সুভাষ সিংহ রায়
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪, ০১:৫৮ এএম
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৪, ১২:০২ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যা দেখি যা শুনি

ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’, শক্তির উদ্বোধন

ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’, শক্তির উদ্বোধন

জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ‘কোরবানি’ কবিতায় লিখেছিলেন: “ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’, শক্তির উদ্বোধন”। কোরবানি সামাজিক রীতি হলেও আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত। আমাদের অর্থবিত্ত, সংসার এবং সমাজ তার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কোরবানি হচ্ছে সেই নিবেদনের একটি প্রতীকমাত্র। কোরবানির মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টিকর্তার জন্য তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ত্যাগ করতে রাজি আছেন কি না, সেটিই পরীক্ষার বিষয়। কোরবানি আমাদের সেই পরীক্ষার কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। কোরবানি শুধু পশু জবাই করার নাম নয়। নিজের পশুত্ব, ক্ষুদ্রতা, নিচুতা, স্বার্থপরতা, হীনতা, দীনতা, আমিত্ব ও অহংকার ত্যাগের নাম কোরবানি। প্রশ্ন থেকে যায়, এই ভোগবাদী পৃথিবীতে আমরা কতজনই তা মনে রাখতে পারছি?

বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা ‘কারাগারের রোজনামচা’ থেকে তার ঈদের দিনগুলো সম্পর্কে কিছুটা জানা যায়। জাতির পিতা কারাগারে বসে বসে ভাবতেন, পূর্ব বাংলার লোক সেইদিনই ঈদের আনন্দ ভোগ করতে পারবে, যেদিন তারা দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে এবং দেশের সত্যিকার নাগরিক হতে পারবে। কারণ তিনি ঠিকই জানতেন, পরাধীন জাতি কখনো ঈদের আনন্দ করতে পারে না। একটা ঈদের কথা জাতির পিতা লিখেছেন এভাবে: ‘আজ কোরবানির ঈদ। গত ঈদেও জেলে ছিলাম। এবারও জেলে। বন্দি জীবনে ঈদ উদযাপন করা একটি মর্মান্তিক ঘটনা বলা চলে। বারবার আপনজন বন্ধুবান্ধব, ছেলেমেয়ে, পিতামাতার কথা মনে পড়ে। আমি তো একলা থাকি। আমার সাথে কোনো রাজনৈতিক বন্দিকে থাকতে দেয় না। একাকী কি ঈদ উদযাপন করা যায়?’ যদিও এমন বেদনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ঈদের দিন পালন করতে হয়েছে।

১৯৬৭ সালের দুই বছর পর ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু ঈদ পালন করতে তার গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন। সে সময় তার মা সায়েরা খাতুন অসুস্থ ছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম সারির কবি ও লেখক নির্মলেন্দু গ‍ুণ লিখেছেন: ‘২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি গ্রামের বাড়িতে অবস্থানরত তার অসুস্থ মায়ের সঙ্গে ঈদ পালন করার জন্য স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যান। তেত্রিশ মাস একনাগাড়ে কারাবন্দি থাকার কারণে বিগত ছয় ছয়টি ঈদ উৎসবের আনন্দ থেকে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বঞ্চিত থেকেছেন। অনেকদিন পর বঙ্গবন্ধু পরিবারে ফিরে এসেছে ঈদের আনন্দ। ওই পরিবারের ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের মানুষের মনে।’

রাজনীতি ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর বেশিরভাগ সময় কেটেছে জনতার সঙ্গে। সেজন্য পরিবারকে তিনি ভালোভাবে সময় দিতে পারেননি। তাই যেবার তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করতেন, সেবার তার পরিবারে আনন্দের জোয়ার বয়ে যেত।

১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম ঈদ। সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতেই বঙ্গবন্ধু ভালোবাসতেন। স্বাধীন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন নিঃসন্দেহে ছিল ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলাদেশে তখন স্বাধীনতার পতাকা উড়ছে। বাঙালিরা ভেঙে ফেলেছে শত বছরের বন্দিত্বের শিকল। যেহেতু সদ্য মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে, দেশ গড়ার কাজ চলছে পুরোদমে। তাই ১৯৭২ সালের ঈদ ভিন্নমাত্রা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে হাজির হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে বাণী দিয়েছিলেন, তাতে লিখেছিলেন: ঈদুল আজহা আমাদের আত্মত্যাগের আদর্শ শিক্ষা দেয়। বাংলাদেশের সাহসী মানুষ দেশকে স্বাধীন করার জন্য সম্পদ ও রক্ত দিয়ে চরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি চরম আত্মত্যাগের মনোভাব নিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন সে সময়। বঙ্গবন্ধু শুধু জনগণকে আত্মত্যাগ করতে বলেননি, তিনি নিজেও সারাজীবন আত্মত্যাগ করে গেছেন। সেই শৈশব থেকে আমৃত্যু সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। তাই তো তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। সব মানুষ যেন স্বস্তিতে ঈদ উৎসব উদযাপন করতে পারেন, সেজন্য সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কর্মীদের বেতন-বোনাস পরিশোধ, ঈদযাত্রা স্বস্তিকর করা এবং বাজারে কোরবানি পশু বেচাকেনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার আগেই গার্মেন্টসসহ সব সেক্টরের শ্রমিকদের উৎসব ভাতাসহ বেতন পরিশোধ করার নির্দেশনা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ১৫ মে শ্রম ভবনে মালিক-শ্রমিক ও সরকারের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসি এবং আরএমজি টিসিসির যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শ্রমিক নেতারা জুন মাসের পূর্ণ বেতনের দাবি করেছিলেন, তবে মালিকরা মে মাসের বেতন ও বোনাস দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তবে কোনো মালিকের সক্ষমতা থাকলে জুন মাসের বেতন দিতে পারবেন। সভায় মালিকদের পক্ষে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আর শ্রমিকদের পক্ষে ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ, জাতীয় শ্রমিক জোট, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা।

