দুদিন আগে ফেসবুকে বেশ কয়েকজন লিখেছেন: ‘আলু ৩০ টাকা, বেগুন ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমার খবর প্রচার হয় না।’ যশোরের এক কৃষক-সন্তান জানালেন, আমাদের জমিতে অনেক বেগুন হয়েছে। কিন্তু বিক্রি করতে পারছি না। কেননা ভোক্তা অধিকার রাজধানীসহ সারা দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। গত ২২ মার্চ ‘দৈনিক বণিক বার্তা’র প্রধান শিরোনাম ছিল ‘এক সপ্তাহেও বাস্তবায়ন হয়নি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্ধারিত ২৯ পণ্যের যৌক্তিক মূল্য’, ‘সবজির দাম কমলেও মাছ-মাংসের দাম ১০-২৫ শতাংশ বাড়তি’। সবাই স্বীকার করবেন সরকারের নানা সংস্থা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার নানা ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু মাঝে মাঝে ভাবি, তারা সব সময় কি ঠিক কাজটি করতে পারছে? জানি না কী কারণে সব সহলের মানুষের গণমাধ্যমের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। খুব কি প্রয়োজন বাজার মনিটর করতে গিয়ে আগেভাগে টেলিভিশনের ক্যামেরাগুলোকে খবর দিয়ে দেওয়া। আমার তো মনে হয়, যারাই বাজার তদারকি করতে যাবেন তাদের মতো করে যাবেন। কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করবেন, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং পরে সংস্থার অফিসে এসে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন। আবার কেউ কেউ বলেন, সাংবাদিক ও ক্যামেরা না থাকলে ম্যাজিস্ট্রেটদের বিরুদ্ধে সত্য-মিথ্যার মিশেলে সংবাদ তৈরি হয়ে যাবে। তখন ম্যাজিস্ট্রেটরা বিপদে পড়বেন। গত কয়েকদিনে আমি কয়েকটি জেলা শহরে গিয়েছি। কাঁচাবাজারে গিয়েছি, চালের বাজারে গিয়েছি, নিজের চোখে দেখেছি কীভাবে নানা ধরনের সিন্ডিকেট কাজ করে। গত শুক্রবার সকালবেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় সবজি বিক্রেতার কাছে জানলাম, তখনো বেগুনের দাম ৬০ টাকা। অথচ তার এক দিন আগে কুমিল্লার রাস্তার পাশে সবজি বিক্রেতা বলেন, বেগুনের দাম ৩০ টাকা। তাহলে এখানে বড় ধরনের গলদ আছে। আমি কয়েকদিনে বুঝতে পেরেছি, আর সরকারি কর্মকর্তারা এগুলো বুঝতে পারছেন না? অবশ্যই বোঝেন। বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। জরিমানা করাটাও জরুরি; কিন্তু কোন ব্যবসায়ীদের জরিমানা করবেন, তা ভেবেচিন্তে করতে হবে। খুচরা বাজারে অভিযান চালানো, জেল-জরিমানা করার মধ্য দিয়ে বাজার স্থিতিশীল করা সম্ভব নয়। বাজার স্থিতিশীল করতে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই। অল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরাও লোভে পড়ে অতি মুনাফার দিকে ঝুঁকে যান; কিন্তু বড় ব্যবসায়ীরা যারা ওই নির্দিষ্ট বাজারে প্রভাব বিস্তার করেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো কোনো সময় দেখা যায়, বড় বড় ব্যবসায়ী ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার অস্থির করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। গোয়েন্দা নজরদারিতে চিহ্নিত করে ফেলতে হবে কোন কোন ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা চক্র তৈরি করেছেন এবং তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী? গরুর মাংস এখন পলিটিক্যাল প্রোডাক্ট হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে কাজ করানো যাবে না। এক বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদে দেখলাম, কাতারে রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯০০টি পণ্যের মূল্য অর্ধেক করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি কেউ বিক্রি করতে পারবে না। কাতার বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। দেশটি বিশ্বের অসহায় মুসলমানদের সাহায্য করে সব সময়। প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাসের আগে কয়েকশ পণ্যের দাম কমাল কাতার সরকার। ২০২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০টি পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০-তে, ২০২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০-র বেশি পণ্যের দাম কমায় মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতার।
কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে ৯ শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্যতালিকা, চলবে রমজান মাসের শেষদিন পর্যন্ত। দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতার সরকার। কাতারে রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ, দই এবং দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপজলসহ আরও অনেক কিছু। কাতার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ১১ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের দুই মাস পূর্ণ হয়েছে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভার জন্য দুই মাস যথেষ্ট সময় না হলেও, গত দুই মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের কল্যাণে আসবে বলে মনে করেন অনেকে। সরকারের সামনে ছিল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ। সরকারের প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর এই চার পণ্যের শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। এনবিআর সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়। একই সঙ্গে সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি মেট্রিক টনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। আগে যা ছিল দেড় হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি শুল্ক কমিয়ে করা হয়েছে ২ হাজার টাকা, আগে যা ছিল ৩ হাজার টাকা। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পাম অয়েল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। আর খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
