সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩২
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:০২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দেশ পেয়েছে স্বাধীনতা, জাতি পায়নি মুক্তি

দেশ পেয়েছে স্বাধীনতা, জাতি পায়নি মুক্তি

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা আসলে একটা স্বপ্ন, একটা সমষ্টিগত স্বপ্ন, সমষ্টিগত মুক্তির স্বপ্ন। এ স্বপ্নটাকে আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলছি তখন কিন্তু আমরা এটাকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে আলাদা করছি। স্বাধীনতা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার একটা পরিবর্তন। এই স্বাধীনতা আমরা দু-দুবার পেয়েছি, একবার ১৯৪৭-এ, তারপর ’৭১-এ। মুক্তি হচ্ছে আরও ব্যাপক বিষয়। অর্থাৎ রাষ্ট্রের চরিত্রে পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যে সমাজ আছে তার মৌলিক পরিবর্তন। দুবার স্বাধীন হলেও আসলে আমাদের সমাজব্যবস্থায় কোনো মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি। ব্রিটিশ আমলে যে সমাজ ছিল, যে রকম একটা সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা তারা তৈরি করেছিল, সেটাই রয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তির যে স্বপ্নটা ছিল, সেটা হলো এই সমাজ বদলাবে, এই রাষ্ট্র বদলাবে এবং কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতা আসবে না, প্রকৃত মুক্তি আসবে।

প্রকৃত মুক্তি বলতে বুঝি একটি মানবিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। গণতন্ত্রের মূল বিষয়টা হচ্ছে অধিকার এবং সুযোগের সাম্য। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। তৃতীয়টা হচ্ছে, সর্বস্তরে ও পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের শাসন প্রতিষ্ঠা। প্রথমে মুক্তির স্বপ্ন বিষয়ে এক ধরনের অস্পষ্টতা ছিল, যে জন্য শুরুতে আমাদের যুদ্ধটাকে স্বাধীনতার যুদ্ধই মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে মানুষের অংশগ্রহণ যত বাড়ল, স্বপ্নটা যত বিকশিত হলো, ততই এটা মুক্তির সংগ্রাম বলে পরিষ্কার হয়ে উঠল। এই সংগ্রামটা দীর্ঘকালের। কিন্তু আমরা এটাকে এভাবে আগে কখনো উপলব্ধি করিনি। যেমন ধরা যাক, ১৯৪৭-এর স্বাধীনতার কথা। ’৪৭-এ আমরা স্বাধীনতার কথাই বলেছি। তখন মুক্তির কথাটা এভাবে আসেনি। স্বাধীনতার জন্য ’৪৭-এ আসলে আমরা কোনো সংগ্রাম করিনি। ’৪৭-এ একটা দাঙ্গা হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মধ্যে দিয়ে দেশ ভাগ হলো। আর তখন প্রকৃত অর্থে যা ঘটল, সেটা হলো ক্ষমতার হস্তান্তর। ইংরেজ শাসকরা স্থানীয় শাসকদের কাছে (যাদের অধিকাংশই ছিল পাঞ্জাবি) রাষ্ট্রক্ষমতা দিয়ে গেল। ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটল। তবে পূর্ববঙ্গের মানুষের বুঝতে মোটেই বিলম্ব হলো না যে, তারা প্রকৃত স্বাধীনতা পায়নি, মুক্তি তো অনেক পরের কথা। সেজন্য রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তৈরি হলো এবং রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের যে স্বায়ত্তশাসনের দাবি, তার জন্য আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটল।

