ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০২:২০ এএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মুক্তিযুদ্ধে প্রগতিশীল শক্তির অবদান

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। হাজার হাজার বছর ধরে এই বাংলার ভূখণ্ড বিজাতীয়দের দ্বারা শাসিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা বাঙালির হৃদয়ে দীর্ঘদিন ধরে লালিত হয়েছে, যাহা ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায়। হাজার বছরের বাঙালি জাতির বিজাতীয়দের দ্বারা শাসিত হওয়ার যে গ্লানি, তা বাঙালিকে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে শক্তি জোগায়, জোগায় প্রেরণা। যে স্বপ্ন প্রতিটি বাঙালি মনে সুপ্ত ছিল তা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি পূরণ করেছে। পুরোনো পরাধীনতার ইতিহাসের পাতা ছাপিয়ে গৌরবের ইতিহাস রচনা করেছে।

পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যায় এ মুক্তিযুদ্ধ একদিনে তৈরি হয়নি। এই মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি করেছেন ব্রিটিশ ভারতে বা তারও আগে যারা বিপ্লবী ছিলেন, যারা মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে পোষণ করেছেন হৃদয়ে, যুগে যুগে মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। এ বাংলার সন্তান সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা, বাঘা যতীন থেকে শুরু করে কমরেড মুজাফফর আহমদ, কবি নজরুল, এম এন রায়সহ বহু মানুষ স্বপ্ন দেখেছেন, শ্রম দিয়েছেন, জীবন উৎসর্গ করেছেন মানব মুক্তির লক্ষ্যে। প্রগতিশীল ভাবধারায় উজ্জীবিত যারা গরিব মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির স্বপ্নটি লালন করেছিলেন পরাধীন ভারতে, তারা স্বপ্ন লালন করেছেন দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে। নানাভাবে পরাধীন মানুষ তার অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন, সেই সংগ্রামে কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, গায়ক, বাদকদের ভূমিকা ছিল, কৃষক-শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষের ভূমিকা ছিল, ঘরের গৃহবধূ বা ছাত্র-শিক্ষকের ভূমিকা ছিল। তেমনিভাবে যারা রাজনৈতিক আদর্শে দীক্ষিত, রাজনৈতিক সংগঠনের পরিচয়ে পেশাগতভাবে বিপ্লবী ভূমিকা পালন করেছেন তারাও অবদান রেখেছেন অসাধারণ। আমাদের জাতির পিতা তার শৈশব এবং কৈশোরের সময়কাল পেরিয়ে নিজ গুণাবলির মাধ্যমে টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে জাতীয় রাজনীতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বঙ্গবন্ধু এবং পরবর্তীকালে জাতির পিতা হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি গোটা জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তিলে তিলে নির্মাণ করেছেন এক সংগ্রামের পটভূমি। কেননা তিনি বঞ্চনার ইতিহাসকে অনেক কাছে থেকে অবলোকন করেছেন। সে ইতিহাস থেকে নিজে পরিপক্ব হয়েছেন, পরিপুষ্ট হয়েছেন, ঋদ্ধ হয়েছেন, শপথ নিয়েছেন মুক্তির। স্বাধীনতার লক্ষ্যে তিনি সংগঠিত করেছেন বাংলার আবালবৃদ্ধবনিতা, কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ, খেটেখাওয়া, মেহনতি মানুষকে। তিনি পাশে পেয়েছিলেন সেই সময়কার কিছু মানুষকে যারা তার চিন্তায়, চেতনায় শক্তি জুগিয়েছিলেন। মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, কমরেড মুজাফফর আহমদ থেকে শুরু করে অনেক বাম রাজনৈতিকদের দ্বারা তিনি উৎসাহ পেয়েছেন, সহযোগিতা পেয়েছেন। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্ত ফ্রন্টের নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ৬ দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচন এবং সর্বোপরি ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি স্বাধীনতা লাভ করে। সব শ্রেণি, পেশার মানুষ এমনকি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অধিকাংশ রাজনৈতিক সংগঠনের এবং বাম প্রগতিশীল নেতাকর্মীদের এ ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে বাম প্রগতিশীল শক্তির যে বিশাল ভূমিকা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধসহ পূর্বের সব জাতীয় কর্মকাণ্ডে এবং আন্দোলনে সেটি শুধু মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেনি, এ শক্তি শুধু মুক্তিযুদ্ধকে শক্তিশালী করেনি বরং মুক্তিযুদ্ধে একটি গুণগত পরিবর্তন আনয়ন করেছিল। ৭০-এর নির্বাচন বা তার আগে জাতীয়ভাবে সমগ্র জাতি কখনো সমাজতন্ত্রের কথা ঐক্যবদ্ধভাবে উচ্চারণ করেনি। কিন্তু ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবাইকে দেখিয়েছে কীভাবে শোষণমুক্ত সমাজ নির্মাণের অপরিহার্যতার বিষয়টি, শিখিয়েছে কীভাবে শোষণমুক্ত সমাজ তৈরি করতে হবে। যে আকাঙ্ক্ষাটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গোটা বাঙালি জাতির জীবনের একটি সাধারণ আকাঙ্ক্ষা হিসেবে সবার মধ্যে উপস্থিত হয় বা সব মানুষ স্বাভাবিকভাবে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন। সেটি পরবর্তীকালে প্রতিফলিত হয় মুক্তিযুদ্ধের পরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয় এবং যে শাসনতন্ত্র তৈরি হয় সেখানে। রাষ্ট্রীয় অন্যতম মূলনীতি হিসেবে সমাজতন্ত্র গৃহীত হয় এবং উদার অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়বাদের কথাটি ধর্মনিরপেক্ষতা হিসেবে সেখানে সামনে চলে আসে। যেটি এর আগে গোটা জাতি এভাবে কখনো গ্রহণ করেনি। তার পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল সেটি ছিল বাংলাদেশের প্রগতিশীল বামশক্তি।

