মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ০৩:১৭ এএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশকে পরাশক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের ধুম

বাংলাদেশকে পরাশক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের ধুম

যারে নিন্দে তারেই পিন্দে-একদম খাঁটি বাংলা প্রবাদ। মাস কয়েক আগে বা গত বছরও যারা বাংলাদেশের সরকারকে চাপে রেখেছে, তারাই এখন এ সরকারের কূটনৈতিক সঙ্গী হতে যারপরনাই উতলা। বড় বড় দেশ তথা পরাশক্তিগুলো এ ছোট দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক পাতানোর চেষ্টা-তদ্বিরে সচেষ্ট। এ চেষ্টার অংশ হিসেবে চলছে এখানে তাদের আসি-যাই কর্মসুচি। কেউ সফরে আসছেন, কেউ আসার অপেক্ষায়। তাদের কারো কারো এই অভিযাত্রা ক্ষমতাসীন সরকারের বিশেষ আস্থার দেশ ভারতের চেয়েও এগিয়ে। গেল নির্বাচনের সময়ও ভারতের সঙ্গে পশ্চিমা কিছু দেশের অবস্থানের হেরফের পশ্চিমা দেশগুলোর।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা দুদিনের সফর সেরে গেছেন। দু’দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগের অংশ হিসেবে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সফরটি মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণমূলক। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সংগে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকে তাৎক্ষণিক জানান, ভারতের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক অনেক ভালো। প্রধানমন্ত্রীর সফরে বেইজিং নয়, দিল্লিই অগ্রাধিকার পাবে এ তথ্যটিও খোলাসা করেন তিনি। ভারত সফরের পর হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর। যদিও নির্বাচনের পর চীনই প্রথম সফরের আমন্ত্রণ জানায় শেখ হাসিনাকে। ভারতে এখন চলছে জাতীয় নির্বাচন। পর্ব পর্বে চলতে থাকা এ নির্বাচনটির পর জুন-জুলাইতে হতে পারে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরটি। চীন এখানে আরো প্রাসঙ্গিক। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত সঙ্গে থাকতে চায়। দিতে চায় অর্থনৈতিক সহায়তাও। দক্ষিণ এশীয় তথা উপ-আঞ্চলিক রাজনীতি-কূটনীতির জন্য এটি একটি বড় ঘটনা।

তার ঢাকা আসা বড় মঘটনা না হলেও সম্পর্ক জোরদারের বার্তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সফরটি হাই ভলিউমের। তিন-চার দিন পর ১৪ মে আসার কথা সেই বহুল আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। তিনিও থাকবেন দু’দিন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও ঢাকা ঘুরে গেছেন তিনি। বিএনপিসহ বিরোধীমতের কয়েকটি দলের কাছে লু ছিলেন ত্রাণকর্তার মতো। উপমা হিসেবে তার নামের সঙ্গে হাওয়া বা ঝড় ব্যবহার করা হতো। আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে ক্ষমতার খোলনলচে পাল্টে দেয়ার কারিগর বলা হয় তাকে। সেই তিনিই এখন আসছেন ক্ষমতার নাট-বোল্ট বা খোলনলচে বদলাতে নয়, সম্পর্ক জোরদার করতে।

