ঢাকা থেকে রাজকীয় নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং ফের ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া। দেশে নানামুখী যন্ত্রণা, ষড়যন্ত্র, গুজবের আজাব, উসকানিমূলক তৎপরতার বোঝা মাথায় নিয়ে রাজসম্মানে চীন সফর প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। নানা মহলের এদিক-ওদিক এলোমেলো তীরের মাঝেই মহান স্বাধীনতা দিবসে চীনের উদ্দেশে তিনি ঢাকা ছাড়েন। সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’-এ তার হাই-প্রোফাইল বৈঠক চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। একই দিনে হুয়াই কোম্পানির উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন এন্টারপ্রাইজ পরিদর্শন। পরদিন চীনের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় পিকিং ইউনিভার্সিটি তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়।
আগের দিন বৃহস্পতিবার সফরের দ্বিতীয় দিন বোয়াও সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে প্রসঙ্গক্রমে টেনে আনেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জানান, জনগণের আস্থা ফেরাতে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার চলছে। নতুন দেশ গড়ার পথে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন। এশিয়ার উন্নয়নে অথনৈতিক, বাণিজ্যিক, খাদ্য, প্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের প্রস্তাবও দেন তিনি। এ অঞ্চলের সমাজ, অর্থনীতি, পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এশীয় নেতাদের। গেল ডিসেম্বরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বেইজিং সফরের পর ড. ইউনূসের চীন সফর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো নেতার দ্বিতীয় উচ্চপর্যায়ের সফর। তার এ সফর চলাকালেই প্রতিবেশী দেশ ভারতে ‘ইম্পলিকেশন অব দ্য পলিটিক্যাল টার্মোয়েল ইন বাংলাদেশ’-শীর্ষক কনফারেন্স। এর মানে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক গোলযোগের তাৎপর্য। আর বাংলাদেশবিষয়ক এ কনফারেন্সের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ঠিক ড. ইউনূসের চীন সফরের সময়সূচির সঙ্গে মিলিয়ে। এ রকম একটা সময়েই কাকতালীয়ভাবে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং-‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার। ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম-ইউএসসিআইআরএফের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৫ প্রকাশ।
প্রতিবেদনটিতে ‘র’-এর মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতা গুরুতরভাবে লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কে একজন আমেরিকান শিখ নাগরিক হত্যাচেষ্টায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর একজন কর্মকর্তা ও দেশটির ছয়জন কূটনীতিকের জড়িত থাকার অভিযোগ আবারও সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই সংস্থাটি। রিপোর্টের মূল বক্তব্য ভারত সরাসরি অস্বীকার করেছে। এর সপ্তাহখানেক আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের অষ্টম পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের উদ্বেগ প্রকাশ করে গেছেন। এ সফরের পূর্বক্ষণে একজন মার্কিন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা বাংলাদেশে আসা ড. ইউনূসের চীন সফরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কি না, তা বুঝতে আরও সময় লাগতে পারে।
বিশ্ব রাজনীতিতে চীন অন্যতম সুপার পাওয়ার। মহা অর্থনৈতিক শক্তিধর। বিশ্বে খুব কম দেশ আছে যারা চীনের সাহায্য বা ঋণ ছাড়া চলতে পারে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক টানাটানির মধ্যে থাকা দেশগুলোর জন্য চীন সফর রীতিমতো টনিক। সরকারপ্রধান বা ভবিষ্যৎ ক্ষমতাপ্রত্যাশীদের মধ্যে চীন সফরে যেতে ব্যাকুলতা কাজ করে। অন্যদিকে, এ অঞ্চলে চীন নিয়ে কিছু হালকা কথা রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, চায়নিজ মাল টিকে কম। সরকারপ্রধানদের চীন সফর নিয়েও কিছু কুসংস্কার রয়েছে, যা শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও উদাহরণ হয়েছে। তার শেষ বিদেশ সফর ছিল চীন। দেশটি সফর করে আসার পর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি তিনি। শুধু শেখ হাসিনা নন, বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সরকারপ্রধানের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শেষ বিদেশ সফর ছিল চীন । ১৯৮১ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি চীন সফর শেষে দেশে ফেরেন। ৩১ মে চট্টগ্রামে এক অভ্যুত্থানে তার মৃত্যু হয়। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে এরশাদেরও শেষ সফর ছিল চীন। ১৯৯০ সালের ৫ নভেম্বর তিনি চীন সফর শেষে দেশে ফেরেন। এক মাসের মধ্যে এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হন। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের জন্য চীন সফর তাদের শেষ সফর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যেমন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে। ড. ইউনূসের বিষয়টি ভিন্ন। প্রথমত তিনি অরাজনীতিক, ভিন্ন প্রোফাইলের। দ্বিতীয়ত তার প্রেক্ষিত ভিন্ন। কিন্তু প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত বেশ প্রাসঙ্গিক।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের আগে ভারত সফর করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ঢাকার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি ইতিবাচক সাড়া না দেওয়ায় সেটি হয়নি বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তথ্যটি এসেছে সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুর বরাতে। ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, আমরা গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের ভারত সফরের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আমাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলাম, দ্বিপক্ষীয় সফরের অনুরোধ করেছিলাম। চীনে সফর চূড়ান্ত হওয়ার সপ্তাহখানেক আগে এটি করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’
