স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি হলো সরকারি অর্থায়নে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট পদ্ধতি হলো জনগণের ব্যক্তিগত অর্থায়নে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা ক্রয়। অন্য পদ্ধতি হলো, সরকারি অর্থায়নে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা; যা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেল হিসেবে পরিচিত; কিংবা সরকারি অর্থায়নে জনগণের জন্য বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাস্থ্যসেবা ক্রয় করা, যা স্ট্র্যাটেজিক পারচেজিং মডেল নামে পরিচিত। সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে পিপিপি এবং স্ট্র্যাটেজিক পারচেজিং মডেল চালুর উদ্যোগ বড় পরিসরে নেওয়া হয়নি। ভারতের ‘স্যান্ডোর মেডিক্যাডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে জাতীয় কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছোট পরিসরে পিপিপির মাধ্যমে ডায়ালাইসিস সেবার প্রচলন এক দশকের অধিককাল আগে হলেও, চুক্তির শর্ত ও কার্যকারিতা ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ। অন্যদিকে, করোনা মহামারির সময় রোগী শনাক্তকরণ এবং সেবার জন্য স্ট্র্যাটেজিক পারচেজিং মডেলের অপব্যবহার ও কেলেঙ্কারির চিত্র নিশ্চয়ই আমরা ভুলে যাইনি। একটি শক্তিশালী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপযুক্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ন্যায়সংগত চুক্তির মাধ্যমে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির পথ সুগম হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় কবে নাগাদ তা চালু করা যাবে কিংবা চালু হলে তা কতটুকু কার্যকরী হবে, তা ভবিষ্যতের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাক।
স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে গত ৫৪ বছর ধরে সরকারি স্বাস্থ্য খাতের পরিসর ক্রমাগতভাবে বাড়ানো হলেও ‘হাউসহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে-২০২২’ অনুযায়ী দেশের ১৫ শতাংশের কম রোগী সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ভিজিট করে। আবার বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় সরকারি স্বাস্থ্য খাত শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে বা ঠিক করা যাবে—এমন আশা করার সুযোগ কম। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের নীতিনির্ধারণী মহলের স্বাস্থ্য খাত এবং এই খাতের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নিখাদ ও সামগ্রিক ধারণার অভাব। স্বাস্থ্য খাতের অবয়ব, কলেবর, কাঠামোগত জটিলতা ও ক্রমাগত পরিবর্তনশীলতাসহ বহুমুখী বৈশিষ্ট্য আমাদের নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে সমন্বিতভাবে বোধগম্য নয়। ফলে তারা স্বাস্থ্য খাতকে অন্যান্য খাত থেকে আলাদা হিসেবে ভাবতে পারেন না। এই না বোঝার পেছনে একদিকে রয়েছে তাদের অজ্ঞতা, অন্যদিকে রয়েছে তাদের স্বার্থপরতা ও দুর্নীতিপরায়ণতা। আবার ক্রমাগতভাবে স্বাস্থ্য খাত বিভাজিত হতে হতে একেকজনের নিজস্ব তালুকে পরিণত হয়েছে। ফলে মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোক কিংবা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হোক, কোনো প্রতিষ্ঠানকেই জনবল, ইকুইপমেন্ট ও অর্থায়নের ভিত্তিতে আমরা পূর্ণাঙ্গ এবং সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারিনি। এসব প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত কর্মপরিবেশও তৈরি করতে পারিনি। তা ছাড়া রয়েছে নানা অযাচিত নিয়মকাননের বেড়াজালে আবদ্ধতা।
আবার সরকারি চাকরিতে কোনো কোনো ক্যাডারকে প্রমোশন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ক্রমাগতভাবে বেশি দেওয়ার ফলে এসব ক্যাডারে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মেডিকেল ক্যাডারে কর্মরত চিকিৎসকদের আপেক্ষিক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে, যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এককথায়, চিকিৎসক পেশা জাতির নিকট অবনমিত। একটি অবনমিত গোষ্ঠীর কাছ থেকে জাতি কখনো কাঙ্ক্ষিত সেবা তো আশা করতে পারে না। অন্যদিকে, অর্থই সমাজে সামাজিক মানদণ্ডের প্রধান মাপকাঠি হওয়ায় সবার মতো চিকিৎসকসমাজও অর্থের পেছনে ছুটছে। সঙ্গে রয়েছে ওষুধ কোম্পানি এবং ডায়াগনস্টিক কেন্দ্রের লোভনীয় প্রস্তাব। চিকিৎসক পেশাজীবীদের