দুই. একটা আশাবাদী হওয়ার মতো সংবাদ আছে; নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য বিলীন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবার অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা হবে নিত্যপণ্যের উৎপাদক, আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের তালিকা। অ্যাপের মাধ্যমে সহজে জানা যাবে কোন আমদানিকারক কোন পণ্য কত পরিমাণ আমদানি করেছেন, কত পরিমাণ বাজারজাত করেছেন, কত পরিমাণ পণ্য তার কাছে মজুত আছে। একইভাবে অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে তালিকায় থাকা কোন পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে কত পরিমাণ পণ্য মজুত আছে বা বাজারজাত করেছেন। সরকার মনে করছে, এর মধ্য দিয়ে বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি সুনিশ্চিত করা যাবে, কেউ অধিক মুনাফার আশায় মজুত করতে পারবে না এবং এ ব্যবস্থায় থাকবে না কোনো মধ্যস্বত্বভোগী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকার স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। একই সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর অস্তিত্ব বিলীন করারও উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, বাজার অস্থির করার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তাদের দৌরাত্ম্যে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। অনৈতিক মুনাফার আশায় সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি করে এরা। এতে কষ্ট বাড়ে ভোক্তার, বিব্রত হয় সরকার। এমন পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনায় অনলাইন পদ্ধতি চালুর কথা ভাবছে সরকার। এ কাজের জন্য নতুন অ্যাপ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীদের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ভাউচার সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অ্যাপের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। সেই লাইসেন্সই নির্দিষ্ট করবে কে পাইকারি ব্যবসায়ী, কে খুচরা ব্যবসায়ী আর কে আমদানিকারক। সরকার উৎপাদক থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করবে। এতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার পরিচয় পরিষ্কার থাকবে। এই লাইসেন্সের মাধ্যমে কে কোন পণ্যের হোলসেল করবেন, কত পণ্য এলো, কত পণ্য বিক্রি হলো, এগুলোর খোঁজ-খবর রাখবেন জেলা প্রশাসক।
সূত্র আরও জানায়, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যে অভিযান চালাচ্ছে সরকার, তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাজার স্থিতিশীল রাখা, কাউকে ভয় দেখানো নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়মিত বাজারে অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করছে সরকার। এসব অভিযানে অধিক মূল্য, সরবরাহে ত্রুটিসহ নানাবিধ ত্রুটির অভিযোগে মূলত খুচরা ব্যবসায়ীদের দায়ী করা হয়। ফলে জেল-জরিমানার মুখোমুখি হন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
তিন. সরকার যখন ভারত থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন গত ২২ মার্চ বিএনপি ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী কয়েক বছর আগে ভারতীয় বাজার থেকে কেনা গায়ের শাল ছুড়ে ফেলে দিয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন। অথচ ১৮ মার্চ বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চাই।’
সরকারের নানামুখী তৎপরতায় জিনিসপত্রের দাম কমতে শুরু করেছে। তিন সপ্তাহ আগের ১২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ এখন ৫০ টাকায় নেমেছে। বিএনপি যখন দেখছে সরকার দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরেছে এবং ভারত থেকে আমদানিকৃত চিনি ও পেঁয়াজের আমদানির সংবাদে কেজিপ্রতি ৭৫ টাকা কমেছে, তখনই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। কোথাও কোথাও প্রতি কেজি গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ টাকার নিচে। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ সবজির দাম এখন নিম্নমুখী। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক পদক্ষেপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলারের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান রমজান মাস ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের কাছে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। তাতে বাজারে ডলারের সরবরাহ আরও বেড়ে যাবে। ফলে ঈদ ঘিরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে চাপ কিছুটা সহনীয় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। এতে সব পর্যায়ে ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের অনানুষ্ঠানিক দাম প্রায় ৪ থেকে ৬ টাকা কমেছে। ঈদ সামনে রেখে ডলারের সরবরাহ আরও বাড়ার প্রত্যাশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে আগামীতে ডলারের দাম আরও কমার আশা করা হচ্ছে। ডলারের সরবরাহ বাড়ায় ব্যাংকগুলোও এখন এলসি খুলতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এমনকি আমদানি হচ্ছে আগের তুলনায় বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর ফলে আমদানি করা পণ্যের দামও ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ঘরে রাখা ডলার ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে, প্রবাসী আয়ে গতি এবং রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবণতাকে এর মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক