জাকির হোসেন
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রান্তিকালের কথকতা

মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও প্রবাসী সরকার

মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও প্রবাসী সরকার

আজ ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিল। একাত্তরের এইদিন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় এবং গৃহীত হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় এ সরকারের শপথ গ্রহণের সময় ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হয়। এ ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন জাতীয় পরিষদের আওয়ামী লীগের অন্যতম হুইপ অধ্যাপক ইউসুফ আলী। এই ঘোষণাপত্র একাত্তরের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য। সেহেতু আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করিতেছি।’ কিন্তু বাহাত্তরের সংবিধানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার—এ তিন মূলনীতি উপেক্ষিত হয়েছে। এর পরিবর্তে চার মূলনীতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা। গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশন চলতি বছরের মধ্য জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বেশকিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে, যেখানে দেশটির সাংবিধানিক নাম ও রাষ্ট্রীয় মূলনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে নতুন মূলনীতি হিসেবে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র’র কথা সুপারিশ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের যে জনআকাঙ্ক্ষা, তার প্রতিফলন হিসেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রের পাঁচটি মূলনীতি সুপারিশ করেছে।

একাত্তরের ১০ এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠন ও ১৭ এপ্রিল এই সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন হয় ১৮ এপ্রিল। পাকিস্তানি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যার মধ্যে মুজিবনগর সরকার গঠন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর মধ্য এপ্রিল প্রবাসী সরকারের যাত্রা বিশ্ববাসীকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছিল। বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক সিডনি শ্যানবার্গ প্রবাসী সরকার নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন নিউইয়র্ক টাইমসে। এ কথা আমাদের অনেকেরই অজানা যে, সিডনি শ্যানবার্গই প্রথম বাংলাদেশে গণহত্যার খবর বিশ্ববাসীকে জানান দেন। বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে একাত্তরের ২৮ মার্চ নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয় তার দুটি প্রতিবেদন। এ দুটি প্রতিবেদনের একটির শিরোনাম ছিল—‘ইন ঢাকা, ট্রুপস ইউজ আর্টিলারি টু হল্ট রিভোল্ট, সিভিলিয়ানস ফায়ার্ড সেকশন অব ঢাকা আর সেট অ্যা ব্লেজ’। অর্থাৎ ‘পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান, জোর লড়াইয়ের খবর, সৈন্যরা কামান দাগিয়েছে, নাগরিকদের ওপর গুলিবর্ষণ, বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ করেছে’। অন্যটির শিরোনাম ছিল ‘স্লিকস অ্যান্ড স্পেয়ার্স অ্যাগেইনস্ট ট্যাঙ্কস ইন ইস্ট পাকিস্তান’—অর্থাৎ ‘পূর্ব পাকিস্তানে ট্যাঙ্কের বিরুদ্ধে লাঠি ও বল্লম’। সিডনি শ্যানবার্গের এ দুটি রিপোর্ট প্রকাশের দুদিন পর ৩০ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিংয়ের ‘ট্যাঙ্কস ক্রাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান’। ওইদিন (৩০ মার্চ) প্রভাবশালী সাময়িকী টাইমে প্রকাশিত হয় এপির সাংবাদিক মিশেল লরেন্টের প্রতিবেদন—‘অ্যাট ঢাকা ইউনিভার্সিটি বার্নিং বোডিস অব স্টুডেন্ট স্টিল লে ইন দেয়ার বেডস, অ্যা ম্যাসগ্রেব হ্যাড বিন হেইস্টিলি কাভার্ড’। অর্থাৎ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিছানায় তাদের দগ্ধ মৃতদেহ পড়ে আছে, একটি বিশাল হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে...’। এ দুটি প্রতিবেদন বিশ্বকে আরও বিশদভাবে জানিয়ে দেয়, পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী কী পৈশাচিক নির্যাতন ও নিপীড়ন করছে।

সিডনি শ্যানবার্গ যুদ্ধ সংবাদদাতা হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের জন্য তিনি ছুটে গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বহু বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্রে। এ দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন; কিন্তু কখনো দমে যাননি। সিডনি শ্যানবার্গ বিশ্বজনীন খ্যাতি অর্জন করেন কম্পুচিয়ায় পলপট বাহিনীর ক্ষমতা-দখল ও গণহত্যাবিষয়ক রিপোর্টের কারণে। খেমাররুজদের হাতে তখন ২০ লাখ কম্বোডিয়ান নিহত হয়। কম্বোডিয়ায় তার বন্ধুত্ব হয় ডিথ প্রান নামে একজন সহযোগী ও ফটোগ্রাফারের সঙ্গে। সিডনি শ্যানবার্গের কম্বোডিয়া জীবন ছিল ডিথ প্রানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রান তাকে খেমাররুজদের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। আর সিডনি চার সন্তানসহ প্রানের পরিবারকে গোপনে আমেরিকা পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু খেমাররুজদের নিপীড়নের হাত থেকে ডিথ প্রানকে রক্ষা করতে পারেননি। তবে খেমাররুজদের শ্রমশিবিরে মরণাপন্ন ডিথ প্রান একসময় পালাতে সক্ষম হন এবং থাইল্যান্ডে দুই বন্ধুর আবার মিলন হয়। সিডনি শ্যানবার্গ এ কাহিনি অবলম্বনে লেখেন ‘দ্য ডেথ অ্যান্ড লাইফ অব ডিথ প্রান’ শীর্ষক বই। এ বইয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্য কিলিং ফিল্ডস’ আলোড়ন তুলেছে দুনিয়া জুড়ে, পেয়েছে একাধিক বিষয়ে অস্কার পুরস্কার।