মধ্যে রাজনীতির অনুপ্রবেশে ব্যক্তিগত উৎকর্ষতা সাধনের পরিবর্তে বেশিরভাগই চরম দলবাজিতে ব্যস্ত। ফলে সরকারি স্বাস্থ্য খাত চলছে এলোমেলোভাবে জোড়াতালি দিয়ে। তাই সরকারি স্বাস্থ্য খাতের উৎকর্ষতা সাধনের পথ ক্রমে ক্রমে রুদ্ধ হয়ে আসছে। আবার মেডিকেল শিক্ষার গুণগতমান নিচে নামতে নামতে এমন অবস্থায় পৌঁছে যে, দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য জনবলের হাতে জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবন কোনোটাই নিরাপদ নয়। দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, ওষুধনীতি, বিচারব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা ইত্যাদি কোনোটাই স্বাস্থ্য গঠন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অনুকূলে নয়।
আর আইনের শাসনের অভাবে মানুষের নীতি-নৈতিকতার অবক্ষয়, স্বার্থপরতা ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হওয়ার প্রবণতা নিয়ে না হয় কথা না-ই বললাম। উপরির (অর্থাৎ বাড়তি আয় উপার্জনের) খোঁজে যেখানে পুরো জাতি ব্যস্ত, সেখানে হাসপাতাল স্টাফ, স্বাস্থ্য খাত কিংবা হাসপাতাল কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টস অফিস, অডিট দপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সব অধিদপ্তর এবং দপ্তর দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়া কি স্বাভাবিক নয়? আর ‘ডু নাথিং’ কালচার তো সরকারি দপ্তরে একটি প্রতিষ্ঠিত নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে!
এসব কিছু থেকে বেরিয়ে আনার জন্য যে স্বার্থহীন, দূরদর্শী ও গতিময় নেতৃত্ব প্রয়োজন; তার আজ প্রচণ্ড অভাব। তবে ‘স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন’ যদি সমস্যার মূল খুঁজে উপযুক্ত সুপারিশমালা পেশ করে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সরকারগুলো যদি তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে, তাহলে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে। এ অধ্যায়ও ভবিষ্যতের ওপর সঁপে দিলাম।
তাই বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতই দেশের ভেতরে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির শেষ অবলম্বন। এ খাত গত পাঁচ দশকের অধিককাল ধরে অনিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ দখল করে নিয়েছে। এটা এতটাই মহিরুহ আকার ধারণ করেছে যে, তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তা ছাড়া যারা নিয়ন্ত্রণ করবেন তাদের বেশিরভাগই দুপুর ২টার পর এ খাতেরই অংশ। এককথায়, বেসরকারি খাতের ওপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ, পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বেশিরভাগ হাসপাতালের ক্ষেত্রেই গুণগত মানের কিংবা নিরাপদ সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। ফলে জনগণ অর্থ খরচ করে বেসরকারি খাত থেকেও গুণগত কিংবা নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। আদতে, আমাদের বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই জনগণ বিদেশমুখী হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ বিদেশমুখিতা সামনে আরও বাড়বে, এমনকি সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা নিতেও জনগণ বিদেশে যাবে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য এই বিদেশনির্ভরতা কোনোভাবেই জনগণের স্বাস্থ্য, দেশের অর্থনীতি কিংবা দেশের নিরাপত্তার জন্য শুভ নয়।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসেবার গুণমান বজায় রাখা এবং রোগীর নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিতকল্পে কোনো অ্যাক্রিডিটেশন সংস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ আজও নেওয়া হয়নি। কবে নাগাদ এ সংস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে তাও অজানা। আর সরকারি উদ্যোগে এ সংস্থা কখনো প্রতিষ্ঠা করা হলেও উপযুক্ত কাঠামো গড়ে না তোলা এবং দক্ষ জনবল নিয়োগের অভাবে দেশের অন্যান্য সংস্থার মতো অকার্যকর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসেবার গুণমান উন্নয়নের জন্য কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট সেক্রেটারিয়েট নামে একটি দপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হলেও উপযুক্ত গঠন এবং জনবলের অভাবে তার কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ।
