এম আবদুল্লাহ
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৪ এএম
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দুর্নীতি আমলে নেওয়া প্রয়োজন

দুর্নীতি আমলে নেওয়া প্রয়োজন

দুর্নীতির ধারণাসূচক (সিপিআই) প্রতিবেদন-২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি। জার্মানির বার্লিন থেকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) দুর্নীতির মাত্রা কোন দেশে কেমন, সে সম্পর্কে ধারণা দিতে প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, দুর্নীতির অধিকতর মাত্রার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। ২০২২ সালে ছিল ১২তম। তার মানে দুই ধাপ অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের।

দুর্নীতির মাত্রা নিয়ে এই রুটিন প্রতিবেদনের পর ক্ষমতাসীনরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা এ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টিআই রিপোর্টের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘দুর্নীতির অপবাদটা যেভাবে বাংলাদেশ নিয়ে দেওয়া হয়, তা মোটেও সত্য নয়।’ দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে থাকা দুদকও টিআইর রিপোর্টের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা বলেছে, টিআইর রিপোর্ট ধোঁয়াশাপূর্ণ। অন্যদিকে সরকারবিরোধীরা প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, টিআইর ধারণা সূচকের চেয়ে বাংলাদেশের দুর্নীতির মাত্রা অনেক বেশি। কোন প্রক্রিয়ায় এ ধারণা সূচক তৈরি করা হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো কিছু উল্লেখ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

দুর্নীতির নিরূপিত মাত্রার পক্ষে-বিপক্ষে যে বিতর্ক তা গ্রহণ বা বর্জনের ক্ষেত্রে মাপকাঠি কী হতে পারে? বাংলাদেশে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ যে ক্রমেই ডালপালা ও শিকড় বিস্তৃত করে অর্থনীতি ও সমাজকে ভঙ্গুর করে তুলছে তা নিয়ে জোরালোভাবে ভিন্নমত পোষণের সুযোগ কি আছে? শুধু টিআই নয়, সিপিডিও দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সিপিডির জরিপে দেশের ৬৮ শতাংশ ব্যবসায়ী মত দিয়েছেন যে, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। এ জরিপে ৫৬ শতাংশ জানিয়েছে, বিচারিক সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে আনার জন্য ঘুষ লেনদেন হয়। ৫৮ শতাংশ বলেছে, সরকারি কাজ পেতে এবং ব্যবসার লাইসেন্স পেতে ঘুষ দিতে হয়। ৫৭ শতাংশ বলেছে, সরকারকে কর দিতেও ঘুষ দেওয়া নিয়মিত ব্যাপার। আর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ঘুষ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ৫৬ শতাংশ ব্যবসায়ী।

টিআইর রিপোর্ট বা সিডিপির জরিপ প্রতিবেদন বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করার আগে দেশের সংবাদমাধ্যমে দুর্নীতির যে ছিটেফোঁটা চিত্র উঠে আসে, তাতে চোখ বোলানো যেতে পারে। যদিও নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম রাঘব-বোয়ালদের মেগা দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্টের সক্ষমতা হারিয়েছে অনেক আগেই। তারপরও রয়েসয়ে মাঠপর্যায়ের দুর্নীতির কিছু চিত্র সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দেশের প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদপত্রে দুর্নীতি-অনিয়ম সংক্রান্ত যেসব শিরোনাম হয়েছে, তার কয়েকটি এখানে উল্লেখ করলেই মাত্রাগত কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে।

জানুয়ারি মাসে দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের কয়েকটি শিরোনাম এ রকম—‘রাজউকের ১৪ কোটিপতি কর্মচারী’, ‘সরকারি টাকায় তৈরি হচ্ছে দুটি পারিবারিক সেতু’, ‘স্বাস্থ্যের বরাদ্দ লুটে ঘুপচি বিজ্ঞাপন’, ‘তিন কোটি টাকার পণ্যের দুই-তৃতীয়াংশই নেই’, ‘গায়েবী রপ্তানি, আত্মসাৎ ৩০ কোটি টাকা’, ‘দিনমজুর ও ভিক্ষুকের নামে ভুয়া ঋণ’, ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়: পরিদর্শনে পকেট ভরে প্রোভিসির’, ‘নকশা এড়িয়ে ২০ তলা ভবন সাবেক অর্থমন্ত্রীর’, ‘কাজ না করে পকেটে ৫৩ কোটি টাকা’, ‘প্লট ও ফ্ল্যাট ভাগাভাগিতে সচিব-চেয়ারম্যান কোটা’, ‘বড় দুর্নীতিবাজে ছাড়, দুদক আছে চুনোপুটি নিয়ে’, ‘মালয়েশিয়ায় বিলাসী জীবন শত শত বাংলাদেশির’।

