত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করল, তোমার নাম কী, হে? উত্তরে দ্বিতীয় লোকটি বলল, আব্বাস। প্রতিউত্তরে প্রথম লোকটি বলল, তাহলে দিলাম তোমারে গাবগাছ! দ্বিতীয় লোকটি প্রথম লোকটিকে জিজ্ঞেস করল, তোমার নাম কী ভাই? প্রথম লোকটি বলল, মকবুল। নবাগত লোকটি বলল, দিলাম তোমাকে আমগাছ। প্রথম লোকটি বলল, মিলল না তো! দ্বিতীয় লোকটি বলল, ওজন আছে, আখেরে টের পাবে!

অজ্ঞাতপরিচয় এই দুই ব্যক্তির কথোপকথনের মাজেজা প্রসঙ্গে পরে আসি। নজর ফেরানো যাক সাম্প্রতিক ঘটনাবলির দিকে। রাজনীতির মাঠে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উপস্থিতি বেশ সরব। এই সক্রিয়তা সাম্প্রতিক দৃশ্যপট। এর সমান্তরালে ক্ষমতাসীনরাও রাজপথে থাকার কসরত করছেন। এটিও সাম্প্রতিক বিষয়। বিগত বছরগুলোতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এতটা নিশ্চিন্তে রাজপথে নামতে পারেনি। আর বিরোধী দল মোকাবিলায় ক্ষমতাসীনরা ইউর সঙ্গে কিউর মতো রাজপথে কাছাকাছি-পাশাপাশি থাকার বদলে থেকেছে মুখোমুখি। মারমুখী, যুদ্ধংদেহী। এটি আমাদের দেশের রাজনীতির পুরোনো ধারা। ঐতিহ্যও বলা চলে। উত্তরাধিকার সূত্রে পাকিস্তান আমল থেকে প্রাপ্ত। এই ধারায় আমাদের দেশের প্রতিটি সরকারই হেঁটেছে। ফলে দাঁড়িয়ে এই চরদখলের মতো রাজপথ দখলে বিরোধী দলের প্রাণান্তকর চেষ্টা যেমন, তেমনই অবধারিত ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়াল সর্দারের ভূমিকা। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ এই প্রবচনের মহড়া চলে আসছে রাজপথে। আর রাজপথই যেন ক্ষমতার গুহায় প্রবেশের আঁকাবাঁকা সংকীর্ণ স্বর্ণদ্বার। কিন্তু সেই রাজপথে বিএনপি গত ১৪ বছর দাঁড়াতেই পারেনি। অথচ রাজপথেই সরকারকে পরাজিত করার স্বপ্ন দেখে আসছে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটি এবং হুংকারের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছে অনবরত। কিন্তু ফলাফলের পারদ শূন্যের কোঠা ছাড়িয়ে খুব একটা উপরে উঠতে পারেনি। কিন্তু সেই পারদই পরদেশি বন্ধুর বাতাসে এখন একশ ছুঁইছুঁই। প্রশ্ন হচ্ছে, এরপর কী?

