রাজকুমার নন্দী
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৭ এএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ০১:০৫ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিশেষ সাক্ষাৎকারে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম

সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে চাই রাজপথের কথা

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। ছবি: সংগৃহীত
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। ছবি: সংগৃহীত

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়। ২০০৬-০৮ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের সময় তিনি ২০০৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এ দলটির চেয়ারম্যান। শুরু থেকেই বিএনপির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্ত তার দল। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে আন্দোলনে থাকলেও শেষ মুহূর্তে রাজপথ ছেড়ে দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে শামিল হয় দলটি। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার-১ আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের একজন সংসদ সদস্য। দেশের রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজকুমার নন্দী

কালবেলা: দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীদলীয় রাজনীতিতে ছিলেন। শেষ পর্যায়ে এসে নির্বাচনে যুক্ত হলেন। কোন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে গেলেন?

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম: কল্যাণ পার্টি নির্বাচনমুখী দল। কিন্তু রাজনীতির রেওয়াজ অনুযায়ী আমরা জোটের প্রতিও অনুগত একটি দল। সেই সুবাদে ২০১৪ সালের নির্বাচনে দাওয়াত পাওয়া সত্ত্বেও যাইনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে গিয়েছি সীমিত আকারে, যেহেতু সুযোগও দেওয়া হয়েছিল সীমিত আকারে। ১ মিনিটের নোটিশে ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর তৎকালীন ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেওয়া হয়। দারুণভাবে মর্মাহত হয়েছিলাম এবং বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। অতঃপর আমরা নিজেদের মধ্যে জোট করেছিলাম। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকার শক্তি এবং বিএনপির বাইরে জোটে থাকার শক্তি ও কর্মক্ষমতা সম্পূর্ণ আলাদা। ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় তিনটি সমাবেশ করেছিল বিএনপি। জনগণ ও নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল প্রচণ্ড রকমের প্রশংসনীয়। কিন্তু সেখানে ব্যর্থ হওয়ায় সামনের দিকে আমরা কোনো আলো দেখতে পাচ্ছিলাম না। ২৮ অক্টোবরের ব্যর্থতার পর আমাদের মনে কঠিন একটি প্রশ্ন আসে। আমরা কি সেই আগের মতো রাজপথেই থাকব, নাকি আমরা ভিন্ন কিছু চিন্তা করব? সর্বোপরি আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম শুধু বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নয়। রাজনীতিতে সারা জীবন রাজপথেই কাটিয়ে দিলাম। কিন্তু ছোট দল হওয়ার কারণে পুরো রাজপথ তো কাঁপাতে পারি না, অন্যের অনুষঙ্গ হিসেবেই থাকতে হয়। এই প্রেক্ষাপটে দলগতভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে সপ্তাহে চার দিন এক ঘণ্টার আন্দোলন করে যেহেতু দাবি আদায় সম্ভব নয়, তার বিকল্প হিসেবে আমরা সংসদে গিয়ে জনগণের জন্য কথা বলার সুযোগটা নিতে চাই। তাই কল্যাণ পার্টি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

কালবেলা: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

সৈয়দ ইবরাহিম: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন একটি আদর্শ নির্বাচন নয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এর থেকে উন্নত করা কঠিন। আমার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশনের লোক, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন এবং তারা এটিকে যতটুকু সম্ভব নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ করতে চেষ্টা করেছেন।

কালবেলা: প্রথমবারের মতো সংসদে গেলেন। অনুভূতি বা অভিজ্ঞতা কেমন?

সৈয়দ ইবরাহিম: প্রথমবার পিতা হলে যেমন অনুভূতি হয়, প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়ে আমারও প্রায় একই অনুভূতি হয়েছিল। এটির জন্য আমরা অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। সেই অপেক্ষায় শেষ মুহূর্তে আমরা একটি সুযোগ পেয়েছি। তাই আমি জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ।

কালবেলা: আপনার দল থেকে আপনি একাই সংসদ সদস্য। এমন অবস্থায় আপনি সংসদে কী ভূমিকা রাখতে পারবেন?