প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামের মধ্যে আরও রয়েছে—‘পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন: অনিয়মের ক্ষতি ৬০৮ কোটি টাকা’, ‘৪০০ কোটি টাকা ব্যয়, তবু সড়ক টেকে না’. ‘ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও ৪ বছরে ব্যয় ৪০ কোটি টাকা’, ‘ইইএফ ফান্ড: উদ্যোক্তা তৈরির তহবিল প্রভাবশালীদের পকেটে’, ‘ঢাকায় ভূগর্ভস্থ গ্রিড উপকেন্দ্র: ভূগর্ভে গেল ১৩০ কোটি টাকা’, ‘রাতারাতি ব্যক্তিমালিকানায় ৪০০ কোটির সরকারি বাড়ি’, ‘ব্যাংকের হিসাব থেকে গ্রাহকের টাকা গায়েব’, ‘মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ: জমির শ্রেণি বদলে মিলেমিশে লুট’।

লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ওপরের দুর্নীতিসংক্রান্ত শিরোনামগুলোর সঙ্গে সিপিডির জরিপে উদ্বেগ প্রকাশকারী ব্যবসায়ীদের যেমন সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে সমাজের সুশীল শ্রেণিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররাও। ক্ষমতাবানদের মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রীর একটি দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট হয়েছে তার ক্ষমতা হারানোর পর। বাকি দুর্নীতিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে আমলা ও ব্যাংকারদের। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যে একতরফা নির্বাচনটি সম্পন্ন হলো তাতে বিজয়ীদের অনেকের সম্পদবিবরণী পাওয়া গেছে হলফনামায়।

নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামার সূত্রে সংবাদপত্রে যে খবর তখন এসেছিল তাতে দেখা গেছে, রাষ্ট্র পরিচালনা, রাজনীতি ও আইন প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সম্পদের উল্লম্ফন। ৫ থেকে ১৫ বছরের ব্যবধানে কারও কারও সম্পদ পাঁচগুণ থেকে শতগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। হলফনামা পর্যালোচনা করে প্রকাশ করা রিপোর্টের কয়েকটি শিরোনাম এখানে উল্লেখ করা যায়। যেমন—‘১৫ বছরে মির্জা আজমের সম্পদ বেড়েছে ১২২ গুণ’, ‘শিল্পমন্ত্রীর আয় ও সম্পদ ১৫ বছরে বেড়েছে ১৫ গুণ’, ‘শাজাহান খানের আয় ১৫ বছরে বেড়ে এখন ৩২ গুণ’, ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর আয় ১০ বছরে বেড়েছে ৫ গুণ’, ‘স্থাবর সম্পত্তি ৪ গুণ বেড়েছে ভূমিমন্ত্রীর’, ‘মুহিবুলের স্থায়ী আমানত বেড়েছে ১৬ গুণ’, ‘শাহরিয়ারের সম্পদ ২ কোটি থেকে বেড়ে ৮৯ কোটি টাকা’। লিখিত স্বীকারোক্তিতে সম্পদের এ হিমালয়চুম্বী স্ফীতি কী প্রমাণ করে?

আলোচ্য টিআই প্রতিবেদনে দুর্নীতির সংজ্ঞা হচ্ছে, ব্যক্তিগত সুবিধা বা লাভের জন্য ‘সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার’। ধারণাসূচক অনুযায়ী, গত ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২৩ সালে। দুর্নীতির সূচকের এ ক্রমাবনতি অনেককে ২০০১ সালের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। সে সময় বাংলাদেশ পরপর পাঁচ বছর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট প্রথম পেয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। পরে তার ধারাবাহিকতায় বিএনপি সরকারের আমলেও মুকুট অক্ষুণ্ন থাকে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তান ছাড়া সবার নিচে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে দুর্নীতির হার বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভুটানের স্কোর ৬৮, ভারত ও মালদ্বীপের ৩৯, নেপালের ৩৫, শ্রীলঙ্কার ৩৪, পাকিস্তানের ২৯ ও আফগানিস্তানের ২০। বাংলাদেশ পেয়েছে ২৪।

