বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১
জাকির হোসেন
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০২:২৬ এএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গণহত্যার ব্লুপ্রিন্ট

পাকিস্তানি জেনারেলদের ভাষ্য

পাকিস্তানি জেনারেলদের ভাষ্য

একাত্তরের ১৭ মার্চ। রাত প্রায় ১০টা। স্বস্তি নেই লে. জেনারেল টিক্কা খানের মনে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের কাছ থেকে তিনি চূড়ান্ত নির্দেশনা পেয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব এই নির্দেশনা তাকে বাস্তবায়িত করতে হবে। তাই তিনি ফোন করলেন। ১৪তম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজার কাছে। টিক্কা খান টেলিফোনে খাদিম হুসেন রাজাকে বললেন, ‘এখনই মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলিকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় চলে আসুন।’ রাও ফরমান আলি তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের উপদেষ্টা। টিক্কা খানের এই নির্দেশ পাওয়ার পর ওই রাতেই রাও ফরমান আলি ও খাদিম হুসেন রাজা গেলেন টিক্কা খানের কমান্ড হাউসে। তারা দুজন টিক্কা খানের বাসায় গিয়ে দেখলেন সেখানে আরও একজন জেনারেল রয়েছেন, তিনি হলেন হামিদ খান। কালক্ষেপণ না করে জেনারেল টিক্কা খান তাদের দুজনের উদ্দেশে বললেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে শেখ মুজিবের আলোচনা খুব একটা এগোচ্ছে না। তাই প্রেসিডেন্ট এখন সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে। এ লক্ষ্যে আপনারা এখন আনুষঙ্গিক পরিকল্পনা তৈরি করুন।’ এই কয়েকটি বাক্য ছাড়া জেনারেল টিক্কা খান আর কিছুই বললেন না এবং কোনো লিখিত নির্দেশনাও দিলেন না। টিক্কা খান শুধু বললেন, ‘আপনারা দুজন মিলে পরিকল্পনা তৈরি করুন। আগামীকাল (১৮ মার্চ) এই পরিকল্পনা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করবেন।’ টিক্কা খানের নির্দেশনা অনুযায়ী রাও ফরমান আলি ১৮ মার্চ সকালে খাদিম হুসেন রাজার অফিসে যান। এরপর তারা দুজন মিলে সামরিক অভিযানের ‘ব্লুপ্রিন্ট’ তৈরি করতে বসেন। খাদিম হুসেন রাজা চেয়েছিলেন তাদের এই পরিকল্পনা নিয়ে তার বাঙালি এডিসির মনে যেন কোনো ধরনের সন্দেহের উদ্রেক না হয়। এজন্য তিনি তার স্ত্রী রুবিনাকে বলেছিলেন, তিনি যেন বাঙালি এডিসিকে অফিস থেকে দূরে ব্যস্ত রাখেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে খাদিম হুসেন রাজা ও রাও ফরমান আলি সামরিক অভিযানের রূপরেখার ব্যাপারে ঐকমত্য হন। তারপর যার যার অংশ লিখতে শুরু করেন।

রাও ফরমান আলি ছিলেন ঢাকা গ্যারিসনের অপারেশনের দায়িত্বে আর বাংলাদেশের বাকি অংশে অভিযানের দায়িত্বে ছিলেন খাদিম হুসেন রাজা। ঢাকার গ্যারিসনে কীভাবে অপারেশন চালাবে তা রাও ফরমান আলি দ্রুত লিখে ফেলেন। আর খাদিম হুসেন রাজা বাকি প্রদেশের সেনাদের কাজের বিন্যাস করেন। এরপর ওইদিন (১৮ মার্চ) রাতে তারা দুজন কমান্ড হাউসে গিয়ে টিক্কা খানের কাছে তাদের পরিকল্পনার ‘ব্লুপ্রিন্ট’ জমা দেন। তাদের এই ব্লুপ্রিন্ট টিক্কা খান বিনাবাক্যে গ্রহণ করেন। এই ব্লুপ্রিন্টের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’। এই নামটি বাছাই করার পেছনে কোনো আলাদা বিশেষত্ব ছিল না। সামরিক অভিযানের ‘ব্লুপ্রিন্ট’ তৈরির পর তারা দুজন ছিলেন নির্দেশের অপেক্ষায়। এ ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে তাদের অধীন কমান্ডারদের কাছে এই ‘ব্লুপ্রিন্ট’ পাঠানো। তাদের হাতে সময় বেশি ছিল না। কেননা তারা বুঝতে পেরেছিলেন সমঝোতা আলোচনা আর বেশি দিন এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা তার লেখা ‘অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ শীর্ষক বইয়ে সার্চলাইট অপারেশনের পরিকল্পনা বিষয়ে এমনটিই লিখেছেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন মেজর সিদ্দিক সালিক। ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের পর যুদ্ধবন্দি হিসেবে তিনি ভারতে যান। মুক্তি পেয়ে ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ শিরোনামে একটি বই লেখেন। এই বইটি ১৯৭৭ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। একজন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার লেখা এই বইটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বই। ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ শিরোনামে বইয়ে সিদ্দিক সালিক ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বিষয়ে বলেছেন, ‘জেনারেল রাও ফরমান আলি হালকা নীল কাগজের অফিসিয়াল প্যাডের ওপর একটি সাধারণ কাঠপেনসিল দিয়ে ওই পরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তিনি স্বচক্ষে সেই হাতে লেখা পরিকল্পনার খসড়া দেখেছিলেন। তাতে সামরিক অভিযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, শেখ মুজিবের ডিফ্যাক্টো শাসনকে উৎখাত করা এবং সরকারের (পাকিস্তানের) কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এই পরিকল্পনা ছিল ১৬টি প্যারাসংবলিত এবং পাঁচ পৃষ্ঠা দীর্ঘ। পরিকল্পনা অনুমোদিত হলেও কবে সামরিক অপারেশন চালানো হবে, সেই দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল না।’ উল্লেখ্য, সিদ্দিক সালিক ব্রিগেডিয়ার থাকা অবস্থায় ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের সফরসঙ্গী ছিলেন তিনি।