সৈয়দ ইবরাহিম: দলের আরও অনেক সদস্য থাকলেও সম্মিলিতভাবে কী ভূমিকা রাখতে পারতাম, অতীতের বিরোধী দলগুলোকে দেখলেই সেটি বুঝি। আমরা মনে করি, সীমিত শক্তিতেও আন্তরিকতা থাকলে যতটুকু প্রয়োজন সংসদে জনগণের পক্ষে বলা যাবে এবং তার নমুনা ইতোমধ্যে স্থাপিত হয়েছে।

কালবেলা: আপনি নিজের এলাকার বাইরে থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছেন। ওই এলাকার মানুষের জন্য বিশেষ কিছু করার পরিকল্পনা আছে কি না?

সৈয়দ ইবরাহিম: এখানে বিশেষ বলে কিছু নেই, যা করব তাদের জন্যই করা। বিশেষ এবং অবিশেষ বলে কিছু নেই। আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ, প্রচেষ্টা নিবেদিত আমার নির্বাচনী এলাকার জন্য। কক্সবাজার জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। আমরা চেষ্টা করছি সেটি যাতে আমার নির্বাচনী এলাকায় হয়। জায়গাটা সুন্দর। নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশের লবণ শিল্পের প্রাণকেন্দ্র, চিংড়ি উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র। সেগুলোর ব্যাপারে যে বিদ্যমান সমস্যা, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সংসদে প্রথম বক্তৃতায় সেটি বলেছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় রাস্তাঘাটের অভাব আছে। এগুলোর মধ্যে কিছুসংখ্যক রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে অতীতে কেউ সেভাবে সহায়তা করেনি। আমি দল-মত পার্থক্যের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সবাইকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য পরিবেশ গড়ে তুলেছি। আমি সেখানে তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে, শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে বেকারত্ব ঘোচানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। ৫ মার্চ তারিখেও আমি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে কথা বলেছি। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সঙ্গেও কথা বলেছি। কারণ, আমার নির্বাচনী এলাকা পানিবেষ্টিত। একদিকে পাহাড়, আরেকদিকে পানি। বঙ্গোপসাগর এবং মাতামুহুরী নদী। ফলে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা প্রচণ্ড। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এরই মধ্যে তিনবার কথা বলেছি। সেখানে সবচেয়ে যে বড় সমস্যা, সেটির সমাধান করতে পারলে অনেক বড় উপকার হবে। এটি এক দিনে সম্ভব না। অন্যান্য জায়গার তুলনায় আমার অনুভূতি হচ্ছে যে, নির্বাচনী এলাকায় জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ বেশি। এ কারণে সেখানে মানুষের মনে অশান্তি আছে। দখল-দখল-দখল, বেদখল-বেদখল-বেদখল। এ রকম একটি পরিবেশ সেখানে আছে। সেটি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। সেটিকে কমিয়ে, কাটিয়ে নিউট্রাল এবং তারপর পজিটিভে আনার জন্য আমার প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। আশা করি, ইনশাআল্লাহ পারব।

কালবেলা: নিজের এলাকাকে কি তাহলে ভুলে যাবেন, নাকি নিজ এলাকার জন্যও কিছু করার চিন্তা আছে?

সৈয়দ ইবরাহিম: হাটহাজারী থেকে যেহেতু আমি একবার নির্বাচন করেছি এবং জন্মস্থান, সুতরাং সেখানকার সঙ্গে তো আমার নাড়ির বন্ধন থেকেই যাবে। কিন্তু আইনগতভাবে আমার নৈতিক ও রাজনৈতিক বিবেকের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচিত এলাকার জন্য। হাটহাজারীতে একজন এমপি আছেন, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। উভয়ই সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসি। উনার আওতাভুক্ত এলাকার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে বস্তুগত অবদান রাখার কোনো জায়গা নেই। অবস্তুগত, নৈতিক, উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ যদি আমরা সেখানে সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে এলাকা উন্নত হবে। যোগাযোগ আমার প্রচুর আছে। অতীতের সেই যোগাযোগের ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে আমি সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। ঢাকায় ‘হাটহাজারী সমিতি’ বলে একটি সংগঠন আছে। আমি সেটির প্রধান উপদেষ্টা। সেজন্য আমি মনে করি—ওখানকার ক্লাব, সংগঠন ইত্যাদির সঙ্গে আমার যে যোগাযোগ, তার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে অবদান রাখতে পারব। কিন্তু বস্তুগত অবদান যেটি সরকারের তহবিলে হয়, সেখানে কোনো জায়গা নেই।

কালবেলা: রাজনীতিতে আপনার পরবর্তী টার্গেট কী?

