কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আইপি ও সংগীত: মেধাসম্পদের ছন্দে মাতুন

মনজুরুর রহমান
আইপি ও সংগীত: মেধাসম্পদের ছন্দে মাতুন

বাতাসের মধ্যে ডুবে থেকে আমরা যেমন টের পাই না, বাতাসের মধ্যে ডুবে আছি; তেমনি IP (Intellectual Property) বা মেধাসম্পদ বা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মধ্যে বসবাস করেও এর অস্তিত্ব অনুভব করি না! গভীরভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, বর্তমান পৃথিবীর সম্ভ্রান্ত শ্রেণি এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা প্রতিটি মানুষই সকাল থেকে রাত অবধি কোনো না কোনোভাবে এক থেকে দেড়শ আইপি ব্যবহার করছেন! যেমন—একজন মানুষ ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করতে হাতে তুলে নেন টুথব্রাশ ও পেস্ট। এই দুটো নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীই কারও না কারও আবিষ্কার এবং এদের গায়ে সেঁটে থাকে ট্রেডমার্ক। দাঁত পরিষ্কার করার পর নাশতার টেবিলে এসে মুখোমুখি হন রুটি, পরোটা, প্লেট-কাপ, চা-কফিসহ আনুষঙ্গিক নানাবিধ পণ্য বা সামগ্রীর। প্রতিটি বস্তুই কোনো না কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠাজাত, যার প্রত্যেকটিতে রয়েছে ট্রেডমার্ক, পেটেন্ট বা ডিজাইনের সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচ, এর সবই শিল্পজাত মেধাসম্পদের অন্তর্গত।

বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সংস্থা (World Intellectual Property Organization), যা WIPO নামে মেধাবিশ্বে পরিচিত তাদের ভাষ্যমতে, ‘It involves the products of the human mind—the fruits of human creativity and invention. It is with us every day of our lives, from dawn to dusk, while we are at school, while we are hanging out with our friend, and even as we sleep.’

দুই. পৃথিবীব্যাপী জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোতে আজ পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ বা আইপি ডে। ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে WIPO-র উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়, যেদিন WIPO Convention বলবৎ হয়। সব সৃষ্টিশীল মানুষের মেধাসম্পদ অধিকার সুরক্ষা ও সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিবসটি মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়। বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও WIPO বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে, এবারের বিষয়—‘IP and music: Feel the beat of IP.’

আমি বাংলায় শিরোনাম করেছি ‘আইপি ও সংগীত: মেধাসম্পদের ছন্দে মাতুন’। সংগীত যেহেতু সংস্কৃতিধর্মী মেধাসম্পদের একটি অনিবার্য অংশ, সেজন্য প্রতিপাদ্যে যাওয়ার আগে আমি সাংস্কৃতিক সম্পদ সম্পর্কে জাপানি মেধাসম্পদ বিশেষজ্ঞ তমোতসু হোজুমির—এশিয়ান কপিরাইট হ্যান্ডবুক থেকে কয়েকটি বাক্য উদ্ধৃত করছি। হোজুমি বলছেন, ‘মানুষের বেঁচে থাকার জন্য আহারের দরকার। মানব শরীরের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খাদ্য অত্যন্ত জরুরি। আহার আমাদের পুষ্টি জোগায় এবং বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু আমরা স্তন্যপায়ী প্রাণী আমাদের শুধু দেহের পুষ্টি সাধনই যথেষ্ট নয়, আমাদের মন ও হৃদয়ের পুষ্টিরও প্রয়োজন আছে।

যদি আপনি সাংস্কৃতিক কর্মকে আমাদের আবেগ ও বুদ্ধিবৃত্তির জন্য আহারের সঙ্গে তুলনা করেন তবে সহজেই সাংস্কৃতিক কর্মের সংজ্ঞা উপলব্ধি করতে পারবেন। এমন একটি জগতের কথা ভাবুন যেখানে আমাদের আত্মার সাংস্কৃতিক কর্মের অস্তিত্ব নেই! উপন্যাস, কবিতা, সংগীত অথবা চিত্রকর্মহীন একটি পৃথিবীর কথা ভাবুন। আমাদের হৃদয়কে সমৃদ্ধ করে যেসব সাংস্কৃতিক কর্ম তা মানব-ইতিহাসে আমাদের জন্য এক মূল্যবান ঐতিহ্য।’

তিন. আমরা এরই মধ্যে অবগত হয়েছি যে, আমাদের এবারকার আলোচনা সংগীতকে অবলম্বন করেই বিস্তৃত হবে। আমরা মেধাসম্পদ হিসেবে সংগীত স্রষ্টার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হব। আসলে সংগীত কী? প্রাচ্যের প্রাজ্ঞজনদের দৃষ্টিতে—‘সংগীত হচ্ছে নৃত্য, গীত ও বাদ্যের সমন্বয়’। অর্থাৎ সংগীত মানবসৃষ্ট একটি যৌথ বা গুচ্ছ নান্দনিক সাংস্কৃতিক কর্ম। সংগীতের প্রাণ, ছন্দ বা বিট, যা মূলত জীবনেরই ছন্দ।