চীনা বংদ্ভূত মঙ্গোলীয় এ মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে তখন ঢাকায় রোমান্টিসিজম চলছিল ক’দিন। তিনি কাকে ফেভার করেন, কাকে কোন চাপ দেন- এ প্রতীক্ষায় ছিলেন অনেকে। সেই প্রতীক্ষার অবসান হয়নি, ঘোরও কাটেনি। বরং সবাইকে আরো ঘোরে ফেলে চলে গেছেন। র‌্যাব গত বছর খেনেকে আগের চেয়ে ভালো হয়ে গেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা কমেছে মর্মে বার্তা দিয়েছেন। ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আভাসও দেননি। নির্বাচনের আগে ভারতের শক্ত অবস্থান গোটা দৃশ্যপট বদলে দেয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রকাশ্যেই বলেছেন, ভারতের শক্ত অবস্থানের কারণে বড় বড় শক্তির বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা সফল হয়নি। নইলে বাংলাদেশে ভিন্ন পরিস্থিতি হয়ে যেতে পারতো। এ ধরনের মন্তব্যের পর আর তেমন কিছু অবশিষ্ট থাকে না। সেই পর্ব শেষে এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করাপর বার্তা দিচ্ছে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন, ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপের সমর্থকও ছিল। তা এখন অনেকটা তামাদির পর্যায়ে। এর রহস্য বা ফের অন্য জায়গায়। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ ভূ-রাজনৈতিক নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় শক্তিগুলোর সমীকরণে পরিবর্তন এসেছে। সমান্তরালে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ নিয়ে বড় শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে গেছে তাও মনে করা যায় না।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের বাড়তি গুরুত্বটা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের কারণে। এ কৌশলের অন্যতম লক্ষ্য এক দেশের ওপর অন্য দেশের আধিপত্য বিস্তার না করা। যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলের কোনো দেশের ওপর অন্য কোনো দেশের আধিপত্য চায় না। ভারত বা অন্য কোনো দেশের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েও বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে, নিজেদের আধিপত্য ঠিকই চায়। এরইমধ্যে বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র কিনেছে বহুজাতিক ৭ কোম্পানি। তথ্যটির সূত্র স্বয়ং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে অংশ নিতে বিশ্বের ৭টি বহুজাতিক কোম্পানি মাল্টি ক্লায়েন্ট সার্ভের তথ্য-উপাত্তসহ দরপত্র কিনেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কোম্পানি রয়েছে। সিরিয়ালে আছে আরো বেশ কিছু।

বাংলাদেশকেন্দ্রিক স্বার্থ উদ্ধারে ভারত-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া একাট্টা না হলেও স্বার্থগত বিষয়ে অভিন্ন। কৌশলগত বা পারিপার্শ্বিক বাস্তবতায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দম ধরেছেন। অথচ তাদের নিষেধাজ্ঞা-ভিসানীতির ওয়ার্নিংয়ে সরকার ফরোয়া না করার পরও তিনি ঢাকা-দিল্লি করেছেন। এখন অনিবার্যভাবে শ্বাস নেয়া ছাড়া করনীয় কিছু নেই হাসের। তাদের ভরসায় থাকা বিএনপিরও নিঃশ্বাস নেয়া নিয়তির মতো। এর বিপরীতে সরকারের অবস্থান ছিল ইস্পাত কঠিনের মতো। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বিশেষ করে ভোটের বিষয়ে বিদেশি চাপে চরম বিরক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো সূত্রে বা স্লিপ অব টাঙে নয়, অনেকটা জেদে-ক্ষোভে বিদেশিদের চাপের কথা বেরিয়ে গেছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জবানিতে। বলেছেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় বিভিন্ন গোষ্ঠী সরকারকে চাপ দিচ্ছে। বিএনপির সঙ্গে বসতে বলছে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের খাতির করতে হবে। তাদের ইলেকশনে আনতে হবে। এত আহ্লাদ কেন?

প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে এমন মনমর্জির পরও দৃশ্যত দমছিল না যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মতো বিদেশি বড় শক্তিগুলো। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের ম্যাসেজ ছিল আরো কড়া। সরকারের কাছে এটি ছিল ‘অযাচিত চাপ’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা’ । বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বিগ্ন হওয়া এই প্রথম নয়। এদেশটি ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে স্নায়ু যুদ্ধের জের। বিভিন্ন সময় বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর হার-জিতের পার্ট হয়েছে বাংলাদেশো। ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর স্নায়ু যুদ্ধ শেষে ইউনিপোলার বিশ্বে আমেরিকার সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সময় নতুন গতিপ্রকৃতি লাভ করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। এ সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির চালচলন চলে যায় ১৯৭২-১৯৯০ সালের বিপরীতে। ২০১৭ সালে চীন আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কফিনে উভয় দেশের পেরেক ঠুকে দেয়ায় শুরু হয় নতুন স্নায়ু যুদ্ধ। তবে, বিগত স্নায়ুযুদ্ধের সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার কখনো বাংলাদেশে আসেননি। কিন্তু এবার এলেন। এর রহস্য ও গুরুত্ব অনেক গভীরে।