সিডনি শ্যানবার্গ সত্তরের দশকে ছিলেন নিউইয়র্ক টাইমসের দিল্লি সংবাদদাতা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে সিডনি শ্যানবার্গের প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিবেদন। কোনো বিদেশি সাংবাদিক আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এতসংখ্যক রিপোর্ট করেছেন বলে জানা নেই। শ্যানবার্গ প্রথম পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় গোর্কির আঘাতে লাখ লাখ মানুষের জীবনহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ সংগ্রহ করতে। ওই বছর ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয় এবং এরপর একাত্তরের মার্চে ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর সঙ্গে সংলাপ খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যে কজন বিদেশি সাংবাদিক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা প্রত্যক্ষ করেন, শ্যানবার্গ ছিলেন তার অন্যতম। ২৭ মার্চ সকালে যে ৩৫ সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহককে বলপূর্বক হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে উঠিয়ে তাদের দেহ এবং লাগেজ তল্লাশি করে ফিল্ম ও নোটবই ছিনিয়ে নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে বের করে দেওয়া হয়, সিডনি শ্যানবার্গ তাদের একজন। ২৭ মার্চের পর ঢাকা ত্যাগে বাধ্য হলেও মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাক্রম তিনি অনুসরণ করেছেন। এ সময় তার অধিকাংশ প্রতিবেদনই দিল্লি থেকে পাঠানো। এপ্রিল মাসে শ্যানবার্গ ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তে এবং পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরে চার দিনের সফর করেন। সফর শেষে ১৩ এপ্রিল নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশ হয় তার ‘অব্যাহত হত্যাযজ্ঞের মধ্যে বাঙালিদের মন্ত্রিসভা গঠন’ শীর্ষক প্রতিবেদন। এ প্রতিবেদনে বলা হয়—‘যদিও পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্বের বড় অংশ নিহত হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ এবং পাইকারি গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে, তা সত্ত্বেও আন্দোলনের হাইকমান্ডের কতক সদস্য বেঁচে আছেন এবং তারা একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন শেখ মুজিবের প্রধান সহকারী তাজউদ্দীন আহমদ, যার দল আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা-অভিমুখী পদক্ষেপ পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক অভিযান বয়ে এনেছে। বর্তমান সংবাদদাতা কর্তৃক ঘুরে আসা পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এক এলাকায় অন্তত ছয়জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা একত্র হয়ে তাদের অভিহিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদকে মনোনীত করেছেন। তারা শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছেন। তবে অপ্রকাশ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা স্বীকার করেন যে, তিনি বর্তমানে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে রয়েছেন। একদিকে পশ্চিম পাকিস্তানিদের আধিপত্যাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বলে চলেছে যে, পূর্ব পাকিস্তানে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে; অন্যদিকে বাস্তব ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি ফুটে উঠছে।’

শ্যানবার্গ একাত্তরের জুন-জুলাই মাসে পাকিস্তানের সামরিক সরকারের তত্ত্বাবধানে একদল বিদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে ঢাকা ও ফরিদপুর সফরের সুযোগ পান, যা তাদের দেখানো হলো সবই সাজানো, সেনা কমান্ডের ‘গাইডেড ট্যুর’ ভিন্ন অন্য কিছু নয়, অভিজ্ঞ সাংবাদিক শ্যানবার্গের তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। অক্টোবর মাসে, যখন মুক্তি বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন রণাঙ্গন থেকে হটতে শুরু করেছে, সে সময় শ্যানবার্গ একাধিক মুক্তাঞ্চল সফর করেন। তিনি ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে মুক্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করেন, সে সময় খুলনাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম ঘুরে দেখার সুযোগ তার হয়। তিনিই প্রথম বিদেশি সাংবাদিক যিনি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তান বাহিনীর সম্মুখসমর প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পান। পাকিস্তান বাহিনীর হত্যাযজ্ঞও সরেজমিন দেখে তার প্রামাণিক প্রতিবেদন পাঠকদের জন্য নিয়মিত পাঠিয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজির আত্মসমর্পণের ঘটনাও তিনি সম্মুখসারিতে বসে দেখার সুযোগ পান।

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৩ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি নালায় পড়ে নিখোঁজ শিশুটি

অপবাদ সইতে না পেরে শরীরে আগুন, ৫ দিন পর যুবকের মৃত্যু

বাণিজ্যযুদ্ধ / চীন নাকি ট্রাম্প, কে কাকে বেশি চাপে রাখছে

দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

পাকিস্তানজুড়ে কেএফসিতে হামলা, গ্রেপ্তার ১৭৮

‘পার্বত্য মন্ত্রণালয়গুলো প্রকৌশল বেইসড হয়ে গেছে, পরিবর্তন আনা হবে’

সীমান্তে ১২ কেজি রুপার গয়না ফেলে ভারতে পালাল পাচারকারী

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

ট্রাম্প কি এবার ইউক্রেনকে ঝুঁকিতে ফেলছেন?

১০

১৯ এপ্রিল : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১১

আরও ৬৪ মৃত্যু / গাজায় এখনই খাদ্য প্রয়োজন: ডব্লিউএফপি

১২

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৩

১৯ এপ্রিল : টিভিতে আজকের খেলা

১৪

১৯ এপ্রিল : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৫

ভাঙ্গুড়ায় নিখোঁজের একদিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

১৬

ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০ 

১৭

মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

১৮

বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় ড. ইউনুস, যা বললেন মুশফিকুল আনসারী

১৯

বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

২০
X