ড. মো. আবদুর রহিম
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৬ এএম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৪৩ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

উৎসবমুখর হোক নির্বাচনী ট্রেনযাত্রা

উৎসবমুখর হোক নির্বাচনী ট্রেনযাত্রা

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশে এক ভাষণের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছেন। তপশিল ঘোষণার পরপরই সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। নির্বাচনপ্রিয় বাঙালি চায়ের স্টল, হাটবাজার, জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় নির্বাচনী আলোচনায় সরগরম করতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কিছু দল ঘোষিত তপশিলকে স্বাগত জানিয়েছে। বিএনপি ও তার অ্যালায়েন্স তপশিল প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অনলাইন বক্তব্যে তপশিলের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। কয়েকটি ক্ষুদ্র দল তপশিল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবারের নির্বাচনে তার দেশ নিরপেক্ষ থাকবে বলে জানিয়েছেন। ইইউ আশা প্রকাশ করেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলো সারা দেশে তপশিলকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল সমাবেশ করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে নির্বাচনী ট্রেন জোরেশোরে যাত্রা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ ১৭ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। দেশে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনকামী মানুষের মধ্যে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পার্টি অফিসগুলো মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পদভারে মুখর। সারা দিন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দৌড়ঝাঁপের কারণে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। তপশিল ঘোষণার মাধ্যমে এরও অবসান হয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র হিসেবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী ট্রেনে ওঠানোর চেষ্টা করেছেন। তারা প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিলেও বিএনপি আবারও সরকারের পদত্যাগের শর্ত জুড়ে দিয়ে আলোচনায় না বসার কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করে সবার আগে বিএনপিই যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে নাকচ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবশ্য শর্তহীন আলোচনার আহ্বান নাকচ না করলেও এখন আর সময় নেই বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, শর্তহীন সংলাপে আওয়ামী লীগ বরাবরই ইতিবাচক ছিল।

এখন দেখার বিষয় নির্বাচনী ট্রেনে কারা আরোহণ করছে। তপশিল ঘোষণার অব্যবহিত পরেই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া দেখে ধারণা করা যায়, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কাস পার্টিসহ ১৪-দলীয় জোটভুক্ত দলগুলো নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে। বিএনপি তাদের পূর্বসিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। মিডিয়ার সামনে কথা বলার মতো বিএনপির কোনো নেতা দেখা যায়নি। দলটির অপারেশনাল নেতৃত্বে যারা আছেন, তাদের মধ্যে কিছু জেলে, কিছু আত্মগোপনে রয়েছেন। যুদ্ধের ময়দানে সেনাপতি না থাকলে যা হয়, সেরকম অবস্থা বিরাজ করছে বিএনপি শিবিরে। অবশ্য অনলাইনে একটি বক্তব্য পাওয়া গেছে। কাজেই বিএনপির মূল সমস্যা নেতৃত্ব। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ম্যান্ডেট বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের নেই। রাজনীতি হলো একটি কৌশলগত বিষয়। পরিস্থিতি সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার (স)ক্ষমতা ও ধীশক্তির প্রয়োজন হয়। বাণী প্রাপ্তির আশায় বসে থাকলে সঠিক মুহূর্ত হাতছাড়া হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। সবাইকে শুনে তারপর সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন হয়। যেমন বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় সবার মতামতের ভিত্তিতে বা কখনো পরিস্থিতি বুঝে নিজে যে সিদ্ধান্ত দিতেন, তা পার্টির নেতাকর্মীরা আবশ্যকভাবে মেনে চলতেন। এ ধারা শেখ হাসিনার সময়ে অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির যেসব নেতৃত্ব মাঠপর্যায়ে রয়েছেন, তাদের বাণী প্রাপ্তির আশায় বসে থাকতে হয়। এভাবে একটি রাজনৈতিক দল কতদূর যেতে পারে সেটাই দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে প্রত্যাশা মোতাবেক নেতৃত্ব প্রতিস্থাপনের ক্ষমতা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের নেই, তা ধারণা করা যায়। বিএনপি যদি দূরদর্শী রাজনৈতিক দল হয় তবে তাদের নির্বাচনে যাওয়া উচিত। আন্দোলনের অংশ হিসেবে হলেও নির্বাচনে যাওয়া উচিত। নির্বাচনে গেলে হয় জয়লাভ করে ক্ষমতায় যাবে না হয় বিরোধীদলীয় আসনে বসবে, যা কিছুই হোক না কেন, তারা সংসদে যাবে। সংসদে গেলে জনগণের কথা বলার সুযোগ তৈরি হবে। সেই সূত্রে আগামী দিনের ভোটারদের সঙ্গে একটি যোগসূত্র স্থাপিত হবে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের নেতৃত্বের ক্ষমতায়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আওয়ামী লীগ অভাবনীয় উন্নয়ন করলেও করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক বাস্তবতায় দ্রব্যমূল্য প্রান্তিক মানুষের সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারেনি। আর দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় সরকারি দলের মাঠপর্যায়ে অনেক নেতাকর্মীর দুর্নীতি এবং অসদাচরণের কারণে মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে। বিএনপি সেটি কাজে লাগাতে পারত। তারা সেটা না করে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য অনড় রয়েছে। যারা তাদের আশা ও ভরসা দিচ্ছে, তাদের কি সেই সক্ষমতা আছে? সংসদীয় গণতন্ত্রে ভরসা দেওয়ার একমাত্র মালিক জনগণ। এ ছাড়া গণঅভ্যুত্থান করে ক্ষমতায় বসে প্রবাসী নেতাকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের যে অভিলাষ তাদের রয়েছে, তা আপাতত সুদূরপরাহত। সে ধরনের অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব নয়। প্রবাসে থেকে দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানো যতটা সহজ, রাজনৈতিক দর্শন পাঠিয়ে মাঠ উর্বর করা ততটাই কঠিন—জেলে বসে সেটা সম্ভব। বিএনপিকে আপাতত সেই বাস্তবতা মেনে রাজনীতি করতে হবে।

