জাহাঙ্গীর কবির নানক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৪, ০২:২৯ এএম
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৪, ১০:১১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিশেষ সাক্ষাৎকার

জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে আওয়ামী লীগ আপস করেনি

জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে যত আঘাত, যত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে উপমহাদেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে এত ষড়যন্ত্রের আঘাত করা হয়নি। স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে শুরু করে জনগণের কল্যাণে কাজ করা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছিল; কিন্তু পারেনি। তবু ৭৫ বছরে জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে আপস করেনি দলটি। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কালবেলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাফর আহমেদ

কালবেলা: ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ জনগণের কতটা আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পেরেছে?

নানক: ৭৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের কথা ভেবেই এদেশ পরিচালনা করে। আওয়ামী লীগ জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করছে। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই লক্ষ্য স্থির করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কাজ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের এদেশে বিচরণ ও প্রতিষ্ঠিত করেছিল জিয়াউর রহমান। তাদের হাত ধরেই এদেশের রাজনীতিতে আসে রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারদের বিচার হবে—দেশের মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা কখনো ভাবেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শুধু দেশমাতৃকার কথাই ভাবেননি, যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের রায় কার্যকর করে বিচার করেছেন। এখনো আওয়ামী লীগ একটি আদর্শিক লড়াইয়ের মধ্যে আছে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রয়েছে, তারা নিশ্চিহ্ন-নির্মূল হয়ে যায়নি—এই আদর্শিক লড়াইকে আরও বেগবান করে অসাম্প্রদায়িক সুখী-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।

কালবেলা: আওয়ামী লীগ বিএনপিকে মোকাবিলায় যতটা পরিপক্ব ও কৌশলী, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় এতটা শক্তিশালী হতে পারছে?

নানক: ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। বিশ্ব রাজনীতিতে টালমাটাল অবস্থা ও বিশ্বমোড়লদের আধিপত্য বিস্তার এবং তাদের খবরদারি ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী ও সফল।

কালবেলা: ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ কী?

নানক: প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করছেন শেখ হাসিনা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, মূল্যস্ফীতি কমানো, সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্মূল, দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যত চ্যালেঞ্জ আছে, আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করছে। বিশ্বে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্পষ্ট বিভাজন ঘটেছে। যে কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে এবং মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। আওয়ামী লীগ সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগাম টেনে মানুষকে স্বস্তিতে রাখার জন্য এবং মূল্যস্ফীতি কামানো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ৭৫ বছরেও এদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিচরণ অক্ষত। সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্মূল করাও আওয়ামী লীগের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন ঘিরে দলের মধ্যে যে কোন্দল ও গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে, তৃণমূলে সেই সমস্যার সমাধান করে দলকে আরও শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

কালবেলা: সুশাসন কায়েমে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আওয়ামী লীগ অটল কি না?

নানক: আওয়ামী লীগ একটি মাল্টিক্লাস পার্টি। এজন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, কেউ অন্যায় করলে ছাড় দেওয়া হবে না। সুশাসন কায়েমে আওয়ামী লীগ দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। প্রধানমন্ত্রী চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে অ্যাকশন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দল এবং দলের বাইরে শুদ্ধি অভিযান চলমান থাকবে।

কালবেলা: টানা ক্ষমতায় থাকার পরও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ ও দূরত্ব সৃষ্টি ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য কতটা শোভনীয়?

নানক: গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনকে বিশ্বাস করতে হবে। কোনো দল যদি দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, হত্যা খুন-গুম, জ্বালাও-পোড়াও থেকে দূরে না থাকে, আওয়ামী লীগ তাদের ছাড় দেবে না। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় আমরা দেখেছি, যারা নির্বাচন বর্জন করে ‘ভোটের বাক্স লাথি মারো’ স্লোগান দিয়ে নির্বাচনকে নস্যাৎ করেছে, সেই রাজনৈতিক দলগুলো বিলীন হয়ে গেছে। এসব রাজনৈতিক দলকে জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস, দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে জনগণের কল্যাণে সুষ্ঠু ধারায় ফিরে আসতে হবে। এ দলগুলো সুষ্ঠু ধারায় ফিরে এলেই একটি সুষ্ঠু গণতন্ত্র ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র কায়েম হতে পারে। এটা কিছু দল কখনোই চায় না। এই দলগুলো কোন ষড়যন্ত্রকারীদের প্রেসক্রিপশনে চলে? নির্বাচনকে বর্জন করে, বাধাগ্রস্ত করে জনগণের বিপক্ষে গিয়ে কোনো দল বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।

কালবেলা: জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ তরুণদের কতটুকু অগ্রাধিকার দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে?

