ফারাজী আজমল হোসেন
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৯ এএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:১১ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ধ্বংসাত্মক রাজনীতি বনাম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’

ফারাজী আজমল হোসেন
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে মেতে উঠেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। গোটা দেশ নির্বাচন ঘিরে উন্মাদনায় টগবগ করলেও তারা ব্যস্ত ছিল জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে। তবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এ জোটের প্রায় সব কর্মসূচিই ব্যর্থ হয়ে গেছে। নির্বাচনের আগে মানুষ যেমন মেতে উঠেছিল নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়, তেমনি এরই মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের দিনে মানুষ নিজ ইচ্ছায় এসেছেন ভোট দিতে। অন্যদিকে, জনগণের এ সমর্থন কাজে লাগিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য আরও একবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ উন্নীত করার যুদ্ধে নেমেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের বড় সাফল্য ডিজিটাল বাংলাদেশে উত্তরণ। ২০০৮ সালে ভোটের আগে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। ‘স্মার্ট নাগরিক’, ‘স্মার্ট সরকার’, ‘স্মার্ট অর্থনীতি’ ও ‘স্মার্ট সমাজ’—এ চারটি স্তম্ভের সমন্বয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়া হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে।

প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সুশাসনের। গণতন্ত্র, নির্বাচন ও কার্যকর সংসদের মাধ্যমে ফের গড়ে তোলা হবে স্থিতিশীল বাংলাদেশ। বলা হয়েছে, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষার কথা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ অব্যাহত রাখার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ইশতেহার প্রকাশ করে তিনি জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

২০০১-০৬ সালের বিভীষিকাময় জঙ্গিবাদের সময়ের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেবে। ক্ষমতায় এসেই সেটা কার্যকর করে দেখিয়েছে তারা। এবার প্রতিশ্রুতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ। সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী কর্মসূচি চলমান থাকবে। স্থানীয় সরকারকে আরও কার্যকর করার পাশাপাশি ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা স্থাপনের অঙ্গীকার রয়েছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে।

উচ্চ আয়, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নই আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় আসার পর তাদের অগ্রাধিকারের জায়গা হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতের গুরুত্ব অব্যাহত থাকবে। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমনকেও গুরুত্ব দেবে তারা। পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য হ্রাসে পাবে সরকারের অগ্রাধিকার। ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। তরুণ যুবসমাজকে ‘তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ প্রকল্পের মাধ্যমে বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি, শিল্প উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রেও উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

শেখ হাসিনার হাত ধরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার। সেই উন্নয়ন ধারা থাকবে অব্যাহত। সুনীল অর্থনীতির মাধ্যমে বিকশিত হবে বাংলাদেশ। সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহার দেশকে আর্থিকভাবে আরও সচ্ছল করে তুলবে। সামাজিক নিরাপত্তা ও সেবার ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভোট প্রচারে। সর্বজনীন পেনশনের জন্য সময়োপযোগী উদ্যোগ নেওয়া হবে। মনে রাখতে হবে, বর্তমান সরকারের আমলেই ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন প্রণীত হয় এবং ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন হয়।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিজ্ঞানে সমৃদ্ধ দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ রূপকল্প-২০২১-এর ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০৪১-এর কর্মসূচিতে মৌলিক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা উন্নত ও সম্প্রসারিত করার কথা বলা হয়েছে।

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকেই হাতিয়ার করার কথা বলছে আওয়ামী লীগ। সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করবে সরকার। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, সংস্কৃতির ভেতর দিয়েই সভ্যতা, মানবতা, বিশ্বজনীনতা, জাতীয়তা সমৃদ্ধ ও বিকশিত হয়। খেলাধুলার বিকাশে প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ চলছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রীড়া ক্লাব গড়ে তুলে বিনামূল্যে ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে খেলার মাঠের উন্নয়ন, ক্রীড়া অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাসহ ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট সবার প্রশিক্ষণ সুবিধাদি সম্প্রসারণে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

শ্রমিক কল্যাণ ও শ্রমনীতি আরও বেশি মানবিক করার কথা বলছে আওয়ামী লীগ। নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নারী উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণ নারীদের সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং শ্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে। গ্রামীণ নারীদের অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে।