ঈদে বাড়ি ফেরায় স্বস্তি আনতে সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ২৬ মে মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে হাইওয়ে পুলিশ। পরিবহনগুলোতে দক্ষ চালক ও হেলপার নিয়োগের জন্য মালিকদের অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে হাইওয়েতে মোটরসাইকেল, নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ ছোট যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রণের কথা বলেন মালিকরা। প্রতিবারের মতো এবারও ড্রোনের সাহায্যে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে হাইওয়ে পুলিশ। যানজটের জন্য দায়ী গাড়ি সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

দুই. এবার চাহিদার চেয়ে পশু বেশি। ২০২৩ সালে সারা দেশে ঈদুল আজহায় মোট ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে। চলতি বছর সারা দেশে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। ফলে গত বছরের চেয়ে প্রায় ২৯ লাখ ৪০ হাজার বেশি পশু এবার বাজারে সরবরাহ লাইনে রয়েছে। গত বছর অক্টোবরে পশুখাদ্যের কাঁচামালে আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় দেশে পশু উৎপাদন বেড়েছে।

কয়েক বছর ধরে ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আসে। তবে এ সংখ্যা কয়েক হাজারের বেশি নয়। ফলে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৩০ খাদ্যপণ্যে কর হ্রাস করায় বাজারে পণ্যমূল্য বাড়েনি। প্রতি বছর ঈদ সামনে রেখে নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়ে গেলেও এ বছর এখনো বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বাজেটে যেসব পণ্যের কর হ্রাস করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে: পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা, গ্রিন টি, মাশরুম এবং সব ধরনের ফলসহ অন্তত ৩০ পণ্য।

তিন. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির দেশ বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, একই সঙ্গে দেশের ভেতরে স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা, সব মানুষের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধাসহ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি নিয়মিত মিলছে আন্তর্জাতিক মহলের কাছ থেকে। জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রার প্রশংসায় মুখর হয়েছেন। গত ১১ জুন একই দিনে দুটি স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ। বিশ্ব শান্তি সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে এবং আগামী অন্তত দুই বছর এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

ভারত-পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। বিশ্ব শান্তি সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। শান্তি সূচকের এ তালিকায় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। গত ১১ জুন প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৪-এর প্রতিবেদন। এ তালিকা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস’। তারা জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সামরিকীকরণ এবং চলমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেশগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (জিপিআই) ২০২৪-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২ দশমিক ১২৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৯৩তম স্থানে একটি মাঝারি মানের শান্তির দেশ বলে চিহ্নিত হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, আগামী তিন বছরেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আগামী তিন বছর বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়ে ‘Global Economic Prospect’ শিরোনামে বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে যেসব দেশের অর্থনীতি আগামী বছরগুলোতে স্থিতিশীল থাকবে বা এগিয়ে যাবে, তার পর্যালোচনা করা হয়। অথচ কোনো কোনো পত্রিকা এ নিয়ে সংবাদ শিরোনাম করেছে: ‘আগামী দুই বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে থাকবে’। অথচ বিশ্বব্যাংক বলছে, আগামী অন্তত দুই বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্রমাগত বাড়বে, অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে এবং বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাবে। সংবাদের মূল সুর বদলে দিয়ে দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করাই একমাত্র কাজ।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক মন্দা ও অর্থনৈতিক সংকট হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত বড় সংকট আর কখনো হয়নি। এরপরও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৮ শতাংশ। ২০২৪, ২৫ ও ২৬ সালেও বাংলাদেশ একই হারে এই অগ্রগতি ধরে রাখবে বলে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। আগামী বছরের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময়ে বাংলাদেশের অবকাঠামোর বিস্ময়কর অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করব—এ ব্যাপারে কারও সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কোরবানি’ কবিতা যেন আমরা স্মরণে রাখি—

“আজ আল্লার নামে জান কোরবানে ঈদের পূত বোধন।

ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’, শক্তির উদ্বোধন”।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে যাব : ধর্ম উপদেষ্টা

নির্বাচনী সংস্কার সবার আগে দরকার : এ্যানি 

গুমের সঙ্গে জড়িতরা রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না : প্রেস সচিব

এক ইলিশের দাম ৬ হাজার টাকা

ইয়াং অ্যাক্টিভিস্ট সামিট ২০২৪ লরিয়েট সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি তরুণ

ছায়ানটের লোকসংগীত আসরে দেশসেরা ৫ গীতিকবির গান

চাঁদাবাজদের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পুলিশে দিন : হাসনাত আবদুল্লাহ

বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা হবেন বিপ্লবী : রিজভী 

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বোলিংয়ে টাইগাররা

সর্বস্তরের নারী প্রতিনিধিত্ব রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে না

১০

নাটোরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

১১

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া মামলা, স্ত্রীসহ ৩ জন পুলিশ হেফাজতে

১২

মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ : ধর্ম উপদেষ্টা

১৩

হঠাৎ কেন ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়াল ইরান

১৪

দলকে আরও শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন : যুবদল সভাপতি

১৫

গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের নির্বাহী কমিটি গঠন

১৬

মেহেরপুর ইসলামি আন্দোলনের উর্বর ভূমি : গোলাম পরওয়ার

১৭

রেলপথ যেভাবে পাল্টে দিয়েছে সময়ের ধারণা

১৮

‘সেন্টমার্টিনে নিষেধাজ্ঞা পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না’

১৯

‘মুডিসের প্রতিবেদনে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই’

২০
X