চীন সফর শেষে, ড. ইউনূস আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলনটির ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার একটি বৈঠক হতে পারে। এজন্য বাংলাদেশ আরেকটি অনুরোধ জানিয়েছে এবং ভারতের জবাবের অপেক্ষা করছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. ইউনূসকে একটি চিঠি লিখেছেন নরেন্দ্র মোদি। এর একটি ফলোআপ বা জের থাকা স্বাভাবিক। ড. ইউনূসের চীন সফর মাইলফলক হবে, তা আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশের সঙ্গে চীন খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নেওয়া, গভীরতা বাড়ানোর কূটনৈতিক বক্তব্যের সমান্তরালে সফরটির দিকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের চোখ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বো’আও স্টেট গেস্ট হাউসে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিং শুয়াশিয়াংয়ের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকে নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা এরই মধ্যে নড়াচড়া দিয়ে বসার কারণ হয়ে উঠেছে।
ঘোষণা অনুযায়ী চীন ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদান করবে। এটি বাংলাদেশকে তার এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের পরেও চীনের বাজারে সুবিধা দেবে। চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে। তারা বাংলাদেশের মোংলা পোর্ট আধুনিকীকরণ এবং দাশেরকান্দি স্যুয়েজ প্রকল্পে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া চীন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জন্য চারটি মহাসাগরগামী জাহাজ কেনার জন্যও অর্থায়ন করবে। ড. ইউনূসের অনুরোধে বাংলাদেশে প্রস্তুত পোশাক, বৈদ্যুতিক যান, উচ্চপ্রযুক্তির ইলেকট্রনিকস এবং সোলার প্যানেল শিল্প স্থানান্তরে সহায়তা দেবে চীন। চায়না এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক এ উদ্যোগে বিশেষ সহায়তা দেবে। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও জোরদার হবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আরও বৃত্তি দেবে চীন।
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অতিভারত নির্ভরতার অভিযোগ থাকলেও তাদের টানা চার মেয়াদে চীনের সঙ্গে সখ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন সেই সম্পর্কে একটা ছেদ ফেলে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের বিগত বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সৌহার্দ্য দৃশ্যমান হলেও এ ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এখনো অস্পষ্ট। একদিকে ভারতের সঙ্গে চীনের আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রশ্নে বৈরিতা চলছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বৈরিতা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আরও ঘনীভূত হয়েছে। এ কারণে ড. ইউনূসের চীন সফর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কী প্রভাব রাখবে, তা নিয়ে গুঞ্জন ঘুরছে। সব আলোচনা ছাপিয়ে এ সফর থেকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাংলাদেশে গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বরাবরই প্রথম সফরের গন্তব্য হয়েছে দিল্লি। অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের প্রথম সফর হয়েছে চীনে। সেইসঙ্গে স্মরণ করতে হয়, একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল চীন। বাংলাদেশকে তারা স্বীকৃতি দেয় পঁচাত্তরে। এরপরও চীনের সঙ্গে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বেশি মাখামাখি চলেছে। জবাব ছিল—চীন অর্থনীতির বন্ধু আর ভারত আত্মার বন্ধু।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঠিক এক মাস আগে ৮ জুলাই বেইজিং সফরে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জুলাই সফর শেষ করার কথা থাকলেও এক দিন আগে দেশে ফেরেন তিনি। সফরে ২১টি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। ওই সফরের আগে ধারণা করা হচ্ছিল, তিস্তা প্রকল্প, রোহিঙ্গা সমস্যা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের বিষয়ে চীনের ঋণ পেতে আলোচনা হবে। কিন্তু সফরের শেষে দুই দেশের দিক থেকে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয় সেখানে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কোনো কথা ছিল না। বাণিজ্য, বিনিয়োগ কিংবা অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের দিক থেকে বড় কোনো প্রতিশ্রুতিও দেখা যায়নি। ইউনূস সরকার আমলে দৃশ্যপটে ব্যাপক ভিন্নতা। তার ওপর ড. ইউনূসের এ সফরের মধ্য দিয়ে তৈরি হলো বাড়তি সিম্বলিক ভ্যালু। তার ব্যক্তিগত গ্লোবাল ইমেজ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ চীন সফরে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির সমীকরণ বেশ জটিল।
আঞ্চলিক আধিপত্যের বিচারে সীমান্তসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত ও চীনের মধ্যে বৈরিতা আছে। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের মধ্যে মতৈক্যও দেখা যায়। বহুপক্ষীয় ইস্যুতে ভারত-চীন কখনো কখনো পরস্পরকে সহায়তাও করে। আবার দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বাড়ানো ও পরস্পরের উপস্থিতি প্রতিহত করতে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে, মিয়ানমার পরিস্থিতি। যেখানে চীনের প্রভাব অন্যদের তুলনায় বেশি। এমন বাস্তবতার মধ্যেই ড. ইউনূসের চীন যাত্রার দিনে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত করার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঠিক এ সময়েই আনন্দবাজারের খবর বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গত বছরের অক্টোবরে ভারত সফরের নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের সঙ্গে নিজ দেশের যুদ্ধের মাঝেও তিনি এ অঞ্চলের দিকে চোখ দিতে ছুটে আসবেন ভারতে।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ
মন্তব্য করুন