অতীতের কিছু নির্বাচনের বিষয়ে নজর দেওয়া যাক; যেখানে নির্বাচনে জয়লাভ করেও ক্ষমতায় যেতে না পারার শঙ্কা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন না হওয়ার পূর্বধারণা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে কী ফল হয়েছিল। ১৯৭০ সালে নির্বাচনের প্রাক্কালে মওলানা ভাসানী ‘ভোটের আগে ভাতের অধিকারের’ দাবিতে ভোট বর্জন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ভোটে গিয়েছিলেন। ২৮ অক্টোবর ১৯৭০ সরকারি রেডিও টেলিভিশনে প্রথমবার বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘তাদের অর্থ আছে, প্রভাব আছে, জনসাধারণের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের ক্ষমতাও তাদের রয়েছে।’ তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা বিঘ্নিত করা হলে আওয়ামী লীগ সব শক্তি দিয়ে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’ এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে ক্ষমতায় যেতে না পারলেও পরিশেষে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিল, সেই নির্বাচনী ফলাফলের ভিত্তিতে যুদ্ধকালে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সত্যিকারের জনগণের রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছিল। মওলানা ভাসানীর ন্যাপ ব্র্যাকেট বন্দি হয়ে কোনোরকমে টিকে থাকার সংগ্রাম করেছে। ১৯৭৯ সালে দুভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগ একতরফা এবং কারচুপির নির্বাচন হবে জেনেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯টি এবং আওয়ামী লীগ (মিজান) ২টি আসন পেয়েছিল। ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের আমলে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৭৬টি আসনে জয়লাভ করেছিল। এসবই ছিল আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কৌশল। আওয়ামী লীগ ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে দলকে রক্ষা করেছিল। রাজনৈতিক দল বেঁচে থাকে নির্বাচনের মধ্যে। নির্বাচনে অংশ নিলে মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীদের মধ্যে আত্মিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। সংগঠন শক্তিশালী হয়। নির্বাচনবিহীন নেতাসর্বস্ব দল চার দেয়ালের ঘরোয়া (বিনোদন) পার্টিতে পরিণত হয়। আমাদের দেশে বাস্তবতা-বিবর্জিত ইউটোপিয়ান আউডোলজি নিয়ে ভাবনার জগতে বিচরণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি বক্তৃতা বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেকের অবাস্তব কথাবার্তায় মানুষ বিনোদনের খোরাক পায়। অথচ সেসব রাজনৈতিক নেতাদের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। শুধু কল্পনার জগতে বিচরণ করার কারণে; মানুষের কাছে না যাওয়ার কারণে অনেক সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অথচ এসব দলের আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ ছিল। এমনটা হলে আওয়ামী লীগের ওপর বিরক্ত হয়ে মানুষ ভোট দেওয়ার একটা বিকল্প খুঁজে পেত। বিকল্প না থাকায় আওয়ামী লীগের ওপর বিরক্ত হয়েও মানুষ আওয়ামী লীগকেই ভোট দেয়, বাধ্য হয়ে—স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তিকে ঠেকানোর জন্য।