তবে আমরা কিন্তু রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সময় একমাত্র রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের কথা বলিনি। যদিও পাকিস্তানে তখনকার জনসংখ্যার মধ্যে শতকরা ৫৬ জন ছিল বাঙালি। বলা হয়েছিল অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, অর্থাৎ আমরা স্বায়ত্তশাসন চাচ্ছি। ওই স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন চলতে থাকল ধারাবাহিকভাবে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়েও আমরা স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে রায় দিলাম। ৬ দফা যখন এলো, সেটাও স্বায়ত্তশাসনের দাবি। কিন্তু ক্রমাগত মানুষের মধ্যে পূর্ণ স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পরে ৬ দফা এক দফায় চলে এলো। সেই এক দফাটা হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তারও পরে মুক্তির কথাটা এলো, অর্থাৎ ওই যে একটা সমষ্টিগত স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন আমরা দেখতে থাকলাম। আমরা চাইলাম আমাদের এই সমাজের পরিবর্তন হবে, আগের সমাজ থাকবে না। এই রাষ্ট্র আগের রাষ্ট্র থাকবে না। পাকিস্তানে আমাদের যে রাষ্ট্রটা ছিল সেটা ব্রিটিশ শাসনের ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে বিকশিত একটা রাষ্ট্র। সে রাষ্ট্র ছিল কাঠামোগতভাবে আমলাতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিকভাবে পুঁজিবাদী। বলা যায় কাঠামোটা আমলাতান্ত্রিক এবং অর্থনীতিটা পুঁজিবাদী। একে ভেঙে আমরা প্রকৃতভাবে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চেয়েছি; কিন্তু সেই রাষ্ট্র আমরা পাইনি। এবং সেই রাষ্ট্র না পাওয়ার জন্যই আমাদের এত দুর্ভোগ।

আমরা এখন পর্যালোচনা করতে পারি কী কারণে কী ঘটল। যে একটা সমষ্টিগত স্বপ্ন ছিল, মুক্তির স্বপ্ন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও গণতান্ত্রিক সমাজের স্বপ্ন। কিন্তু বিজয়ের পর মুক্তি আমরা অর্জন করতে পারিনি। ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে ওই সমষ্টিগত স্বপ্ন যেটাকে আমরা ’৭১ সালের ওই ভয়াবহ সময়ে নির্যাতনের মুখে, নিপীড়নের মুখেও ধারণ করে রেখেছিলাম, যদিও তখন সময়টা ছিল দুঃস্বপ্নের, হানাদাররা ওই দুঃস্বপ্ন তৈরি করেছিল; কিন্তু আমরা সমষ্টিগত স্বপ্নটাকে ধারণ করেছিলাম। আমরা যে সংগ্রামটা করছিলাম, যে লড়াইটা করছিলাম, তার মধ্যে ওই স্বপ্নটাই ছিল চালিকাশক্তি। আমরা বুঝেছিলাম ব্যক্তির মুক্তি সবার মুক্তির মধ্যে নিহিত, এটা আলাদা করে আসবে না। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে যে পরিবর্তনটা এলো তখন ব্যক্তিগত স্বপ্নটা বড় হয়ে দাঁড়াল, সমষ্টিগত স্বপ্নের তুলনায়। সমষ্টিগত স্বপ্নকে পেছনে রেখে আমরা প্রত্যেকে নিজের মতো ব্যক্তিগত স্বপ্ন দেখতে থাকলাম। অর্থাৎ নিজের কতটা সম্পদ হবে, নিজে কতটা ক্ষমতা পাব, নিজের কতটা প্রতিষ্ঠা হবে, নিজের কতটা সম্মান বাড়বে, এটাই হয়ে দাঁড়াল লক্ষ্য। এমনকি আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের ওপর যারা স্মৃতিকথা লিখেছেন তাদের লেখায় আমার দেখা ’৭১, একাত্তরে আমার ভূমিকা, আমার ’৭১, ‘৭১ ও আমি’—এসব বিষয় উপজীব্য হয়ে এসেছে। অর্থাৎ ব্যক্তিগত অর্জন, ব্যক্তিগত ভূমিকাই প্রাধান্য পেল। ফলে মুক্তিযুদ্ধের ছিল যে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণে, সেই ব্যাপারটা পিছিয়ে গেল। নতুন নতুন বীরের আত্মপ্রকাশ ঘটতে থাকল। তারা নতুন নতুন বীরত্বের কাহিনি বলতে থাকলেন এবং সমস্ত ব্যাপার এমন হলো যেন, ব্যক্তিগত অর্জনের মধ্যেই ব্যক্তির মুক্তি আছে। ফলে সমষ্টিগত মুক্তির খোঁজ ছেড়ে মানুষ ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে ভাবনা শুরু করল। ’৭১-এ আমরা মুক্তি খুঁজেছি সমষ্টিগত। ’৭১-এর পর আমরা প্রত্যেকেই ভাবছি, যারা দৃষ্টান্ত, যারা আদর্শ তারা প্রত্যেকেই ভেবেছেন যে তার সম্পত্তিটা তাকে মুক্তি দেবে, আমার সম্পত্তি যত হবে ততই আমি মুক্ত হবো। আর এ ধারণার জন্য আমাদের ওই যে সোনালি স্বপ্নটা সেটা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল, যেটাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ভাঙতে পারেনি, সেটাকে আমরা ভাঙলাম বিজয়ের পর। বলা যায়, বিজয়ের পর এটা আমাদের একটা ঐতিহাসিক পরাজয় যে, আমরা সমষ্টি চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যক্তি চিন্তাকে বরণ করে নিলাম।