একমাত্র বদ্ধ উন্মাদ ছাড়া পৃথিবী খুঁজে সংগীত পছন্দ করে না এমন মানুষের সন্ধান পাওয়া যাবে না। মনের অজান্তেই স্থান-কালের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ নিজেকে নিবিষ্ট করে সুর ও ছন্দের মায়াজালে। শিক্ষিত-স্বল্পশিক্ষিত, জ্ঞানী-অজ্ঞানী সবার মনেই সংগীতের মূর্ছনা ছন্দ ও দ্যোতনা তৈরি করে। একটি মহৎ সংগীত কর্ম দেশের সীমা অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশ্ব পরিসরে, হয়ে উঠতে পারে সার্বজনীন। আজও আমরা বিটোভেন, মোজার্ট শুনে মুগ্ধ হই। হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার কথাবিহীন বাঁশির সুর, জাকির খানের তবলার বোলের মধ্য দিয়ে যে সৌকর্য সৃষ্টি হয়েছে, তা তুলনা রহিত। কিংবদন্তি আছে জগৎখ্যাত তানসেন সুরের মোহজাল সৃষ্টি করে বৃষ্টি ঝরাতে পারতেন! সংগীতের ঔষধি গুণের কথাও আমরা অবগত আছি।

শৈশবে মায়ের সুরেলা কণ্ঠের ঘুমপাড়ানিয়া গান, তারুণ্যে যৌবনে উদ্দীপ্ত ও আর শেষ জীবনে স্মৃতি জাগানিয়া কথা ও সুর মানুষকে নস্টালজিক করে। সংগীত ও সংগীতস্রষ্টা বেঁচে থাকেন শ্রোতা-দর্শকের মনের মণিকোঠায়। কথা, সুর ও বাদ্য সহযোগে সংগীতের সৃষ্টি তা মেধাসম্পদের অন্তর্গত, কপিরাইট ও রিলেটেড রাইটসের বিষয়বস্তু। কথাবিহীন সুরও সংগীতের অন্তর্ভুক্ত। কথা ও সুর সংবলিত সংগীত সৃষ্টিতে দুই ধরনের অধিকার জন্ম নেয়। একটি কপিরাইট ও অন্যটি রিলেটেড রাইটস। উদাহরণ উপস্থাপন করলে বিষয়টি স্পষ্টতর হবে। একটি গানের ক্ষেত্রে থাকেন-গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী। গানের কথা রচয়িতা বা গীতিকার ও যিনি সুর সৃষ্টিকারী তাদের অধিকার কপিরাইট। তারা মূল স্রষ্টা হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু যে কণ্ঠশিল্পী গীত রচনা ও সুর সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখেননি, কেবল কণ্ঠে ধারণ করেছেন, তিনি পারফরমার—রিলেটেড রাইটস বা আনুষঙ্গিক অধিকারের মালিক। তাদের অধিকারের মেয়াদও ভিন্ন ভিন্ন হতে বাধ্য।

চার. সংগীতের উদ্ভব, বিকাশ ও সম্প্রসারণ মানবসভ্যতার বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে। ভারতীয় পুরাণে ‘ওঙ্কার’ ধ্বনির মধ্যেও পাওয়া যায় সংগীতের রেশ। অরণ্যচারী মানুষ, কৃষিজীবী মানুষ, জীবনকে পরিপূর্ণ যাপন করতে গিয়ে শ্রমবিভাজনের দিকে যেমন দৃষ্টি দিয়েছে, ঠিক তেমনি কর্মহীন দিনযাপনের সময় মনোযোগী হয়েছে মনের আনন্দে আত্মাকে তৃপ্ত করার বাসনায়। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করতে। প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস অবগাহন করলে দেখব আদিবাসী মানুষ কাল পরিক্রমায় কীভাবে নিজেদের গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনে স্বাতন্ত্র্যের ছাপ রেখেছে। বাংলাদেশের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর দিকে তাকালে এ স্বাতন্ত্র্যের স্পষ্ট ছবি এখনো দেখতে পাব।

আমরা যত উন্নত হচ্ছি, আধুনিক হচ্ছি, ততই সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্রে আমাদের বিকাশ অধিকতর বিকশিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ইতিবাচকতা যেমন আছে, তেমনি বৈপরীত্য আছে। আছে ভয়ংকর তাস্কর্যধর্মী কার্যকলাপ। প্রায়ই অভিযোগ শুনি, একজনের কর্ম অন্যজন দেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার বেড়া ডিঙিয়ে আত্মসাৎ করতে, প্রকৃত স্রষ্টাকে বঞ্চিত করে তার কর্ম অবৈধ উপায়ে ব্যবহার করতে।

বর্তমান বিশ্ব IT-র যুগ পেরিয়ে এরই মধ্যে AI-এর যুগে প্রবেশ করেছে। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই বাড়ছে ভোক্তা। সুতরাং সুবিপুল অর্থ লগ্নি হচ্ছে সংগীতধর্মী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। একই সঙ্গে বাড়ছে অসদুপায়ে অন্যের সম্পদ লুণ্ঠনের কর্মকৌশল। আমরা প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রবাহে পিছিয়ে থাকার কারণেও উপযুক্ত সংবাদ যথাসময়ে পেতে ব্যর্থ হচ্ছি।