টিআই সূচকে ১০০ স্কোরের মধ্যে ৯০ পেয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে ক্লিন ইমেজ নিয়ে আছে ডেনমার্ক। ৮৭ পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ফিনল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড, চতুর্থ স্থানে নরওয়ে। অন্যদিকে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি সোমালিয়ায়। তাদের স্কোর মাত্র ১১। দ্বিতীয় স্থানে আছে সাউথ সুদান, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা।

বাংলাদেশকে যে দুর্নীতি ক্রমে গ্রাস করছে তার জন্য আদতে গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। দেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিনিয়ত এর ভুক্তভোগী। দুর্নীতির কারণেই প্রতিবছর হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হচ্ছে, ব্যাংক খাতের লুটপাটের তথ্য প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ কম। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হলেও সরকারবিরোধী হিসেবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়। নানাভাবে হেয় বা হয়রানি করা হয়। খোদ টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল টিআইএর প্রতিবেদন প্রকাশকালে আক্ষেপ ও উষ্মার সঙ্গে বলেছেন, ‘যখন দুর্নীতি, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলি, তখন তারা (সরকার) ষড়যন্ত্রের কথা বলে।’

আট বছর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে সাময়িক তোলপাড় হয়েছে। দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা দায় এড়িয়ে অনেকটাই পার পেয়েছেন। তদন্ত শেষ হয়নি আট বছরেও। তবে তদন্তের দায়িত্ব থাকা একটি সংস্থা সিআইডি দুদিন আগে জানিয়েছে, ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রিজার্ভ থেকে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তৎকালীন গভর্নরসহ ১২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায় পেয়েছে তারা। দায়ীদের মধ্যে নির্বাহী পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক, যুগ্ম পরিচালক, উপমহাব্যবস্থাপক ও উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা রয়েছেন।

দুর্নীতির ধারণাসূচক বা ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের উদ্বেগ সরকার উপেক্ষা করতে থাকলে তা হবে আত্মঘাতী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জরিপ প্রতিবেদনের তথ্যকে ‘সত্য নয়’ বলে ছুড়ে ফেলে দেওয়া প্রকারান্তরে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল। ক্রমঃপ্রসারমান দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে দেশের মুক্তি না মিললে সরকারের উন্নয়নের বড়াই অনেকটাই যে মলিন হয়ে যাবে, তা যত দ্রুত বুঝতে পারবে ততই রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য মঙ্গল। উদ্বেগ আমলে নেওয়ার সময় শেষ হয়ে যায়নি।

লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা প্রদীপ গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ববি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

সরিষাবাড়ীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

পীরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

দায়িত্ব অবহেলায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এমডিকে তিনমাসের বাধ্যতামূলক ছুটি

কেশবপুরে পূজা উদযাপন ফ্রন্টের প্রতিনিধি সভা

শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে উইন্টার ও স্প্রিং সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের অধিকাংশ হিন্দু দাবি করে ভারতীয় মিডিয়ার গুজব

নিহত ছাত্রদল নেতা সবুজ হাসানের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

১০

রমজানে ঢাকার ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হবে ডিম-মুরগি

১১

সুবাতাস বইছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের পালে

১২

ডেঙ্গুতে বছরের প্রথম মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৬

১৩

রাঙামাটিতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প নিয়ে আইএসপিআরের দাবি নাকচ ইউপিডিএফের

১৪

ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

১৫

উঠান বৈঠকে বিএনপি, আবেদের কোম্পানিগঞ্জ দিয়ে শুরু

১৬

নদীতে আফগান বাঁধ, ইরানের প্রতিবাদ

১৭

তাহসানের হবু শ্বশুর শীর্ষ সন্ত্রাসী পানামা ফারুক

১৮

ছেলের বউকে উত্ত্যক্ত, প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল শ্বশুরের

১৯

৬৫ পণ্যে ভ্যাট : যে ব্যাখ্যা দিল এনবিআর

২০
X