সৈয়দ ইবরাহিম: রাজনৈতিক পরিবেশ গ্রহণযোগ্য হলে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। এই মুহূর্তের অভিযান হলো বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিকে শক্তিশালী করা। তবে আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আমি ওয়াদাবদ্ধ যে, এখানে আমরা কল্যাণ পার্টি করব না। নির্বাচনকালে যারা আমাকে সহায়তা করেছিলেন, তাদের পাশে দাঁড়াব। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বৃহৎ অংশ প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ নেতাকর্মী তখন আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে নৌকার কোনো প্রার্থীও ছিলেন না। কারণ, নৌকার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং এমপি হিসেবে তাদের প্রতি আমার দায়িত্বটা পালন করতে চাই। তাই যাতে ‘clash of interest’ স্বার্থের সংঘর্ষ না হয়, সেজন্য ওই দুটি উপজেলায় (চকরিয়া-পেকুয়া) আমরা কল্যাণ পার্টির কোনো কার্যক্রম করব না। যথাসম্ভব বাকি উপজেলাগুলোতে কার্যক্রম করব। অবশ্য একজন সংসদ সদস্য এবং কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে টার্গেটে তফাত আছে। বর্তমান সংসদের পরবর্তী অধিবেশন থেকে আমি আরও সক্রিয় হব। আমার উদ্দেশ্য থাকবে—বিরোধী দলের একজন এমপি হিসেবে সরকারের কাছে গঠনমূলকভাবে ওইসব কথা তুলে ধরা, যার জন্য মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি হচ্ছে আরেকটি টার্গেট। সুতরাং যেটি আমি বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে দাঁড়িয়ে রাজপথে বলতাম, সেটি সংসদে বলা শুরু করব।

কালবেলা: কল্যাণ পার্টিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে কী পদক্ষেপ নেবেন?

সৈয়দ ইবরাহিম: কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি (সৈয়দ ইবরাহিম) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় দলের নেতারা উজ্জীবিত হয়েছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। কুরবানির ঈদের পরে আমাদের একটি বিশেষ কাউন্সিল হবে। সেখানে আমরা নীতিনির্ধারণ করব—কল্যাণ পার্টিকে শক্তিশালী করার জন্য কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

কালবেলা: আপনাকে ধন্যবাদ।

সৈয়দ ইবরাহিম: আপনাকে ও কালবেলার পাঠককেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাকৃবির ১০ জন গবেষক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত

দীর্ঘ ১ মাস পর কর্ণফুলী পেপার মিলসের উৎপাদন চালু

চবিতে শহীদদের স্মরণে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৯ সেপ্টেম্বর : নামাজের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রুরা ওত পেতে আছে

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেপ্তার

‘গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে’

১০

জাবিতে গণধোলাইয়ের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য

১১

বৈদেশিক ঋণ আবার ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার

১২

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌবাহিনীর ২শ’ সদস্য

১৩

সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

১৪

জাহাঙ্গীরনগরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি, হাসপাতালে মৃত্যু

১৫

ডিপিডিসি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির নতুন কমিটি

১৬

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়ে আলী রীয়াজের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৭

আলজাজিরার অনুসন্ধান / যুক্তরাজ্যে ৩৬০টি বাড়ি কিনেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

১৮

রূপপুর পারমাণবিকের প্রথম ইউনিটে ডামি ফুয়েল লোডিং শুরু

১৯

মহেশখালী থেকে অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে নৌবাহিনী

২০
X