ইংরেজ কবি ওয়ার্ডস ওয়ার্থ মজেছিলেন ‘ড্যাফোডিল’ ফুলে। বসন্তে ফোটা টিউলিপ জাতের এ ফুলের রোমাঞ্চে শিহরিত হয়ে একটি কবিতাও লিখেছিলেন এ কবি। ড্যাফোডিলের আরেক নাম নার্সিসাস। দেখতে অপূর্ব হলেও নার্সিসাস এক ভয়ংকর ফুল। মোহনীয় এ ফুলের গোটা গাছটাই বিষে পরিপূর্ণ। এটি পেটে গেলেই সর্বনাশ। প্রথমে হবে ঝিমুনি ভাব। তারপর প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, বমি এবং পাতলা পায়খানা। ড্যাফোডিল কিংবা নার্সিসাস মানুষের মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। শুধু ড্যাফোডিল নয়, এরকম ভয়ংকর সুন্দর ফুলের সংখ্যা কম নয়। করবী ফুল বিষাক্ত। দক্ষিণ ভারতের প্রচুর মানুষ ‘আত্মহত্যা’র জন্য এ ফুলটি ব্যবহার করে। কালজয়ী সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ‘আত্মজা এবং একটি করবী গাছ’ গল্পটি এরকম দুর্ভাগ্যের এক অনবদ্য ছোটগল্প। যে গল্পে রুকুর বুড়ো বাবা আর্তনাদের মতো বলেন, ‘চমৎকার বিষ হয় করবী ফুলের বিচিতে।’ বাড়িতে করবীগাছ লাগিয়েছিলেন বিষের জন্য। ধুতরা ফুলের বিষের কথা তো আমরা সবাই জানি। আবার কিছু ফুল আছে, যার ফুল সুন্দর কিন্তু গন্ধহীন। কিছু ফুল আছে, যা দেখতে অত আকর্ষণীয় নয়, কিন্তু ফল দেয় উপাদেয়। গোলাপের মতো সুন্দর ফুলের সঙ্গে কাঁটাও থাকে।
ফুল নিয়ে আমার এসব নানা ফিরিস্তির কারণ রাজনীতি। গত ২১ জুন বুধবার গণভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী। কাতার ও সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মলন মানেই প্রাণবন্ত খোলামেলা কথাবার্তা। সব বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি কথা বলেন অকপটে। এ সংবাদ সম্মেলনও তার ব্যতিক্রম ছিল না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলো ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গ। দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে যখন নির্বাচন হবে, তখন অনেকেই প্রার্থী হতে পারে। শত ফুল ফুটুক, যে ফুল সবচেয়ে সুন্দর সেটি আমি বেছে নেব।’ আওয়ামী লীগে এখন বসন্তকাল। তাই মনোনয়নপ্রত্যাশীর অভাব নেই। নানা রং, বর্ণ ও গন্ধের ফুলে শোভিত আওয়ামী বাগান। জাতীয় সংসদ নির্বাচন তো পরের কথা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও একেকটি ইউনিয়নে অন্তত ১০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী। জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে দুই ডজনের কম মনোনয়নপ্রত্যাশী না থাকলে তো অনেক আওয়ামী লীগ নেতা হতাশ হয়ে পড়েন। ২৩ জুন আওয়ামী লীগ ৭৫-এ পা রাখল। নানা প্রতিকূলতা এবং চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দলটি এখন বসন্তকাল উদযাপন করছে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্টে নারকীয় বিভীষিকার পর যে দলের নেতারা সাংগঠনিকভাবে প্রতিরোধের ডাক দিতে পারেনি, জাতির পিতার রক্তের ওপর দিয়ে যে দলের নেতারা খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছে, ’৭৫-এর পর যে দলের কোনো কার্যালয়ে বাতি জ্বালানোর লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি—সেই দলে এখন নেতার অভাব নেই। বর্ষায় বিলে যেমন নানা মাছ কিলবিল করে, আওয়ামী লীগ এখন তেমনি নেতায় টইটম্বুর। এরা সবাই কিছু না কিছু চায়। কেউ মন্ত্রী হতে চায়। কেউবা এমপি। কারও চাই পদ। কেউ চায় ব্যাংক, কেউ বিদ্যুৎকেন্দ্র, কেউ বড় ঠিকাদারি। আর পাওয়া না পাওয়া নিয়েই আওয়ামী লীগের নেতা, পাতি নেতারা আজ বিভক্ত। কোথাও খুনোখুনি হচ্ছে, কোথাও মারামারি। কে কাকে রুখবে? আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামী লীগই। এবার নির্বাচনে যে আওয়ামী লীগে মনোনয়ন ইচ্ছুকদের বাম্পার ফলন হবে, তা বলাইবাহুল্য। শত ফুল নয়, এমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর আওয়ামী লীগের লাখো ফুল। এসব ফুলের মধ্যে বিষাক্ত ফুল চিনবেন কীভাবে? কোন ফুল আপনার জন্য প্রাণঘাতী কীভাবে জানবেন?