নানক: শেখ হাসিনা তরুণদের কথা বিবেচনা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নিরলস কাজ করছেন। তরুণদের জন্যই ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করেছেন তিনি। বহু কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ায় করোনার মধ্যে সব কাজ চলমান ছিল বলেই অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। তরুণদের কথা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ এখন শিল্পায়নের দিকে ঝুঁকছে। শিল্পায়ন হলে তরুণদের কর্মসংস্থান হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট ইকোনমিক, স্মার্ট জনশক্তিতে রূপ নেবে।

কালবেলা: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বার্তা কী?

নানক: ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এ রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।

পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র জন্ম নেওয়ার পরই বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়। অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে মানুষের কল্যাণে জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য যা করার দরকার বঙ্গবন্ধু তা-ই করেছিলেন। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে যত আঘাত, যত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে উপমহাদেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে নিয়ে এত ষড়যন্ত্র ও আঘাত করা হয়নি। ৭৫ বছরে জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে আওয়ামী লীগ আপস করেনি। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এদেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে। তার পরও স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে শুরু করে জনগণের কল্যাণে কাজ করা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছিল; কিন্তু পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রবাসে থাকা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরলে তাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি করা হয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। যারা বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল, তাদের ব্যর্থ করে দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এ দেশ মুখ থুবড়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, আর স্বাধীনতার স্বাদ ও অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এদেশের জনগণ টানা চারবারসহ মোট পাঁচবার বাংলাদেশের দায়িত্ব শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছেন। যার কারণে বাংলাদেশ পাল্টে গেছে। মানুষের জীবনমান পরিবর্তন করে তিনি বিশ্বের কাছে এদেশকে রোলমডেল হিসেবে তুলে ধরেছেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বার্তা হলো নতুন প্রজন্ম এবং নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন, রাজনীতি মানুষের জন্য, মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে এবং থাকবে। অর্থনীতি মুক্তির পথ সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা, তাকে অনুসরণ করতে হবে। দুর্নীতি, অন্যায়, অশুভ আচরণ পরিহার করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। এ কাফেলায় আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে সাচ্চা দেশপ্রেমিক হিসেবে কাজ করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবি-জাবিতে দুই খুন, যা বললেন ফারুকী 

নাটোরে শিশু হত্যা মামলায় ৩ জনের ৪৪ বছর কারাদণ্ড

ইরাকে তুর্কি বিমান হামলা, ২৪ স্থাপনা ধ্বংস

দ্বিতীয় সেশনেও টাইগারদের দাপট

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষায় ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবি ঐক্য পরিষদের

ভিসার মেয়াদ শেষ আজ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে

লক্ষ্মীপুরে পিটিআই প্রশিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

সালমানকে নিয়ে যা বললেন শাবনূর

ট্রাম্পের তথ্য হ্যাক করে বাইডেনকে দিয়েছে ইরান!

শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয় বাংলাদেশের

১০

নামাজ পড়ে বাসায় যাওয়া হলো না পুলিশ সদস্য জহিরুলের

১১

বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের কানাডার দুঃসংবাদ

১২

পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাবি প্রশাসনের মামলা

১৩

জবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াস উদ্দিন

১৪

ঢাবিতে মব জাস্টিসের প্রতিবাদে ‘ব্রিং ব্যাক জাস্টিস’ কর্মসূচি

১৫

ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের পরিচয় মিলল

১৬

আ.লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডল ৭ দিনের রিমান্ডে

১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫

১৮

ঢাবি ও জাবিতে ‘পিটিয়ে হত্যা’ দুঃখজনক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত দাবি ঐক্য পরিষদের

২০
X