সংগত প্রশ্ন এই যে, ঐতিহাসিক পরাজয়ের এই দায়টা কার? দায়িত্ব দিতে হবে নেতৃত্বকে। কেননা নেতৃত্বই তো পরিচালনা করে, তারাই আদর্শ স্থাপন করে, দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, তাদের অনুকরণেই অন্যরা শেখে। যে নেতৃত্ব আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সামনে ছিল সেটা ছিল জাতীয়তাবাদী নেতৃত্ব এবং জাতীয়তাবাদীরা মনে করে তাদের পক্ষে যে ভূমিকাটা পালন করার দায়িত্ব ছিল সেটা ’৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে। এরপর তারা আর ওই স্বপ্নটাকে এগিয়ে নেয়নি।

মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক মানবিক সমাজের স্বপ্ন, কিন্তু যুদ্ধের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে তাদের দ্বারা সেটা পূরণ হওয়া সম্ভবই ছিল না। কেননা জাতীয়তাবাদীরা সমাজতন্ত্রী হয় না; কারণ তারা সমাজকে এগিয়ে নিতে চায় না। শুধু ক্ষমতার হস্তান্তর চায়। জাতীয়তাবাদীরা সাধারণত ক্ষমতার রূপান্তর চায় না। যেমন পাকিস্তান আমলে আমরা দেখলাম যে, ইংরেজ চলে গেল, পাকিস্তানি শাসকরা ক্ষমতা পেল। তখন আমরা মনে করলাম, পাকিস্তানি শাসকরা কেন ওই জায়গা দখল করে আছে, আমরা ওই জায়গাটা দখল করব। এ জন্য ক্ষমতার হাত বদল হলো, কিন্তু মৌলিক কোনো পরিবর্তন এলো না। সেই আইন, সেই ব্যবস্থা, সেই আমলাতন্ত্র, সেই বাহিনী সবই অক্ষুণ্ন রইল। প্রকৃত অর্থে যেটা ঘটল সেটা ক্ষমতার হস্তান্তর। কাজেই তারা, যারা ক্ষমতার হস্তান্তরে বিশ্বাস করেন তারা তো সমাজতন্ত্রী হবেন না। কারণ সমাজতন্ত্রের মূল কথাটা হচ্ছে, সমাজ কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন-বৈষম্য দূর করা, মানুষে মানুষে সাম্য তৈরি করা। জাতীয়তাবাদীরা তো ওই লক্ষ্যে ছিলেন না। তারা চাচ্ছিলেন যে ক্ষমতা পাকিস্তানিদের হাতে আছে, পাঞ্জাবিদের হাতে আছে, তারা ওই ক্ষমতাটা নেবেন এবং তারা জনতার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ওই ক্ষমতাটা পেয়ে গেলেন। মুক্তিযুদ্ধের জনগণই হচ্ছে চালিকাশক্তি, তারাই সংগ্রাম করেছে, তারাই বঞ্চিত হয়েছে, তাদের খবর কেউ রাখে না। তাদের ত্যাগের কোনো হিসাব নাই। মুক্তির সংগ্রামে এদের অংশগ্রহণ কীভাবে ঘটেছে তার খবর আমরা জানি না। নারী নির্যাতনে ইতিহাস আমাদের জানা নেই। কিন্তু ওপরে ওপরে কতগুলো মানুষের ভূমিকাকে বড় করে দেখানোর জন্য মিডিয়া চেষ্টা করে, দলগুলো চেষ্টা করে।