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। তারপর টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় আছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি। ৭৪ বছরের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সুসময় পার করেনি জাতির পিতার হাতে গড়া এ সংগঠনটি। আওয়ামী লীগের আসল ইতিহাস আসলে ‘ক্ষমতা’ নয়। আওয়ামী লীগের ইতিহাস আত্মত্যাগ, জেল, জুলুম নির্যাতন। আওয়ামী লীগের ওপর যত নিপীড়ন হয়েছে, বাংলাদেশে আর কোনো রাজনৈতিক দল এমনটা সহ্য করেনি। ২০০৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতার গায়েই নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গায়ে রক্ত ও মাটির ঘ্রাণ পাওয়া যেত। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের একজন কর্মীও ছিলেন সাধারণের মধ্যে অসাধারণ। গ্রামগঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতাদের ত্যাগ, নির্যাতন, আদর্শবাদিতা নিয়ে চর্চা হতো। মানুষ তাদের শ্রদ্ধার চোখে দেখত। কিন্তু ২০০৯-এ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। চকচকে বাবু সোনারা, ধনী, ব্যবসায়ী, বড় শিল্পপতি, ঋণখেলাপি, ধুরন্ধর ঠিকাদার, সুবিধাবাদী দালালরা, ফাঁকফোকর দিয়ে আওয়ামী লীগে ঢুকতে থাকে। ২০১৪-এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের দরজা ভেঙে ঢুকতে থাকে নানা স্বার্থে, নানা মতলবের লোকজন। ২০২৩ সালে এসে মনে হয় অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিডরাই যেন আওয়ামী লীগকে দখল করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগে নির্যাতনের ক্লিষ্ট, কাদামাটির গন্ধ মেশানো মানুষের সংখ্যা কমে যেতে থাকে। এখন আওয়ামী লীগের নেতাদের একটি বড় অংশই কেতাদুরস্ত, ফিটফাট সাহেবি ভঙ্গিমায় তারা কথাবার্তা বলেন। আনস্মার্ট গ্রামীণ আওয়ামী লীগের নেতারা এখন মেয়াদোত্তীর্ণ। দলের এখন নেতৃত্বে আসছেন বিদেশি শিক্ষায় শিক্ষিত অথবা মডার্ন বহিরাগতরা। কিছুদিন আগে এদের রাখা হতো সাইডলাইনে। কিন্তু এখন এরা মূল নেতৃত্বে জায়গা করে নিচ্ছেন। এরা এখন মনোনয়নও পাচ্ছেন। এই এলিট আওয়ামী লীগদের দেখলেই ২০০১ সালে মার খেয়ে পঙ্গু হওয়া আওয়ামী লীগের কর্মীটি কুণ্ঠিত হয়ে যান। ফুলের যেমন নানা প্রকারভেদ আছে, তেমনি আওয়ামী লীগেও নানা ধরনের ফুল। নার্সিসাস