আজ এমন এক মানুষের কথা বলছি, যিনি তার জাদুকরী কর্মক্ষমতা এবং মানুষের ভালোবাসার বিশেষণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি আঘাতে আঘাতে জর্জরিত একটা জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে চলেছেন এবং নিজের স্বপ্নের সঙ্গে দেশকে সংযুক্ত করতে পেরেছেন। তিনি শুধু একটা বিপন্ন জাতির ত্রাতা হিসেবেই নয়, সেই জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজটিকে সফলভাবে সম্পন্ন করার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি সেই মানুষটির কথা বলছি, যার নাম শেখ হাসিনা। ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও যিনি জীবনযাপন করেন একজন সাধারণ মানুষের মতো। যাকে দেখলে মনে হয়, আমাদের অতিচেনা পরিচিত ঘরের মানুষ, যার সঙ্গে সহজেই গল্প করা যায়, পরিবারের দুঃখ-বেদনার কথা বলা যায়। রাষ্ট্রভার কাঁধে তুলে নিয়েও যিনি অনেকের ‘আপা’ই রয়ে গেছেন। তিনি বাংলার চিরচেনা মায়ের মুখাবয়ব, বোনের মূর্তি। শেখ হাসিনা হলেন সেই মানুষ, যিনি একজন দুঃখী মানুষের জন্য কাতর হন; মানুষকে পরিপূর্ণ ভালোবাসা দিয়ে তাকে আপন করে নেওয়ার সবকিছুই যেন তার মধ্যে প্রকৃতি উজাড় করে দিয়েছে।
আবার অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে এ দেশেই একটি বিপরীত চিত্রও আমরা দেখি। কিছু মানুষ শেখ হাসিনাকে নিয়ে সারাক্ষণ নিন্দা আর সমালোচনায় মুখর থাকেন। প্রতিমুহূর্তে তার ত্রুটি অনুসন্ধানে ব্যস্ত থাকেন। শেখ হাসিনার দুর্ভাগ্য হচ্ছে, যেই মানুষের কল্যাণে তার সব স্বজনকে চিরতরে হারাতে হয়েছে; শত প্রতিকূলতার মধ্যেও যাদের জন্য নিজের জীবনকে উজাড় করে দিচ্ছেন, তারাও তাকে ভুল বোঝেন এবং তাদের একটা সংকীর্ণ বিচারের বাটখারা দিয়ে পরিমাপ করার চেষ্টা করেন। মাঝেমধ্যে মনে হয়, এ বাঙালি জাতির জন্য তাকে আর কত হারাতে হবে, আর কত বেদনার আগুন বুকের মধ্যে ছাইচাপা দিয়ে তাদেরই বুকে জড়িয়ে আপন করে নেওয়ার সাধনা চালিয়ে যেতে হবে, আর কত হারানোর সাগর পাড়ি দিতে হবে; আর কত!