অপারেশন সার্চলাইট বিষয়ে মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা তার বইয়ে লিখেছেন, ২৪ মার্চ দুটি হেলিকপ্টার নিয়ে রাও ফরমান আলি এবং তিনি নিজে ঢাকার বাইরে অবস্থানরত ব্রিগেড কমান্ডারদের সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দিতে রওনা হন। তারা চেয়েছিলেন গোপনীয়তা বজায় রেখে বিভাগীয় কমান্ডারদের সরাসরি নির্দেশনা দেবেন এবং মাঠপর্যায়ে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটি কৌশলে সমাধান করবেন। তারা যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রামে যান। সিলেট, রংপুর এবং রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে পাঠানো হয় সিনিয়র স্টাফ অফিসারদের। অভিযানের জন্য প্রস্তুত হতে বলা হলেও ব্রিগেড কমান্ডারদের জানানো হয়েছিল, আঘাত হানার সময় পরে জানানো হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল সব গ্যারিসনকে একই সঙ্গে একসময়ে অপারেশনে নামতে হবে। পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক বাহিনী আটটি স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যান্টনমেন্টে বিন্যস্ত ছিল—ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, রাজশাহী, রংপুর ও সৈয়দপুর। এর সঙ্গে ২ নম্বর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের অবস্থান ছিল ঢাকার কাছে, জয়দেবপুরে।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশের বিভিন্ন ব্যারাক ঘুরে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা তদারকি করলেও, অপারেশন সার্চলাইটে অংশ নেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনীর কারও কাছেই কোনো লিখিত অর্ডার পাঠানো হয়েছিল না। সময় জানিয়ে মেজর জেনারেল খাদিম হুসেনের কাছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানের কাছ থেকে ফোনটি এসেছিল ২৫ মার্চ বেলা ১১টায়। সংক্ষেপে বলা হয়েছিল, ‘খাদিম, আজ রাতেই’। সময় নির্দিষ্ট হয়েছিল রাত ১টা। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসাবে অবশ্য তখন থাকবে ২৬ মার্চ। হিসাব করা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ততক্ষণে নিরাপদে করাচি পৌঁছে যাবেন। উল্লেখ্য, ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি করাচির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।

প্রায়ই বলা হয়ে থাকে, ইতিহাস ‘বিজয়ীদের দ্বারা রচিত হয়’। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাকিস্তানে রচিত হয়েছে পরাজিতদের দ্বারা। একজন জেনারেল (আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান), একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি), চারজন মেজর জেনারেল (রাও ফরমান আলি, কামাল মতিনউদ্দিন, হাকিম আরশাদ কোরেশি, এ. ও. মিঠঠা) এবং দুজন ব্রিগেডিয়ার (সিদ্দিক সালিক, এ. আর. সিদ্দিকি)—তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তাদের কিছু সহকর্মী, যারা ঘটনাগুলোর চাক্ষুষ সাক্ষী বা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারা আজও তাদের কথা বলতে খুব একটা উৎসাহী নন। এরকম বর্ণনার গুরুত্ব নির্ভর করে তা লেখক নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে বলছেন নাকি নিজের অন্তর্দৃষ্টি তুলে ধরেছেন তার ওপর। আরও লক্ষ রাখতে হয় বর্ণনাগুলো প্রাসঙ্গিক কি না তার ওপর। উভয়দিক থেকেই মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজার স্মৃতিচারণগুলো অবশ্যই মূল্যবান। তার বর্ণনাগুলো একাধারে রসিকতাপূর্ণ এবং সঠিক তথ্যসমৃদ্ধ।

