পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খান একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ছিল ‘Friends not Masters’. জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়ার নামে দেয়ালে দেয়ালে চিকা মারা হয়েছিল। শুধু বিএনপি নামের দলটি কি এই কাজ করেছিল? যেসব শিক্ষিত মানুষ পাকিস্তানকে অন্তরে ধারণ করেন, তারাই মূলত খালেদা জিয়ার পরামর্শক ছিলেন। তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আওয়ামী ছদ্মাবরণে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, যারা সদ্য ফিরে আসা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ক্রমাগত চাপের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলেন। আইয়ুব খানের সেই উক্তির বঙ্গানুবাদ করে তারা লিখেছিলেন—‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই।’ আমরা বিগত চার দশক ধরে তার নমুনা ভালোই দেখতে পাচ্ছি। ১৯৬৭ সালে সেই বই প্রকাশিত হয়েছিল ‘Oxford University Press’ থেকে। সেই বই প্রকাশিত হওয়ার ২৪ বছর পর ১৯৯১ সালে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে ৫০ কোটি পাকিস্তানি রুপি দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা দেওয়া হয়েছিল ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময়। খোদ আইএসআইর তৎকালীন প্রধান লে. জেনারেল আসাদ দুররানি ২০১২ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ খবর বাংলাদেশের মিডিয়ায়ও প্রচারিত হয়েছে। ২০১২ সালে ১৭ মার্চ ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।
Ex-ISI chief admits funding BNP polls '91
Former ISI chief Asad Durrani has admitted funding BNP during the 1991 parliamentary elections.
The admission came during a Pakistan Supreme Court hearing on the spy agency's mandate on Wednesday.
A three-member bench of the apex court headed by Chief Justice Iftikhar Muhammad Chaudhary grilled the former spy boss on Inter Services Intelligence's funding for politicians both in and outside Pakistan.
Recently a UAE-based daily had alleged that ISI paid Rs 50 crore to BNP Chairperson Khaleda Zia ahead of the 1991 elections in which the party won and formed the government.
There are allegations that the ISI has been active in Bangladesh whenever BNP has been in power (1991-96) and later during 2001-06.
The spy agency was also alleged to have launched a campaign from Bangladesh to destabilise the Northeast by patronising and providing logistic support, including funds, to the insurgent groups operating from Bangladesh.
পৃথিবীর কোনো দেশের সাবেক সরকারপ্রধান অন্য দেশের পত্রিকায় দেশবিরোধী লেখা ছাপিয়েছেন কি না, আমার জানা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “ZIA: The thankless role in saving democracy in Bangladesh: Corruption and stealing threaten a once-vibrant nation.”
শিরোনামে বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধটিতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করেছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি লেখাটি ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশের পর পরই ব্যাপক আলোড়ন তোলে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পাঠক মহলে। ওই প্রবন্ধে খালেদা জিয়া বলেন—বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদাসীন থাকলে তাদেরও এর দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আনুগত্য অন্যান্য উদীয়মান পরাশক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারপর তিনি লিখেছেন, তার মানে এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য এজেন্সি কিছুই করছে না। পাঠক একটা বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ করে থাকবেন যে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিএনপি যে সরাসরি বিরোধিতা করেছে, তার সুস্পষ্ট স্বীকার উক্তি এই লেখার মধ্যে আছে। লেখা প্রকাশের ছয় মাস আগে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্প পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন প্রত্যাহার করেছিল এবং এই প্রকল্পে দুর্নীতি ও অর্থ তছরুপের তদন্ত করার পরামর্শ দিয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা—খালেদা জিয়ার ওই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হওয়ার বিষয়টি তার কাছে অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক বিষয় ছিল। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জিএসপি সুবিধা বাতিলের পেছনে যে লবিস্টের মাধ্যমে বিএনপি এবং তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্র ছিল, এটি খালেদা জিয়ার লেখাতেই পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। খালেদা জিয়া লিখেছেন, ‘তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের) অবশ্যই শেখ হাসিনাকে বোঝাতে হবে যে, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হবে যদি তার রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধী ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে সচেষ্ট ব্যক্তিদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া না হয়।’ খালেদা জিয়া তার লেখায় বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের সমালোচনা করেন। খালেদা জিয়া লেখেন, ‘তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের) এসব পদক্ষেপ হতে হবে অবশ্যই শক্তিশালী ও দৃশ্যমান—যেন আমাদের জনগণ তা দেখতে এবং শুনতে পারে। এর মাধ্যমেই সারা বিশ্বকে গণতন্ত্রায়নে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের মিশন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও সারা বিশ্বের বিশেষ কিছু করার এখনই উপযুক্ত সময়।’ নিবন্ধ প্রকাশের পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সভায় মওদুদ আহমদ বলেছিলেন, ‘সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। এসব বিষয়ে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে নিবন্ধ লিখেছেন। গণতন্ত্রকে সুরক্ষা করার জন্য এই নিবন্ধ লেখা হয়েছে।’ সরকারি দলের নেতাদের সমালোচনার জবাবে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সরকারের আঁতে ঘা লেগেছে বলেই বিরোধীদলীয় নেতার প্রকাশিত নিবন্ধ নিয়ে গতকাল (৩১ জানুয়ারি) সংসদে কুরুচিপূর্ণ ভাষার সমালোচনা করা হয়েছে। তাদের সমালোচনাই প্রমাণ করে বিরোধীদলীয় নেতা নিবন্ধে সত্য কথা বলেছেন।’ মওদুদের পাশাপাশি মির্জা ফখরুলও ৬ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, ‘দেশের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতে বিরোধীদলীয় নেতা এই নিবন্ধ লিখেছেন। দেশের নাগরিক হিসেবে তিনি (খালেদা জিয়া) তা লিখতেই পারেন।
দুই.