আমার একটা বিরল সৌভাগ্য—আমি বিশাল এই মহীরুহকে ধীরে ধীরে পরিণত হতে দেখেছি। কথাটা রূপকভাবেই বলি—এক ছাদের কোনা থেকে গজিয়ে ওঠা অশ্বত্থের চারাকে ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ এক বিশাল বৃক্ষে পরিণত হতে দেখেছি যেন। দেখেছি এক বিশেষণ হয়ে ওঠা এক মানুষকে, যেন এ এক ফিনিক্স পাখির মতো ভস্ম থেকে জেগে ওঠা।
প্রিয়জন হারানোর ব্যথা-বেদনা-শূন্যতাবোধ সব মানুষের মতো শেখ হাসিনারও আছে। তিনি তো মানুষই। তবে এক ভিন্ন মানুষ। সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেও তিনি অসাধারণ মানুষ। আর সেই কারণেই তার সব পরিবারকে হারিয়েও এ দেশের মাটি ও মানুষকেই আপন করেছেন আর তিনিই বাংলাদেশকে এখনো পর্যন্ত পথ দেখাচ্ছেন। তিনি আছেন বলেই এখনো বাংলাদেশকে মনে হয়, এ দেশটি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। এখনো মনে করি, এ বাংলাদেশে প্রাণ খুলে কথা বলা যায়, লেখা যায়, ভাবা যায়। শেখ হাসিনাই আমার মধ্যে সেই স্বপ্ন এখনো বাঁচিয়ে রেখেছেন, যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুকে ঘুমোতে দেয়নি, সেই স্বপ্ন দেশরত্ন শেখ হাসিনাকেও ঘুমোতে দেয় না। মনে পড়ে উপমহাদেশের মহান দার্শনিক এ পি জে আবদুল কালামের অবিস্মরণীয় সেই বাণীর কথা—‘স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখো। স্বপ্ন হলো সেটা, যা পূরণের অদম্য ইচ্ছা তোমাকে ঘুমাতে দেবে না।’ এই বাণীর মর্মার্থই যেন মনেপ্রাণে উপলব্ধি করেছেন বাংলার আপামর মানুষের চোখের মণি জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা তার ভেতরে এমন এক অদম্য শক্তি প্রত্যক্ষ করি, যা আমাদের স্বপ্ন দেখায়, স্বপ্ন দেখার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ করে। রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ সাতাত্তরে পা রাখলেন। সংগ্রাম-সংক্ষুব্ধ জীবনের অগণিত চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দৃপ্ত পদক্ষেপে তিনি এগিয়ে চলেছেন, হাতে তার বিজয় কেতন এবং তাকে অনুসরণ করছে এক বিশাল জাতিগোষ্ঠী, অন্তরে তার মুক্তিযুদ্ধের অনির্বাণ অগ্নিশিখা, কণ্ঠে আছে বিজয়ের অমোঘ সংগীত লহর আর হৃদয়ে বহন করে চলেছেন মহান পিতার অকৃপণ আশীর্বাদ।
অথচ ৭৫-এ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ভেবেছিল বাংলাদেশের হৃদয় থেকে তাকে এবং তার পরিবারকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেবে; ৭১-এ পরাজিত শক্তির করতলে আবার দেশটাকে নিপতিত করবে। সে সময় বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয়কে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। পরদেশে ভেসে ভেসে নিজেদের রক্ষা করতে হয়েছে। সেখানেও তাদের হত্যার নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা দেখেছি দীর্ঘ সামরিক স্বৈরশাসন। পাকিস্তানের চর রাজনীতিকে যিনি জটিল করে দেওয়ার ব্রত নিয়েছিলেন; দেশটাকে আবার পাকিস্তানের আদলে তৈরি করে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার মিশন নিয়েছিলেন; শত শত মুক্তিযোদ্ধা আর্মি অফিসারকে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করেছিলেন, তাকেও আমরা দেখেছি। আমরা এও দেখি, এ স্বাধীন বাংলাদেশে ৭১-এ পরাজিত শক্তিকে নানাভাবে পুনরুজ্জীবিত করা, তাদের বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত করা, সরকারের অংশীদার করা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও জামায়াত-হেফাজতের তাণ্ডব দেখেছি দেশব্যাপী। অর্থাৎ দেশটাকে যারা মেনে নেননি, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাতেই দেশটি পরিচালিত হয়েছে সুদীর্ঘকাল। এতদসত্ত্বেও, আজ আমরা যে দেশটিকে নিয়ে গর্ব করছি, কিছু পূর্বে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি, যে অভাবিত উন্নতির জন্য পুরো বিশ্ব উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে, তাকে সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পথটি কি বঙ্গবন্ধুকন্যা ও তার দল আওয়ামী লীগের জন্য এত সহজ ছিল?