কাজেই কোনো দলের নির্বাচনে আসা বা না আসার অধিকার রয়েছে। সে সিদ্ধান্ত সে দলকেই নিতে দিতে হবে। তাদেরও সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রজ্ঞা থাকা উচিত। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন তথাকথিত সুশীল কিংবা বিদেশি স্বার্থান্বেষী বেনিয়ার খপ্পরে পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দলের এবং দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়ার কোনো মানে হয় না। যারা বিএনপিকে নিয়ে খেলছে, তারা সেটা তাদের নিজেদের স্বার্থে করছে। বিএনপি তো ২০১৪ সালে নির্বাচনে না এসে ভেবেছিল আগামী নির্বাচনে দেখে নেব, ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েও শেষমুহূর্তে সরে গিয়ে নির্বাচন বিতর্কিত করতে চেয়েছিল। হয়তো নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি, তাতে বিএনপিরও কম ক্ষতি হয়নি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার। এভাবে চলতে থাকলে রাজনীতি রাজনীতিকদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।

আশা করা যাচ্ছে, নিকট অতীতের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন স্বচ্ছ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। যতটুকু বুঝি, আওয়ামী লীগের স্বার্থেই নির্বাচনে কোনোরকম অনিয়ম বরদাশত করবেন না শেখ হাসিনা। যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য শেখ হাসিনা নিজে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রকৃত জনপ্রিয় নেতাদের বাছাই করার জন্য দফায় দফায় জরিপ করেছেন বলে জানা যায়। এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে আরেকটি ঘটনা ঘটতে পারে। সেটি হলো জাতীয় পার্টি কিংবা তৃণমূল বিএনপি ৩০০ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করতে পারলে বিএনপির বিকল্প একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেতে পারে। বিএনপির দেশপ্রেমিক অনেক নেতা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি হতাশ হয়ে তৃণমূলের ব্যানারে নির্বাচন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এমনটা হলে নবগঠিত তৃণমূল বিএনপিও শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে যেতে পারে। কেননা, বিএনপি সমর্থক সাধারণ ভোটার আওয়ামী লীগের বিকল্প একটি দলকে খুঁজে নেবে স্বাভাবিক কারণেই। পার্শ্ববর্তী দেশে তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটি উদাহরণ। একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারলে বিদেশি শক্তিগুলো এ নির্বাচন মেনে নেবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শেখ হাসিনা এক টিলে অনেক পাখি শিকার করতে পারবেন, সে বিষয়ে কোনো সংশয় নেই। এ ক্ষেত্রে আগামীতে বিএনপি মুসলিম লীগের পরিণতি ভোগ করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পরিশেষে, যে নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু হলো, সেই ট্রেন যাদের উদ্দেশে যাত্রা করল—সেই জনগণ যাত্রা শেষের স্টেশনে উৎসবমুখর পরিবেশে উপস্থিত হয়ে পছন্দমতো যাত্রীকে স্বাগত জানাবে, সে প্রত্যাশা রইল।

লেখক : অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

প্রাধ্যক্ষ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, ঢাবি

ইমেইল: [email protected]

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেবে সেভ দ্য চিলড্রেন

চাঁদ জয়ের প্রস্তুতি নিতে শিশুদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

৬ষ্ঠ দিনেও আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

টিউলিপ কী মন্ত্রী হচ্ছেন?

বন্যা নিয়ে দুঃসংবাদ দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর

জিম্মিদের মুক্তিতে মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত ফিলিস্তিনিরা

নিজ এলাকায় চিকিৎসা নিতে এমপিদের অনুরোধ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

দেশের প্রথম আইন বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিবচরে : আইনমন্ত্রী

তাঁতীবাজার সড়ক অবরোধ / গান-কবিতায় বেগবান হচ্ছে জবি শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন

প্রথম কার্য দিবসে কী করবেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী?

১০

এসিআইয়ে অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি, আছে বিদেশ ভ্রমণের সুবিধা

১১

বাবাকে খুঁজে পেতে নড়াইলের তরুণী পাবনায়

১২

এবার বেনজীরের ডুপ্লেক্স বাড়ি জব্দ

১৩

লিপি মনোয়ারকে বাংলাদেশ লেখিকা সংঘের স্বর্ণপদক প্রদান

১৪

নৌকাডুবে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর

১৫

১৩০০ বছর আগের ঐতিহাসিক ‘জাদুর’ তলোয়ার উধাও!

১৬

সুপার স্পেশালাইজডের বিদ্যমান আইনে নতুন সংযোজন প্রয়োজন : বিএসএমএমইউ উপাচার্য

১৭

ছাত্রলীগের বাধা উপেক্ষা করে ঢাবিতে কোটাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু

১৮

এশিয়া কাপের আম্পায়ারিং প্যানেলে জেসি

১৯

যে কারণে ইয়ামালকে পুরো ম্যাচ খেলাচ্ছে না স্পেন?

২০
X