কিংবা ড্যাফোডিল ফুলের মতো খুনি মোশতাক আওয়ামী লীগের বাগান উজ্জ্বল করে রেখেছিল। শেখ হাসিনাকে কাটায় বিদ্ধ করে অনেক ‘গোলাপ’ বাকশালের জন্ম দিয়েছিল। এক-এগারোর সময় আওয়ামী লীগেরই অনেকে শেখ হাসিনার জন্য সংস্কার প্রস্তাবের নামে করবী ফুলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়েছিল। আওয়ামী লীগের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বারবার নিজেদের বিষেই নীল হয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই আগামী নির্বাচনে ‘সুন্দর ফুল’ নয়, ‘সঠিক ফুল’ বাছাই করাটা অত্যন্ত জরুরি। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, ‘চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমি জানি।’ ষড়যন্ত্র কি শুধু বাইরে হচ্ছে নাকি ঘরেও? বিষাক্ত ফুল হয়ে হত্যার মতলবে কতজন আওয়ামী বাগানে অপেক্ষায় আছে কে জানে? আওয়ামী লীগের বাগানে মনোনয়নপ্রত্যাশী শত ফুলের বেশিরভাগ ফুলই বহিরাগত। বাইরে থেকে এসে এরা বাগান দখল করেছে। বিদেশি ফুলের মতোই এরা চিত্তাকর্ষ, চকচকে, ঝকঝকে। কিন্তু এসব ফুল কি আওয়ামী লীগের কাজে আসবে? আওয়ামী লীগের বাগানে কিছু ফুল আবার ‘অতিথি ফুল’। এরা সুসময়ে ফোটে, দুঃসময়ে থাকে না অথবা মরে যায়। আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের জন্য প্রয়োজন এমন ফুল দরকার যার ফল হয়। ফল থেকে নতুন বীজ। বীজ থেকে নতুন বৃক্ষ। এ চক্রাবৃত্তের আর্বতই একটি সংগঠন বাঁচিয়ে রাখে, শক্তিশালী করে। হাইব্রিড ফুল দেখতে সুন্দর বটে, কিন্তু এ ফুলের বীজ থেকে নতুন বৃক্ষের জন্ম হয় না। এরা সুসময়ে শোভিত ড্রইংরুমে শোভাবর্ধন করে মাত্র। অনুপ্রবেশকারী ফুল কিংবা হাইব্রিড ফুল আদৌতে আওয়ামী লীগ বা কোনো সংগঠনের জন্য কাজে দেয় না। কিন্তু টানা প্রায় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগে এখন এসব হাইব্রিড এবং আমদানি করা ফুলের কদর বেশি। খরা, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে যে ফুলগুলো দলে আঁকড়ে ছিল, বাগান পরিচয়টা যেন টিকে থাকে সে জন্য বিরূপ পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করেছিল, তারা এখন মূল্যহীন, অপাঙক্তেয়। এসব ফুল এখন অবহেলায়, অনাদরে, উপেক্ষায় পড়ে আছে বাগানে। এ ফুলেরা কি আগামী নির্বাচনে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে?