সহজ তো ছিলই না বরং পুরো পরিস্থিতিই ছিল এক ভয়ানক ও অসম্ভব রকমের বিপরীত অবস্থানে। বঙ্গবন্ধুকন্যা হলেন সেই ফিনিক্স পাখি যিনি একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী দলটিকে সে সময় জাগিয়ে তুলেছিলেন। একই সঙ্গে একটি জাতিকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শেখালেন। একদিকে বাবা-মাসহ পরিবারের সব আপনজনকে হারানোর দুঃসহ ব্যথা তার বুকে বয়ে চলেছেন; একই সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী দুর্বৃত্ত ও ঘাতকদের ষড়যন্ত্রের নাগপাশ থেকে একটি জাতির মুক্তির সংগ্রামে নিজেকে নিরন্তরভাবে নিয়োজিত করেছেন। একদিকে ভাই হারানোর শোকে বুকে পাথর বেঁধেছেন; একই সঙ্গে পিতার স্বপ্নপূরণে সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে হয়েছেন বজ্রকঠিন।
পঁচাত্তরের আগস্টে মানবতার বহ্ন্যুৎসব ঘটিয়ে জিয়া-মোশতাক চক্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করে সময়ের চাকাকে উল্টো দিকে ঘোরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। তাদের চক্রান্ত ও নীল নকশার লক্ষ্য ছিল সুস্পষ্ট—নির্মম ও হিংস্র।
এত ভয়াবহ নীল নকশা এবং নব্য পাকিস্তান সৃষ্টির যাবতীয় অপচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেই একচল্লিশ বছর আগে এই দিনে জন্মভূমির মাটি যার পদচুম্বন করেছিল তিনি বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যা শেখ হাসিনা। তখন গণশত্রু নির্দেশিত ঘোষণা ছিল; যেভাবেই হোক আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করে বিধ্বস্ত করতে হবে, রাজনীতিকদের জন্য রাজনীতি করাকে অসম্ভব করে তুলতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে বিপর্যস্ত করার জন্য অর্থ কোনো সমস্যা হবে না, ভাগ করতে হবে, সব ভাগ করে করে একসময় ক্ষয় করে ফেলতে হবে মুক্তিযোদ্ধাদের। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ভুয়া দেশপ্রেমিক, চতুর রাজনীতিক, ভুয়া ব্যবসায়ী, প্রতারক ধর্মব্যবসায়ী দিয়ে ছেয়ে ফেলতে হবে দেশ এবং পাশাপাশি অতি সন্তর্পণে চালাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি নিধনপট। তাদের কৌশল, এভাবেই মুক্তিযুদ্ধকে করা যাবে বিতর্কিত, দুর্বল করে দেওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। পঁচাত্তরের পরপরই কাজ সেভাবেই শুরু হয়েছিল। ভাগ করা হতে থাকল আওয়ামী লীগকে, আওয়ামী লীগের নামের পাশে লেগে গেল ব্র্যাকেট, বাড়তে থাকল সেই ব্র্যাকেটের সংখ্যা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অন্য সংগঠনগুলোতেও গজিয়ে উঠতে থাকল ব্র্যাকেটের রাজনীতি। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা তখন প্রবাসে আশ্রয় লাভের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে সংগঠিত করার কাজ করে চলেছেন গুপ্তঘাতক চক্রের দৃষ্টিকে ফাঁকি দিয়ে।