রাজপথে সরকারি দল ও বিরোধী দল মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে নিরাপদ দূরত্বে থেকে সমানে সমান চলার নতুন ধারায় যেন এক ঘাটে জল খায় বাঘেমহিষে। বলাবাহুল্য, এর পেছনে রয়েছে বিদেশি হস্তক্ষেপের প্রভাব। সবাই জানেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির রাজপথে দাপটের অবস্থানের নেপথ্যে রয়েছে বিদেশিদের নগ্ন হস্তক্ষেপে। যার স্পষ্ট প্রকাশ ঘটে আমেরিকার নতুন ভিসা নীতির প্রভাবে। এর পরই যেন রাজনীতিতে বসন্তের বাতাস বইতে শুরু করে। রাজপথ হয়ে যায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উদার জমিন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই রাজপথ কি বিএনপিকে ক্ষমতার মসনদে নিয়ে যাবে, নাকি রাখবে পথেই? একটা গান আছে না, পথেই বেঁধেছি ঘর। রাজনীতিতে আলোচনা আছে, বিএনপির আন্দোলন বহুলাংশে বিদেশি শক্তিগুলোর চাপের ওপর নির্ভশীল। গ্যাসে যেমন বেলুন ফোলে। কিন্তু বিদেশি চাপ যদি সরকারের ওপর অব্যাহত না থাকে তাহলে বিএনপির আন্দোলনের পরিণতি কী হবে—এটি এখন প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আলোচনার মধ্যেই মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সাম্প্রতিক সফরকে ঘিরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মার্কিন পক্ষ কোনো কথা বলেনি এবং এই সফর থেকে বিএনপির কোনো অর্জন নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির সমালোচনা করে বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দেবে দাও, ভিসা নীতি দেবে দাও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাল-ভাত দিয়ে দেশের মানুষকে খাওয়াবে। আমাদের দেশকে বাঁচাবে।’ এটি বিদেশি চাপে সরকারের চিঁড়া-চ্যাপটা হওয়ার লক্ষণ, নাকি রাষ্ট্রের দৃঢ়তা, তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে।

ক্ষমতাসীন দলের ওপর প্রথমবারের মতো বিদেশি চাপ দৃশ্যমান হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। সে সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের ছয় কর্মকর্তার ওপর স্যাংশন দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের ছয় কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে বেশ নাড়া দিয়েছিল। তবে সেটি ছিল হাসের পালকে পানির মতো। অন্তত সরকার এমন ভাব দেখিয়েছে। কিন্তু অভিজ্ঞ মহল তখনই বুঝেছেন এবং বলেছেন, বিষয়টি এখানেই থেমে থাকবে না। থাকেওনি, যা সম্প্রতি অধিকতর স্পষ্ট হয়েছে। ফলে সরকার আছে বেকায়দায়। বিপরীতে ফুরফুরা মেজাজে বিএনপি। এর ধারাবাহিকতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিভিন্ন দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে সরকারবিরোধী শক্ত কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারা দলটি হঠাৎ বিভাগীয় সমাবেশ করতে শুরু করে। এতে ব্যাপক লোকসমাগমও হয়। এর মধ্যেই গত মে মাসে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে মার্কিন সরকার। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচন যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের এবং স্বজনদের ভিসা দেওয়া হবে না—এটিই হচ্ছে মার্কিন ভিসা নীতির মূল কথা। এই ভিসা নীতি ঘোষণার দুই মাসের মধ্যেই সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। বলা হয়, ভিসা নীতি এবং বিদেশি চাপে সরকার নমনীয় হওয়ায় বিএনপির কোমরে জোর বেড়েছে, বড় আন্দোলনে যেতে পারছে। এটি এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। একই সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে, পশ্চিমা চাপ না থাকলে বিএনপি কতটা মাঠে সুবিধা করতে পারবে? এ নিয়ে বেশ সংশয় আছে। যদিও বিএনপি বলছে, পশ্চিমা চাপ নয়, তাদের শক্তি জনগণ। ভাবখানা যেন এই, গ্যাসে নয়, বেলুন এমনিতেই আকাশে ওড়ে!

বাংলাদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বিদেশি তেমন কোনো চাপ না থাকলেও এবারের নির্বাচনের বেশ আগেই পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা একের পর এক আসছেন ঢাকা সফরে। আর সফর মানেই প্রকারান্তরে ইনিয়ে-বিনিয়ে চাপ। কখনো সরাসরি। এর মধ্যে সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় ধরনের সফর হয়েছে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে। তবে সফরে আসা দলটি বিএনপিসহ বিরোধী কোনো দলের সঙ্গেই যেমন দেখা করেনি। তেমনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা সংলাপ নিয়েও চাপ সৃষ্টি করেনি সরকারের ওপর। এদিকে বিএনপির দাবি কেউ শুনছে না—এমন আওয়াজ দিয়ে বগল বাজাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমেরিকানরা বিএনপিকে দিয়েছে ঘোড়ার ডিম।’ তবে বিএনপির মূল্যায়ন ভিন্ন। দলটির নেতারা বলছেন, আজরা জেয়ার সফরে মার্কিন প্রতিনিধি দল কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বৈঠক করেনি। তাদের বৈঠক হয়েছে সরকারের সঙ্গে। কিন্তু মার্কিন এ দলটি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে কোনো কিছু বলেনি, সেটা বিএনপির জন্য কতটা হতাশাজনক? এ ব্যাপারে বিএনপির বক্তব্য, মার্কিন প্রতিনিধিদল সফরে এসেছে মূলত সরকারের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে। কূটনৈতিকভাবে তাদের যা বলার সেটা তারা সরকারকেই বলে দিয়েছে। সুতরাং সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ এখন সরকারকেই নিতে হবে। এর সঙ্গে বিএনপি কী অর্জন করল, না করল তার কোনো সম্পর্ক নেই। মার্কিন প্রতিনিধিদল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপ দেবে—এমন আশা বিএনপি করেনি। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ভাষায়, ‘বিদেশি রাষ্ট্রগুলো কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলবে? ওরা তো কোনো সময়ই এটা বলেনি। আমরাও এটা প্রত্যাশা করিনি। এটা তো তারা বাইরে থেকে এসে বলবে না যে, কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু তারা স্পষ্ট করে এটা বলেছে, আন্তর্জাতিক মানের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। বাংলাদেশে কিন্তু এমন নির্বাচন হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই।’

এদিকে বিদেশিদের ভূমিকা যত কৌশলী পথেই হাঁটুক, বিএনপি সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। এটা স্পষ্ট। আরও পরিষ্কার, বিএনপির প্রধান লক্ষ্য যত না নির্বাচন, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো। কিন্তু এখানেই মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন রয়েছে। তা হচ্ছে, আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানোর মতো শক্তি কি বিএনপির আছে? এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে অনেকেরই। নির্বাচনের যখন আর ছয় মাসের মতো সময় বাকি তখন পদযাত্রার পর বিএনপির পরবর্তী কর্মকৌশলই বা কী হবে, সেটা নিয়েও আছে আলোচনা। এর মধ্যে ১৮ ১৯ জুলাই পদযাত্রার পর ২২ জুলাই রাজধানীতে যুব সম্মেলন থেকে ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু তার পর কী? পথে হেঁটে অথবা হাত-পা ছড়িয়ে বসে থেকে সরকারের পতন ঘটনো যাবে না। যায় না। তা কিন্তু এর আগে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনায় অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বলা হয়, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি তো দূরের কথা, কাছাকাছি পরিস্থিতি সৃষ্টির সক্ষমতাও নেই বিএনপি ও সমমনাদের। তবে বলা হচ্ছে, সরকারবিরোধী সব দলকে নিয়ে বিএনপি তাদের কর্মসূচিতে এখন জনসম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবে। বিএনপি আপাতত জোর দিচ্ছে রাজপথে ধারাবাহিক উপস্থিতির ওপর। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দিচ্ছে পাল্টা কর্মসূচি। বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘চূড়ান্ত আন্দোলন আসবে ধাপে ধাপে, পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’ তবে এই ধাপের চূড়ান্ত চাল যদি হয়, নির্বাচন বর্জন তাহলে তা থেকে বিএনপির এবারও কোনো অর্জন হবে না—এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞ মহল। যেমন বিফলে গেছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বর্জন। চলমান বাস্তবতায় বিএনপি একদফার আন্দোলন কীভাবে এগিয়ে নেবে, সরকারই বা সেটাকে কীভাবে সামলাবে এবং বাংলাদেশের ওপর বিদেশি চাপ শেষ পর্যন্ত কোন আকার ধারণ করবে—এসব প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর নেই। কিন্তু দুই দলের মধ্যে আলোচনার অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে যে জটিল করে দেবে, সেটা নিশ্চিত। হাতছাড়াও হতে পারে রাজনীতিকদের। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