ভারতের এম এন রায়ের সঙ্গে আমাদের এই ভূখণ্ডের সন্দ্বীপের সন্তান কমরেড মুজাফফর আহমদ এবং কবি নজরুলসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রগতিশীল ব্যক্তি সেই সময় রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত হন এবং ভারতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষায় তারা শপথ গ্রহণ করেন। আমরা তার ধারাবাহিকতায় অবিভক্ত ভারতে বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, দেখেছি দুই বাংলায় বা ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বাংলার অনেক বিপ্লবী নেতা অবদান রেখেছেন। বিপ্লব সংগঠিত করার জন্য ত্যাগের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জীবনবাজি রেখে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন এবং অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। পরবর্তীকালে একই ঘটনা আমরা দেখেছি, যে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান গঠিত হয়, সেই পাকিস্তানের মানুষ বিশেষ করে পূর্ব বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য শোষণমুক্ত সমাজ বা সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের ত্যাগী পুরুষরা বাংলায় অবদান রেখেছেন। আমরা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে দেখেছি, সেই সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে নির্বাচিত হয়ে যুদ্ধকালীন সরকার গঠন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। সেখানে উপদেষ্টা পরিষদে বাম নেতৃবৃন্দ ছিলেন। মওলানা ভাসানী, কমরেড মণি সিংহ ও অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ সেই উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন অন্যান্য কয়েকজন জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। আমরা ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর কথা জানি। এই বাহিনী অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম করে দেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন।

আসলে এটি শুধু ৭১-এর ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে নয়, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নির্মাণ করেছে হাজার বছরের বঞ্চিত বাঙালির যে ইতিহাস, সেই ইতিহাসকে ধারণ করেই। এখানকার প্রগতিশীল শক্তি উপলব্ধি করেছিল যে, সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ছাড়া বাংলার মানুষের সত্যিকারের শোষণ মুক্তি সম্ভব নয়। সুতরাং এই প্রগতিশীল শক্তি স্বাধীনতার পটভূমি তৈরিতে অনন্য অবদান রেখেছে জাতীয়বাদী শক্তির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের মূল সংগঠন হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে পাশাপাশি বাম প্রগতিশীল শক্তি সর্বাত্মকরণে তার পাশে থেকে তাকে সহযোগিতা করেছে। যার ফলে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন যে অনন্য ভূমিকা পালন করেছে, তা কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করি আমরা। আমরা অবশ্যই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতকে। যারা আমাদের প্রায় এক কোটি শরণার্থী মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছে, আশ্রয় দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তাদের অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছে, তারা আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরি করেছে। যার অবদান শ্রদ্ধাভরে আমরা স্মরণ করি তিনি ভারতের মহীষী নারী ইন্দিরা গান্ধী। যার নেতৃত্বে সে সময়ে আমরা ভারতকে বন্ধু হিসেবে পাশে পেয়েছিলাম। ভারতের নেতা ইন্দিরা গান্ধী এবং রাশিয়ার নেতা লিওনেদ ব্রেজনেভের নেতৃত্বে জনমত তৈরিতে বাংলাদেশের পক্ষে এক অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য বারবার জাতিসংঘে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আনে তখন রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো প্রয়োগ করে পাশে দাঁড়িয়েছিল, সহযোগিতা করেছিল তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক প্রগতিশীল বিশ্বের নেতা রাশিয়া।

মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নির্মাণের ক্ষেত্রে, ভূমি নির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ-পরবর্তীকালে দেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে এই প্রগতিশীল শক্তির ভূমিকা ছিল অসাধারণ। একটি কথা আজকে বলতে হয়, যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষ যুদ্ধ করেছে বা ৩০ লাখ শহীদ ও বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বা আজকেও ১৭ কোটি মানুষ যেই স্বপ্নের বাংলাদেশের প্রত্যাশায় আছেন, তা আমরা আজও নির্মাণ করতে সক্ষম হইনি। প্রগতিশীল শক্তি যে শোষণমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসনের-প্রগতিশীল উদার বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চেয়েছিল, সেই বাংলাদেশ নির্মাণ করার ক্ষেত্রে আমাদের সংগ্রাম এখন অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। যেটি আমরা ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে দেখেছি যে, বাংলাদেশকে পরাজিত শক্তিরা পাকিস্তানি ভাবধারায় আবার পরিচালিত করার চেষ্টা করেছে। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজকের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ নির্মাণে অনেকদূর এগিয়েছে। কিন্তু এখনো মনে রাখতে হবে যে, উন্নত সমৃদ্ধ জাতির যে স্বপ্ন ৭১-এ বাঙালি দেখেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেখেছেন, ৩০ লাখ শহীদ দেখেছেন এবং যেজন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, সে স্বপ্ন নির্মাণ করতে হলে আমাদের প্রগতিশীল চিন্তা চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ, দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক আদর্শের শক্তির আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালনের কোনো বিকল্প নেই। যেটি আমি মনে করি বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ভূমিকা অনেক গৌণ হিসেবে অনুভূত হচ্ছে। প্রগতিশীল শক্তির ভূমিকা কিন্তু ৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে, তার আগে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নির্মাণের ক্ষেত্রে অথবা স্বাধীনতার পরে যেভাবে স্বাধীন দেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এসেছিল আজকের দিনে মনে হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে শৈথিল্য অথবা একটা সীমাবদ্ধতা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা কাম্য নয়। কারণ বাঙালি জাতি স্বপ্ন দেখেছিল একটি উদার বাঙালি জাতীয়তাবাদের শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক কল্যাণকর বাংলাদেশের। আমি বলতে চাই যে, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে প্রগতিশীল শক্তি যুক্ত হয়ে যে পর্বতসম কঠিন শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়লাভ করেছে সেই বিজয়ের ঐতিহ্য ও শক্তিমত্তাকে সবসময় আমাদের মনে রাখতে হবে। প্রগতিশীল শক্তি কখনোই পরাজিত হতে পারে না। তারা জয়ী হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ নির্মাণে তারা অবশ্যই উদার বাঙালি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্য অর্জন করবে। সেটি আজকের দিনে বাংলাদেশে খুবই প্রাসঙ্গিক, প্রত্যাশিত এবং কাঙ্ক্ষিত।

লেখক: ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, গণতন্ত্রী পার্টি

সাবেক প্রো-ভিসি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তায় জামায়াতের নিন্দা; জড়িতদের বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার দাবি

সরকারের টাইমফ্রেমে নির্বাচনের যৌক্তিক সময় দেখতে পাচ্ছি না : আমীর খসরু

ময়মনসিংহে সরকারি খামারে মিলল অস্ত্র ও মাদক

বিদেশে গ্রেপ্তার, দেশে দুর্নীতির মামলা : চাপে নেতানিয়াহু

কথায় কথায় বিদেশিদের ডেকে আনতে হবে কেন, প্রশ্ন ফরহাদ মজহারের

শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি

শেখ হাসিনার সমর্থক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ৫ দাবি ঢাবি সাদা দলের

মালয়েশিয়া দূতাবাসের খোরশেদের প্রত্যাহারে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ / জেলা আদালত থেকে ৭০ শতাংশ চান বিচারকরা

নতুন সিরিয়ার পাশে থাকবে তুরস্ক

১০

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

১১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্টনারশিপ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

১২

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৭২

১৩

আফগানিস্তানে কূটনৈতিক কার্যক্রম চালু করল সৌদি

১৪

বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার রয়েছে : পারভেজ মল্লিক

১৫

চাঁদপুরে ৭ খুন সম্পর্কে সবশেষ যা জানা গেল

১৬

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম

১৭

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামানের অব্যাহতি প্রত্যাহার

১৮

তিনদিন ধরে নিখোঁজ সহসমন্বয়ক খালিদ, সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন

১৯

‘কৌশলে অনুন্নত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে উন্নত দেশগুলো’

২০
X