এরই মধ্যে ঘাতকের রোষকষায়িত লোচন এবং নির্মম প্রহারের শ্যেনদৃষ্টিকে পদদলিত করে ৪২ বছর আগের এই দিনে তিনি এসে দাঁড়ালেন তমসাবিনাশী আশার প্রদীপ নিয়ে হতাশা-সংক্ষুব্ধ জাতির সামনে। অন্তরের গভীরে বেদনার ফল্গুধারা আর হৃদয়ে শুভকর্মের প্রদীপ্ত চৈতন্য ধারণ করে শেখ হাসিনা যখন দেশে প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন এ দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির নির্ভরযোগ্য সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেন জিয়নকাঠির ছোঁয়ায় জেগে উঠল। বারবার আক্রমণে জর্জরিত কর্মীরা দেখল এক সাহসী নারীর অবয়বে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির মুখচ্ছবিই যেন বিচ্ছুরিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অন্তর্ঘাত সৃষ্টির পরিকল্পনাকারীরা এবার শঙ্কিত হলো, কারণ তারা এটা বুঝেছিল যে, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার যদি কোনোভাবে বাংলাদেশের মাটিতে আসতে পারে, তবে সে তার স্বপ্নের ডালা বহন করেই আনবে এবং মুমূর্ষু জাতির দেহে প্রাণসঞ্চার করবেই। তাই তারা তার যাত্রাপথে কণ্টক বিছিয়ে যেতে থাকল।
আমরা দেখছি শেখ হাসিনা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে অমিত বিক্রমে এগিয়েই চলেছেন। তার রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব অসামান্য মেধা, সততা এবং নিষ্ঠা তার কার্যক্রমের ক্ষেত্রকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানা অতিক্রম করে উপমহাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে অধিকতর বিস্তৃত হচ্ছে। জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার স্বপ্নসৌধ সোনার বাংলা সৃষ্টির প্রয়াস। আমার কাছে শেখ হাসিনাকে জোয়ান অব আর্কের মতো মনে হয়। জোয়ান আব আর্ক যেমন ব্রিটিশরাজকে পরাস্ত করে শতবর্ষব্যাপী যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিলেন, শেখ হাসিনাও তেমনি অর্ধশতাব্দীব্যাপী তিল-তিল করে বেড়ে ওঠা স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাস্ত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। জোয়ান অব আর্ককে পুড়িয়ে মেরে ফরাসিরা অবশেষে তাকে দেবীর মর্যাদায় সন্ত সাজিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশের শেখ হাসিনা সব ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে দৃপ্তপদে এগিয়ে চলেছে। আর আমরা মনে করি যে, শেখ হাসিনার জয় হোক, তিনি মানুষই থাকুন, তার ওপর দেবত্ব আরোপিত হোক—তা যেমন কামনা করি না; আবার মানুষ হিসেবেও তার সামর্থ্য ও সম্ভাবনাকে কূপমণ্ডূকদের সংকীর্ণ বিচারকাঠিতে পরিমাপ করা হোক, সেটাও প্রত্যাশা করি না। আজ এটাই মনে হয়, জাতির পিতা যে রাষ্ট্র কাঠামো নির্মাণ করেছেন, তার কন্যা তাতে দিয়েছেন শক্তি, গতি, অগ্রগতি। তিনি আছেন বলেই আমরা বিনীত স্পর্ধা নিয়ে চলতে পারি। আমরা সাহসের সঙ্গে বলতে পারি—বিজয়ের শ্যামল তীর হাতছানি দিয়ে ডাকছে বাঙালি জাতিকে অমরাবতীর পথে পা রাখবার জন্য। পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের গুরুভার তারই সুযোগ্য কন্যা কাঁধে তুলে নিয়েছেন এবং সব অন্ধকারকে বিদীর্ণ করে ‘মুক্তির দূত’ হয়ে জাতির মুক্তির সূর্যকেও ঠিকই ছিনিয়ে আনবেন—এ বিশ্বাস এখন বাংলার মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত। শতায়ু হোন হে সাহসিকা। বটবৃক্ষের পরমায়ু নিয়ে ছায়া বিস্তার করুন এই দেশ ও জাতির মাথায়।
লেখক : প্রধান সম্পাদক, দৈনিক কালবেলা
বি.দ্র: অনিবার্য কারণবশত ‘কল্পলোকের গল্প’ সিরিজের আজকের পর্বটি প্রকাশ সম্ভব হলো না। —বি.স.