গত ৫২ বছরের ইতিহাসে বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় ছিল। জিয়াউর রহমানের একবার ক্ষমতা গ্রহণ আর খালেদা জিয়া দুই মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন (যদি ’৯৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনে দেড় মাস ক্ষমতায় ছিল)। সে সময়কার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক সম্পর্ক কেমন ছিল, তা একটু দেখে নেওয়া যেতে পারে।
১৯৭৭ : ৩০ এপ্রিল, বালাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জিয়াউর রহমান বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি দেশ পরিচালনায় ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
১৯৭৭ : যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে গঙ্গার পানির হিস্যা ৪৫ হাজার কিউসেক থেকে কমিয়ে ২০ হাজার কিউসেক করা হয়। বিএম আব্বাস এটি-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
১৯৭৮ : যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে ভারত টিপাইমুখ ব্যারাজের নকশা উপস্থাপন করলে বাংলাদেশ তাতে সম্মতি জানায়।
১৯৮০ : ২১ জানুয়ারি, জিয়াউর রহমান ইউনিডোর সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে যান। জনপ্রিয় দৈনিক হিন্দুর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কিছু বলার নেই।’ বাণিজ্য ঘাটতি প্রসঙ্গে জিয়া বলেন, ‘ভারত বড় দেশ, তাই বাণিজ্য ঘাটতি স্বাভাবিক ঘটনা।’
১৯৯১-৯৬ (বেগম জিয়ার শাসনামল)
১৯৯১ : বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাংক সমীক্ষণ প্রতিবেদন FAP-১, বাংলাদেশ সরকারের কাছে পেশ করা হয়। সমীক্ষা প্রতিবেদনে সিলেট অঞ্চলে বন্যা ঠেকাতে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা সমর্থন করা হয়। সমীক্ষা প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদের সপ্তম বৈঠকে অনুমোদিত হয়।
১৯৯২ : ভারত সফরে যান তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। এই সফরের যৌথ ঘোষণায় ভারতের পণ্য সরবরাহ সুবিধা দিতে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পণ্য পরিবহনের সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়।
১৯৯৩ : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের সফরে ভারত যান। সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ফারাক্কা, তিস্তা এবং অমীমাংসিত সীমানা প্রশ্নে কোনো আলোচনা হয়নি। দেশে ফিরে ফারাক্কা প্রশ্নে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রসঙ্গটি আমি ভুলে গিয়েছিলাম।’
২০০১-২০০৬ (বেগম জিয়ার শাসনামল)
২০০১ : আগস্ট, নির্বাচনের আগে উচ্চ পর্যায়ের একটি বিএনপি প্রতিনিধিদল ভারত সফর করে। ২৬ আগস্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বিএনপির নেতা রিয়াজ রহমান জানিয়েছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ ভারতে গ্যাস রপ্তানি করবে। বাংলাদেশে ভারতের পণ্য উন্মুক্ত করা হবে এবং সব ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া হবে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর জামায়াত বিএনপি সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, সরকার ভারতে গ্যাস রপ্তানি করবে। মাটির নিচে গ্যাস ফেলে রেখে লাভ কী? গ্যাস রপ্তানি করলে ডলার-টলার পাওয়া যাবে। তা ছাড়া গ্যাস রপ্তানি প্রসঙ্গে জামায়াত বিএনপি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’ পত্রিকার বর্ষ ৫-এর ১১তম সংখ্যায় সাক্ষাৎকার দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ‘আমরা পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারতে গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।’
২০০২ : ফেব্রুয়ারি, যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশ গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তিকে কার্যকর করার প্রস্তাব দেয়। বেগম জিয়া সরকারের পানিসম্পদমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘এই চুক্তিই বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে।’
২০০৩ : মার্চ, ভারত অভিযোগ করে, বাংলাদেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ এর কোনো প্রতিবাদ করেনি।
২০০৩ : এপ্রিল, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারত থেকে জঙ্গিরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। সেখানে তারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
২০০৪ : জানুয়ারি, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করে লস্কর-ই-তৈয়বাসহ বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ভারত বাংলাদেশ সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে।
২০০৫ : অক্টোবর, উলফা নেতা অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফের বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়। এই রিপোর্ট পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো হলেও এ ব্যাপারে ঢাকা কোনো প্রতিবাদ করেনি।
২০০৫ : ডিসেম্বর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সার্ক সম্মেলন বাতিল হয়ে যায়।
২০০৬ : ২০ মার্চ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া তিন দিনের ভারত সফরে যান। এই সফরে গঙ্গার পানি চুক্তি, পার্বত্য চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ ইত্যাদি কোনো প্রসঙ্গ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত হয়নি।
বিএনপি বোধ হয় ভুলে গেছে ২০০১-০২ সালের পরিস্থিতি আর আজকের বাস্তবতা একেবারেই এক নয়। তা ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দলকে দেশের আপামর জনসাধারণ কখনোই নির্বাচিত করবে না।
লেখক : রাজনীতি বিশ্লেষক
মন্তব্য করুন