আবার ইন্টারন্যাশনাল কোনো অ্যাক্রিডিটেশন সংস্থার অনুমোদন গ্রহণের বিষয়েও কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি। তাই টপ ক্যাটাগরির কিছু বেসরকারি হাসপাতালের ঐচ্ছিক ভিত্তিতে ‘জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই)’ কিংবা ‘ডিএনভি হেলথকেয়ার’-এর মতো ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন সংস্থার অনুমোদন থাকলেও বেশিরভাগ হাসপাতালের তা নেই।
সব মিলে বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতকেও নিকষ কালো অন্ধকার ঘিরে ধরেছে। কিন্তু আমাদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে, ঘুটঘুটে অন্ধকার থেকে আলোর পথ সন্ধান করতেই হবে। আর এজন্য একটি শক্তিশালী সামাজিক এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা মূলত বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উৎকর্ষতা উন্নয়নে কাজ করবে। এ সামাজিক এন্টারপ্রাইজ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহযোগিতা করবে, গুণগত মানের মানদণ্ড প্রণয়ন ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার তৈরি করবে এবং তা প্রয়োগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করবে। তা ছাড়া, গুণগত মান বজায় রাখা হচ্ছে কি না এবং রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবে। মোটা দাগে, এই সামাজিক এন্টারপ্রাইজ একটি অ্যাক্রিডিটেশন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে এবং অ্যাক্রিডিটেশন সার্টিফিকেট প্রদান করবে। এ ছাড়া, কমিউনিটি এবং জনগণকে উপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত প্রদানের মাধ্যমে ‘হেলথ সিকিং বিহেভিয়ার’ উন্নয়নে ক্ষমতায়িত করবে। পাশাপাশি এই এন্টারপ্রাইজ নিজস্ব তহবিল, ক্রাউডফান্ডিং ও ফিলানথ্রোপিক ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যের অর্থায়ন করবে। সর্বোপরি, চিকিৎসা কার্যক্রমে অনিচ্ছাকৃত ভুলের ক্ষতিপূরণে সুরক্ষা প্রদানের নিমিত্তে চিকিৎসকদের জন্য ইনডেমনিটি বীমা (যা পেশাগত ইনডেমনিটি বীমা নামেও পরিচিত) চালুর প্রয়াস নেবে।
এই এন্টারপ্রাইজ বেসরকারি হাসপাতালগুলোর গুণমান উন্নয়ন এবং রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে উৎসাহদান ও প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সদস্যভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে একটি রেফারাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে। একটি কমন ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেজারের’ মাধ্যমে গুণগত সেবা প্রদান এবং রোগীর নিরাপত্তা বিধানের ফলে সদস্যভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলো আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, যা অন্যান্য হাসপাতালকেও এই এন্টারপ্রাইজের সদস্য পদ গ্রহণে উৎসাহিত করবে। এই সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ গঠন করা সম্ভব হলে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন সম্ভব হবে। ফলে ভবিষ্যতে সরকারি অর্থায়নে স্বল্প আয়ের পরিবারের জন্য স্ট্র্যাটেজিক-পারচেজিং পদ্ধতি চালুর পথও সুগম হবে বলে আশা করি।
উল্লেখ্য, আমার অনুরূপ একটি ধারণা, যা দৈনিক প্রথম আলোর ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ সংখ্যায় ‘কোন পথে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়, তা নিয়ে আমি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের একটি সুপরিচিত অলাভজনক নেটওয়ার্ক পরিচালনা সংস্থার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করি। আলোচনায় তিনি মন্তব্য করেন, ‘সোনার পাথর বাটি হয় না’, যা আমাকে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে ও উপরোল্লিখিত ধারণায় পৌঁছাতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে, এই আলোচনা আমাকে একটি সামাজিক এন্টারপ্রাইজ গঠনের ক্ষেত্রে আত্মপ্রত্যয়ী করে তোলে।
আমি বিশ্বাস করি, যদি অন্যদের সহযোগিতা পাওয়া যায়, তবে এ ধরনের সামাজিক এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হবে না। তাই এই এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে আমি আহ্বান জানাচ্ছি কিছু আত্মপ্রত্যয়ী, সাহসী, সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ ও ধৈর্যশীল নাগরিককে—যারা অন্ধকার থেকে আলোর পথ সন্ধানে আগ্রহী।
লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক
মন্তব্য করুন