আওয়ামী লীগ কিন্তু সমাজতন্ত্রের কথা আগে বলেনি, প্রথমে বলে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময়ে। এর আগে তাদের মুখে আমরা কখনো সমাজতন্ত্রের কথা শুনিনি। সে সময়ে বলেছে, কেননা সমাজতন্ত্র ছাড়া তখন মানুষ অন্য কিছু শুনতে প্রস্তুত ছিল না। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, মওলানা ভাসানী যদি সমাজতন্ত্রের কথা বলেন তাহলে আবার একটা বিভাজন তৈরি হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমাজতন্ত্রের ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার দৃঢ় ছিল না, দৃঢ় থাকা সম্ভবও ছিল না। তাদের সে ধরনের প্রস্তুতি ছিল না। কাজেই যখন দেশ স্বাধীন হলো, কলকারখানাগুলো সব রাষ্ট্রীয়করণ হলো, সেখানে দলীয় লোকজনের একটা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হলো যারা নিজেদের সেগুলোর মালিক মনে করতে শুরু করল। তারা যন্ত্রপাতি, জমি, সম্পদ সব বিক্রি করে দিয়ে সবকিছুকে নিজেদের সম্পত্তি করার চেষ্টা করেছে।

জনযুদ্ধ থেকে পরবর্তী প্রজন্মের যেসব প্রেরণা পাওয়ার বিষয় আছে, সেগুলোর প্রথমটি হলো ইতিহাস, ইতিহাসের চর্চা। দ্বিতীয়ত ওই কথাটা বলে বলে সামনে আনতে হবে যে আমরা একটা সমষ্টিগত স্বপ্নের কথা ভাবব। ব্যক্তিগত স্বপ্নের কথা ভাবব না। এটা মৌলিক বিষয়। এখন প্রত্যেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে, প্রত্যেকে পৃথক হচ্ছে। আমরা যদি এদেশে পরিবর্তন আনতে চাই, তাহলে বিচ্ছিন্নতা দূর করতে হবে, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং ঐক্যের জায়গাটা কিন্তু ওই মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন। যাকে বলছি সমষ্টিগত স্বপ্ন, ওটাকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। একদিকে ইতিহাস চর্চা হবে, ঘটবে কীভাবে এ রাষ্ট্র এলো, তার ব্যাপক অনুসন্ধান। আরেকটি কাজ হলো মুক্তিযুদ্ধের সমষ্টিগত স্বপ্নটাকে সবার মধ্যে সংক্রমিত করা। ওই স্বপ্নের ভিত্তিতে তাদের উদ্দীপ্ত করা, ঐক্যবদ্ধ করা। এটা হচ্ছে তাদের দায়িত্ব যারা দেশপ্রেমিক এবং গণতান্ত্রিক। এটা তো এমনি এমনি হবে না। এটা রাষ্ট্র করবে না। কারণ রাষ্ট্রের শাসক শ্রেণির তো সে চরিত্র নেই। কাজেই যারা দেশপ্রেমিক মানুষ, যারা গণতান্ত্রিক মানুষ তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। (এ দুটোই লাগবে। খালি দেশপ্রেমিক হলে হবে না, খালি গণতান্ত্রিক হলেও হবে না।) এই যে আমাদের মাতৃভূমি, এই জনপদে আমরা থাকব, আমরা হাজার বছর ধরে আছিও; একে আমরা একটা সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত করব। আকাঙ্ক্ষাটা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

লেখক: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

ভারতে ঈদগাহে আসা মুসলিমদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানাল হিন্দুরা

ঈদগাহে মুসল্লিদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা

‘দ্রুত নির্বাচন না হলে আরও একটি স্বৈরাচার জন্ম নিতে পারে’

‘১৭ বছর পর স্বাধীনভাবে ঈদের নামাজ পড়তে পেরেছি’

সাম্যের প্রতীকে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায়

এবারের ঈদে অনেক পার্থক্য আছে: মির্জা ফখরুল

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা বিএনপির

শোলাকিয়ায় ৬ লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদ জামাত

১০

সব ধরনের নেতিবাচক কাজ থেকে দূরে থাকার আহ্বান সারজিসের

১১

ঈদের ময়দানে ব্যতিক্রমী আপ্যায়ন

১২

সিলেট শাহী ঈদগাহে লক্ষাধিক মানুষের নামাজ আদায়

১৩

বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত

১৪

ঈদ উপলক্ষে বিশেষ বার্তা দিলেন হামজা ও জামাল

১৫

শ্রীমঙ্গলে রাতভর বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, সাবেক মেয়রসহ আটক ১৪

১৬

৮ বছর পর নুজাইরা বাবার সঙ্গে ঈদ করবে

১৭

ঈদের দিন সুস্থ থাকতে কী কী খাবেন

১৮

সারা দেশে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ঈদুল ফিতর উদযাপন

১৯

ঈদের দিন বদহজম থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে

২০
X