এবারের স্নায়ুযুদ্ধে আমেরিকার মূল প্রতিপক্ষ চীন। বাংলাদেশ কথিত কম গণতন্ত্র বেশি উন্নয়ন তত্বে চীনকে করেছে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফেরানো হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের বিশেষ এজেন্ডা। ‌যা শেখ হাসিনার সরকারকে এক ধরনের রেড সিগনালে ফেলে দেয়। এ পরিস্থিতির মাঝেই নির্বাচন এক অর্থে শেখ হাসিনার সরকারকে রিস্ক ওভার করে দেয়। চীন-ভারত-মার্কিন রেসে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে আরো গুরুত্বপূর্ণ। মূলত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে ভারত এবং চীনের সাথে একটি ‘ভারসাম্যপূর্ণ পথে এগোচ্ছে সরকার। যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ-সিইবিআরের গবেষণা রিপোর্ট বলছে, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫ তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে আসবে বাংলাদেশ। এর আগেই ২০২৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যাবে চীন। বহুমাত্রিক এই বিশ্ব পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য মোটাদাগে সম্ভাবনার। যার জেরে বাংলাদেশকে নিয়ে চলছে বিশ্বশক্তিগুলোর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের লড়াই। কূটনীতির এ ধুমে লাভবান হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা বাংলাদেশের। সরকারের দিক থেকে প্রকাশ্যে বলাও হয়েছে, যারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকারকে চাপে

রেখেছে তারাই এখন বিশ্বময় চাপে আছে। সেই বাস্তবতায় পা ফেলেছে সরকার। বাণিজ্যের সঙ্গে কূটনীতিতেও চীন এখন অবিশ্বাস্যভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে বিট করছে। ব্যবসা বাণিজ্যে চীনের অভিজ্ঞতা হাজার হাজার বছরের, সেই তুলনায় ব্যবসার চিন্তাধারায় বহু পিছিয়ে রয়েছে মার্কিনীরা। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েও চীনকে যুক্তরাষ্ট্র কাবু করতে পারবে না বলে বিশ্লেষণে তাড়িত বাংলাদেশ সরকার। লোকসভা নির্বাচনসহ অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ের চাপের মধ্যে ভারতও হাল ছাড়ছে না। এসবের বাইরে বাইরে প্রতিবেশি আরেক দেশ মিয়ানমার পরিস্থিতিও সরকার, আওয়ামী লীগ সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আর্শীবাদের।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি

সিলেটে ১৩ লাখ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ 

বন্যাকবলিত সিলেটে ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পানির সংকট চরমে 

রোনালদোদের বিদায় করে সেমিতে ফ্রান্স

যে কারণে স্পেনের বিপক্ষে জার্মানিকে পেনাল্টি দেওয়া হয়নি

সিলেটে সাড়ে ২৮ লাখ টাকার মাদক জব্দ

দল সেমিতে গেলেও ইউরো শেষ পেদ্রির

জনগণের সেবক হয়ে উন্নয়নের কাজ করতে চাই : জনপ্রশাসনমন্ত্রী 

বগুড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ছয়টি পয়েন্টে ১০৬২ মিটার ঝুঁকিপূর্ণ

১০

বেলাবতে চায়না কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

১১

ক্রুসকে অবসরে পাঠিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন

১২

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ, শতাধিক বসতভিটা বিলীন

১৩

কোটার বিরুদ্ধে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

১৪

কোটাবিরোধী আন্দোলন / ক্লাস বর্জনের ডাক দিচ্ছে জবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা 

১৫

ওয়ান বাংলাদেশের সন্মিলনে জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রত্যয়

১৬

দাবাকে ভালোবেসে, দাবার কোর্টেই প্রাণ

১৭

নিষিদ্ধ ভয়ংকর অস্ত্র বানাচ্ছেন পুতিন, টার্গেট কে?

১৮

চিনিকলের আধুনিকায়নে সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ এস আলম গ্রুপের

১৯

আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা, বাঘার পৌর মেয়র ঢাকায় গ্রেপ্তার 

২০
X