খাদিম হুসেন রাজা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নানা বিপজ্জনক ও বিষণ্নতায় ভরা ঘটনাবলির পাশাপাশি একটি বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। তা হলো পাকিস্তানি জেনারেলদের কাছে আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের কোড নাম ছিল ময়না। এ বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘কয়েকদিন আগের কথা, মে. জে. ফরমান এবং খাদিম হুসেন রাজা তাদের সন্তানদের লাহোরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বিমানে করে। বিমানটি সৈন্য পরিবহন করে খালি অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানে ফেরত যাচ্ছিল। খাদিম হুসেন রাজার কন্যা রুবিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ছাত্রী ছিলেন। তাকে একটি সাংকেতিক শব্দ শিখিয়ে দিয়েছিলেন। কখনো টেলিফোনে কথা বলার সময় তারা যদি শেখ মুজিবের ব্যাপারে কোনো কথা বলেন, তবে শেখ মুজিবের সাংকেতিক নাম হবে ‘ময়না’। খাদিম হুসেন রাজা ভুলেই গিয়েছিলেন যে, জিওসি হাউসে সত্যিই একটি পোষা ময়না আছে, যেটাকে তার এক বন্ধু সিলেট থেকে উপহারস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। ২৫ আর ২৬ মার্চের মধ্যবর্তী রাতে লে. কর্নেল জেড এ খান খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শেখ মুজিবকে বন্দি করতে সক্ষম হন। শেখ মুজিব অক্ষত ছিলেন এবং জিওসি হাউসের কাছেই একটি বালিকা বিদ্যালয়ে তাকে নিরাপদে রাখা হয়েছিল। প্রহরীর সংখ্যা কমানোর উদ্দেশ্যে খাদিম হুসেন রাজা তাকে কমান্ড হাউসের গেস্টরুমে নিয়ে আসেন। রাত আরও গভীর হওয়ার পর কিছু ভারী অস্ত্র ব্যবহারের বিকট শব্দ শোনা যেতে লাগল। ট্যাঙ্কের গোলাবর্ষণ আর রিকয়েললেস রাইফেলের গর্জন সহ্য করার মতো শক্তি পোষা ময়নাটির ছিল না এবং অবশেষে ময়নাটি আর সহ্য করতে না পেরে মারা গেল। সামরিক অভিযানের ব্যাপারে কথা বলার জন্য খাদিম হুসেন রাজার স্ত্রী তার মেয়ে রুবিনাকে ফোন দিয়েছিল। ‘ময়না’ নামটি যে কোডওয়ার্ড, তা বেমালুম ভুলে গিয়ে তিনি সত্যিকারের ময়নাটি সম্পর্কে বলেন যে, বেচারা ‘ময়না’ মারা গিয়েছে। গভীর রাত হওয়া সত্ত্বেও পুরো লাহোরে এই খবর তাৎক্ষণিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল যে, শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। যা হোক, পরদিন অবশ্য মিডিয়ায় সত্য খবরটিই প্রকাশ পায় শেখ মুজিব নিরাপদে আছেন এবং কর্তৃপক্ষের হেফাজতে আছেন।

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাপুটে জয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত কিউইদের

‘পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করিয়েছে’

মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, অতঃপর...

আমরা কখনো বলিনি আগে নির্বাচন পরে সংস্কার চাই : মির্জা ফখরুল

পাইরেসি রুখতে শাকিবের বার্তা

বিএনপি নেতাকে কোপালেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীরা

সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি

তমার জন্য রাফী লাকি : নিশো 

চিপস কিনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ৬ বছরের শিশু

ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস 

১০

পরকীয়ার অভিযোগে খুঁটিতে বেঁধে প্রবাসীর স্ত্রীসহ যুবককে নির্যাতন

১১

সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর জঙ্গিবাদের উত্থান হয়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২

সম্প্রীতির অনন্য নজির, ঈদে এবার হিন্দুদের শরবত খাওয়াল মুসলিমরা

১৩

দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে সরকার হার্ডলাইনে যাবে : উপদেষ্টা মাহফুজ

১৪

লি‌বিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার

১৫

সন্ধ্যা থেকে ১২ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায়

১৬

মেসিবিহীন আর্জেন্টিনার ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অভিনব কীর্তি

১৭

চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০

১৮

আবারও বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে মেসি

১৯

দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো

২০
X