দুঃখের বিষয়, বর্তমান বাংলাদেশে শতাব্দীকাল পূর্ব থেকে কপিরাইট আইন বলবৎ থাকার পরও অধিকার হরণের কার্যকর সমাধান সংগীতকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পেছনে স্বত্বাধিকারীদের চরম উদাসীনতা, অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞতা ও কার্যকর ভূমিকা পালনে দক্ষতার অভাব মূলত দায়ী! গত দেড় দশকে মেধাসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সদাশয় সরকার তথা কপিরাইট অফিসের সহযোগী মনোভাব ও ইতিবাচক ভূমিকার ফলে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে BLCPS (Bangladesh Lyricists Composers & Performers Society) নামের প্রথম CMO বা Collective Management Organization. প্রতিষ্ঠানটি সংগীতস্রষ্টাদের অধিকার সংরক্ষণ, সুরক্ষা, দেশ-বিদেশে রয়্যালটি আদায় এবং চুক্তিবদ্ধ দেশগুলোর সংগীত স্রষ্টাদের স্বার্থে কার্যকর দায়িত্ব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে। আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি, যে মহৎ আদর্শ ও উদ্দেশ্য নিয়ে পৃথিবীব্যাপী CMOগুলো কাজ করে, ঠিক একই ধরনের ম্যান্ডেট আমাদের CMO-কে দেওয়ার পরও বহু স্রষ্টাকে এক ছাতার তলে এখনো আনা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমাদের এ সংস্থাটি যাতে পরিপূর্ণভাবে স্রষ্টাদের কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, সে উদ্দেশ্যে WIPO ও CISAC (International Confederation of Societies of Authors & Composers) ক্রমাগত প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

পাঁচ. সংগীতের দার্শনিক ও বাস্তবিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই WIPO এ বছর সংগীতকে বিষয়বস্তু করেছে। বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের এই দিনে গভীর বিশ্বাস ও দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে সব স্টেকহোল্ডারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই। শিল্পীদের আর্থিক ও নৈতিক বঞ্চনার হাত থেকে বাঁচার জন্য ‘শিল্পী রক্ষা সমিতি’র পরিবর্তে তারা যেন তাদের সৃষ্টির বিনিময়ে মর্যাদাবান জীবন নিয়ে টিকে থাকতে পারেন, তা নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা আর এন্ড্রু কিশোর-আলাউদ্দিন আলীদের মতো গুণী স্রষ্টাদের হারাতে চাই না। আসুন আমাদের মেধাবী স্রষ্টাদের জন্য দৃশ্য-অদৃশ্য সব বাধা দূর করার সমবেত অঙ্গীকার ব্যক্ত করি, তাদের করি নিরুদ্বিগ্ন। সব স্রষ্টাই যাতে নিবিষ্ট চিত্তে, হাসিমুখে দেশ ও দশের জন্য কল্যাণধর্মী কালজয়ী সৃষ্টি উপহার দিয়ে যেতে পারেন।

পরিশেষে আসুন আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মতো উচ্চকণ্ঠে উচ্চারণ করি—

‘আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে

মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর

টগবগিয়ে খুন হাসে

আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে

আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে

আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে...’

লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক এবং সদস্য কপিরাইট বোর্ড

কপিরাইট অফিস, ঢাকা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এক ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, একমত জামায়াত

একই রশিতে ঝুলছিল মা-ছেলের মরদেহ

পাকিস্তানের ‘নিরপেক্ষ তদন্তের’ প্রস্তাবে ভারতের প্রতিক্রিয়া

হঠাৎ বন্ধ মেট্রোরেল 

ঢাকায় অটোরিকশা চলাচল বন্ধে শিগগিরই অভিযান : ডিএনসিসি প্রশাসক

ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

নিখোঁজের ৭ দিন পর শিশু কাফির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

তিন দাবিতে আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণ, শত শত আহত

আড়িয়াল বিলে ধান কাটলেন দুই উপদেষ্টা

১০

ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইয়েমেন

১১

ওয়ালটনের নতুন স্মার্টওয়াচ ‘টিক এএমএক্স১৩’

১২

‘প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সুরক্ষায় আইনি কাঠামো হলেও বাস্তবে প্রতিফলন ঘটেনি’

১৩

টিসিবির সম্মাননা স্মারক পেল রূপালী ব্যাংক 

১৪

রাউজানে বারবার হত্যাকাণ্ড কেন, জানালেন বিএনপি নেতা

১৫

বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে টাঙ্গুয়ার হাওরে

১৬

গাড়ির আমদানিতে শুল্ক কমাতে চায় বারভিডা

১৭

ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি, গুলিতে আহত ১

১৮

রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করে প্রাণ হারাল মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তার ছেলে!

১৯

‘হাসপাতালের সব বিষয়ে সাংবাদিকদের নজর দেওয়ার দরকার নেই’

২০
X