শিশু কল্যাণ, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও প্রতিবন্ধী কল্যাণে সরকারের কর্মসূচি থাকবে অব্যাহত। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সম্প্রসারণ করা হবে। ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিবন্ধী সুরক্ষা বীমা’ চালু করা হয়েছে। প্রবীণদের ক্রিয়াশীল রাখতে, সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রগতিতে তাদের অবদান যুক্ত হবে। ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে আরও যত্নশীল হবে সরকার। সংবিধানের আলোকে সবার অধিকার সুরক্ষায় উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করবে আওয়ামী লীগ। হিজড়াদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবদান গোটা দুনিয়াই স্বীকার করে। গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স ২০২১ অনুযায়ী, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করা ও খাপ খাইয়ে চলা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ভৌত-প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ। তাই সেই চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে মোকাবিলা করার বিষয়েও অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশ।

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই সেই স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত নৌকার হাতেই। পররাষ্ট্র নীতিতে যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে জঙ্গিবাদ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি রোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আওয়ামী লীগ শুধু ভোটে জেতার জন্যই গালভরা কথা ইশতেহারে লেখে না। যে প্রতিশ্রুতি তারা দেয়, সেই প্রতিশ্রুতি পালনও করে তারা। গত ১৫ বছরের শাসন সেটাই প্রমাণ করে। গোটা দেশের সার্বিক উন্নয়নই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগ যখন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণে ব্যস্ত, তখন জনগণের সামনে শুধু নিজের দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার বিভিন্ন আলোচনায় ব্যস্ত বিএনপি ও তার নেতাকর্মীরা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেই ‘নির্বাচন কারচুপি হয়েছে’, ‘রাতের ভোট’ হয়েছে, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি—এমন বহু বক্তব্য এসেছে বিএনপির কাছ থেকে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি হ্রাসের জন্য ৫ তারিখ থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগে, বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারণা ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ, ট্রেনে আগুন দিয়ে শিশুসহ চারজনকে হত্যা এবং দেশজুড়ে ২০০টির বেশি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গেল বছরজুড়েই বিভিন্ন সময় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে এমন দাবিতে আন্দোলন করে আসছে দলটি। কিন্তু সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠানোর জন্য জনসমর্থন বা যৌক্তিক কোনো কারণ উপস্থাপন করতে পারেনি বিএনপি। জনসমর্থন অর্জনের ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াতের এ সহিংসতা এই দেশের মানুষকে আরও একবার ২০০১-০৬ সালের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কথা মনে করিয়ে দেয় এবং সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দেয়, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিএনপির ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত চালানো তাণ্ডবের কথা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারাই ভোট দিতে এসেছেন, প্রত্যেকের মনেই হয়তো ছিল জামায়াত-বিএনপির সেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কথা। এ কারণেই বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বদলে তারা আরও একবার বেছে নিল শেখ হাসিনার উন্নতির বাংলাদেশকে, স্মার্ট বাংলাদেশকে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২২ হাজার সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগের ঘোষণা আসছে

শেয়ার মার্কেটেও কারসাজি বীকনের, পিওনদেরও কোটি কোটি টাকার শেয়ার

জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা নিহত

এবার জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে বন্দুক হামলা

হংকংয়ে কোম্পানি খুলেছেন সাবেক এমপি, অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা

মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইসিসির সাহসী পদক্ষেপ : এরদোয়ান

সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই ডাক্তার, রোগী দেখছেন ফার্মাসিস্ট

জাংক ফুড খেলে কি স্মৃতিশক্তি কমে যায়? 

১০

‘রোহিঙ্গা সংকট কক্সবাজারের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে’

১১

জলবায়ু সম্মেলন / বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার পাবে দরিদ্র দেশগুলো

১২

‘শেখ হাসিনা আ.লীগকে কবর দিয়েছেন’

১৩

স্ত্রীকে শেষ কথা শহীদ জামালের / তুমি বাড়ি যাও, আমি আসছি

১৪

ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে কুড়িগ্রাম

১৫

বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত

১৬

আ.লীগ নেতা ডন গ্রেপ্তার

১৭

আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ

১৮

আমরা কি মানুষ নই? বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০

১৯

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই

২০
X