এদিকে রাজনৈতিক ডামাডোল ছাপিয়ে ২১ জুলাই প্রকাশিত প্রধান খবর হচ্ছে, দেশের গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সন মবিলকে কাজ দিতে ইতিবাচক বাংলাদেশ সরকার। শিগগিরই এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠিত হবে। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞসহ সিদ্ধান্ত নিতে যোগ্য ব্যক্তিরা থাকবেন। অনুমতি পেলে মার্কিন কোম্পানি বাংলাদেশের অতল সমুদ্রে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। স্থানীয় মুদ্রায় যা সোয়া ৩ লাখ কোটি টাকা। এই পরিমাণ অর্থ ১০টি পদ্মা সেতুর ব্যয়ের সমান বলে বলা হচ্ছে।

রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজপথে বিএনপির রাজনৈতিক মহরার সঙ্গে দেশের গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান মার্কিন কোম্পানিকে কাজ দিতে সরকার ইতিবাচক হওয়ার খবরটি সমান্তরালে দাঁড় করানো আপাতদৃষ্টিতে খাপছাড়া মনে হতে পারে। কিন্তু এর অন্তর্নিহিত সংযোগ রয়েছে। এমনটাই মনে করেন অনেকেই। এটি সবাই না জানলেও নিশ্চয়ই অনেকেই অনুধাবন করেন, অতি ক্ষুদ্র থেকে অতিবিশাল, আকার-প্রকার-আকৃতি-প্রকৃতি যাই হোক, সবকিছুই কিন্তু চলে স্বার্থের টানে। বলাই তো হয়, পৃথিবী ঘোরে স্বার্থের লাটিমে। বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান মার্কিন কোম্পানির বিশাল প্রাপ্তির পরও আমেরিকা কেন আওয়ামী লীগকে টেনে নামিয়ে বিএনপিকে কাঁধে করে ক্ষমতায় বসাতে চাইবে? আর ধরা যাক, আমেরিকা হাসিনা সরকারকে কোনো না কোল কৌশলে ফেলেই দিল! এমনটা হলেও বিএনপির প্রাপ্তির ভরসা কী? প্রবচনই তো আছে, বেল পাকলে তাতে কাকের কী!

লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ

উইন্ডিজের প্রতিরোধ ভেঙে বাংলাদেশের স্বস্তি

টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস / ট্রাম্প ব্যবসায়ী, আমরাও একজন ব্যবসায়িক অংশীদার চাই

২০২৪ সালের হাইয়েস্ট কালেকশন দরদের : শাকিব 

নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত

রাজনীতিতে আ.লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর

নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে : মির্জা ফখরুল

খাসজমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে দুজন নিহত

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ক্রীড়াঙ্গন অন্যতম একটি মাধ্যম : আমিনুল হক 

তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

১০

আহত রানার পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

১১

ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক

১২

একদিকে প্রশান্তি, অশান্তিও বিরাজ করছে: শামা ওবায়েদ

১৩

চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

১৪

র‍্যানকন মটরসের সঙ্গে ক্র্যাক প্লাটুন চার্জিং সলুশনের চুক্তি

১৫

জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য : নয়ন

১৬

‘এক ফ্যাসিস্টকে হটিয়ে আরেক ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না’

১৭

জুলাই বিপ্লবে আহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাবুকে নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

১৮

মাদকাসক্ত ছেলেকে কারাগারে দিলেন মা

১৯

কপ২৯-এর এনসিকিউজি টেক্সট হতাশাজনক : পরিবেশ উপদেষ্টা

২০
X