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নেতা। কিন্তু আওয়ামী লীগের আসল প্রাণশক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাত ধরেই আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটেছে। জনগণের প্রাণের দলে পরিণত হয়েছে। বিকশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ বেঁচে আছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর ভর করে। টুঙ্গিপাড়ার এক অজপাড়াগাঁয় এক তরুণ এ সংগঠনকে প্রাণ স্পন্দন দিয়েছেন। বড় বড় নেতাকে পেছনে ফেলে তিনি হয়ে উঠেছিলেন আওয়ামী লীগের মূল ব্যক্তি। এ জাতির কান্ডারি। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে পাওয়া যায় তার রাজনৈতিক ত্যাগ, পরিশ্রম এবং সংগঠন গড়ে তোলার চিত্র। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কথা কাটাকাটির একটি ঘটনার চমৎকার বর্ণনা আছে। একজনকে কমিটিতে রাখা না রাখা নিয়ে সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দ্বিমত হয়। সে সময় সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, ‘হু আর ইউ, ইউ আর নো বডি।’ উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আই উইল প্রুফ দ্যাট আমি অ্যাম সামবডি।’ বঙ্গবন্ধু এরকম কোটি ‘নো বডি’দের দিয়েই সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। তাদের সঙ্গে নিয়েই রচনা করেছিলেন বাঙালির জাগরণের মহাকাব্য। আওয়ামী লীগের সেই ‘নো বডি’রা এখন কোথায়? বহিরাগত, সুবিধাবাদী এবং চাটুকারদের ভিড়ে তারা এখন চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে আছে। আওয়ামী লীগে এখন একটা এলিট শ্রেণি তৈরি হয়েছে। এরা দামি গাড়িতে ঘুরবে। জনগণ থেকে আলাদা থাকবে। কর্মীদের চিনবে না। টক শোতে স্মার্ট ভঙ্গিতে ভুল ইংরেজি এবং ভুল বাংলায় কথা বলে নিজেদের পণ্ডিত প্রমাণ করবে। অতঃপর মনোনয়ন নেবে। মন্ত্রী হবে। টাকা বানাবে। ইদানীং আওয়ামী লীগের কমিটিগুলোতেও তাদের আগ্রহ। আর এক শ্রেণি আছে, যাদের জন্ম আওয়ামী লীগে। ’৭৫-এ বাপ-দাদারা বাড়ি-ছাড়া হয়েছে। জেল খেটেছে, জীবন দিয়েছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নির্যাতিত হয়েছে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে এদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মীর কারও বোন, কারও মা, কারও খালা, পূর্ণিমা, ফাহিমার মতো সম্ভ্রম হারিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারদের হাতে। এ কর্মীদের অনেকে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি। পলাতক জীবনে বঙ্গবন্ধুর জন্য দুই ফোঁটা চোখের জল ফেলেছে। এরা গরিব, এদের গায়ে ঘামের গন্ধ। এদের গায়ে জীর্ণ মুজিব কোট। গত ১৪ বছরে এরা প্রায় অবসরে। মাঝেমধ্যে স্লোগান দেওয়ার জন্য, বক্তৃতার মাঠ ভরাট করার জন্য এদের ডাক পড়ে। এরা কর্মী ওরফে কামলা। এরা কোনোদিন মনোনয়ন পাবে না, এরা কেউ মন্ত্রী হবে না। এরা শুধু হাততালি দেবে। আর দুঃসময়ে মার খাবে। ২০১৪ ও ’১৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামনে সুযোগ ছিল এসব ‘নো বডি’দের সংসদে আনার, সামনে আনার। কিন্তু অপূর্ব সুন্দর হাইব্রিড আর বাইরের ফুলে আড়াল হয়ে গেছে এরা। একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি এদের কদর করেন। খুঁজেপেতে এদের কয়েকজনকে সংসদেও এনেছেন। কিন্তু ব্যবসায়ী, আমলা, লুটেরা, ঋণখেলাপি আওয়ামী লীগারদের মধ্যে এরা শ্বাস নিতে পারছে না। বেলাডোনা, অটাম ক্রোকাস, বিচ অ্যাপেল, রডোডেনড্রন, কিংবা অলেন্ডার ফুলগুলো দেখতে খুব সুন্দর, কিন্তু আসলে এগুলো বিষ। তেমনি, অনুপ্রবেশকারী স্মার্ট, কেতাবি পরিপাটি নব্য আওয়ামী লীগাররা। এরা বিষাক্ত ফুলের চেয়েও ভয়ংকর। আওয়ামী লীগ কি নিজেদের বাগানের ফুলগুলো পরিচর্যা করে নির্বাচনে সামনে আনবে, নাকি অপরিচিত ফুলের মোহে বিষাক্ত হবে?
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
মন্তব্য করুন