আমরা পারি, পারেন তারাও। ডোনাল্ড লু-পিটার হাস তো মাস কয়েক আগের প্রসঙ্গ। এখন তুলসী গ্যাবার্ড-ট্যামি ব্রুস, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প-ইলন মাস্কও বাংলাদেশে প্রাসঙ্গিক ক্যারেক্টার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ও মার্ক জুকারবার্গের নামে ব্যবসা করার লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে। ট্রাম্পের নামে ইস্যু হওয়া একটি লাইসেন্সে আফতাবনগর ঠিকানা দেওয়া হলেও বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্রে তেজগাঁও এলাকার নাম উল্লেখ ছিল। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ ও ইলন মাস্কের নামে রেস্টুরেন্ট ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে।
ভুয়া তথ্য জমা দেওয়া হলেও ডিএনসিসি তা যাচাই ছাড়াই অনুমোদন দিয়েছে। লাইসেন্সের তথ্যমতে, ট্রাম্প করবেন কাঁকড়ার ব্যবসা। লাইসেন্স অনুযায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ট্রাম্প অ্যাসোসিয়েশন’। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাবার নাম ফ্রেড ট্রাম্প। মায়ের নাম ম্যারি অ্যান ম্যাকলিওড ট্রাম্প। এসব ছাপিয়ে আরও বিস্ময়কর বিষয় হলো, লাইসেন্সে মালিক হিসেবে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি। লাইসেন্সে মালিকের ব্যক্তিগত তথ্য ও ঠিকানা—সবই দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের। আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ঢাকার আফতাবনগরে। আবেদনকারী নির্ধারিত সব ফি ২ হাজার ২৬৫ টাকা ডিএনসিসির অনুকূলে পরিশোধ করে লাইসেন্সটি পেয়েছেন। লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন। নিয়ম অনুসারে, মেয়াদকালের মধ্যে তিনি চাইলে এ লাইসেন্স প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। ভাবা যায় কোথায় পৌঁছেছি আমরা?
তারাও, মানে মার্কিন প্রশাসনও কি কম যাচ্ছে? মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, বাংলাদেশে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এ কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ইসলামী চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান হুমকি ও ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। অবশ্য তিনি সরাসরি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিযুক্ত করেননি। তবে মুহাম্মদ ইউনূস এ উদ্বেগগুলোকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছেন। এগুলোকে অসত্য বলে অভিহিত করেছেন।
এর আগে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের অষ্টম পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের উদ্বেগ প্রকাশ এবং এ নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোর এক দিনের মাথায় আবারও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস ১৯ মার্চ বলেছেন, তারা যে কোনো দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা বা অসহিষ্ণুতার যে কোনো ঘটনার নিন্দা জানান এবং বাংলাদেশে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। অন্যদিকে তুলসী গ্যাবার্ডের ভারত সফরকালে যে শহরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ইতিহাস নেই, সেখানে কীভাবে এরকম একটা ঘটনা ঘটে গেল, তা অনেকের কাছে ভাবনাতীত।
একদিকে গণমাধ্যমকে বলতে হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সরকারের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট আমেরিকা। সমান্তরালে মার্কিনি উদ্বেগের খবর। ঘটনাচক্রে দোষটা পড়ছে গণমাধ্যমের ওপর। খবরে চোখ বোলানো সাধারণ মানুষ কথা বলতে ছাড়ছে না যে, কোনটা সঠিক? তোমরাই লিখছ-বলছ বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। আবার তোমরাই দিচ্ছ, সরকারের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট। কোনটা সঠিক? এখানে ঠিক-বেঠিকের এ সার্কাজমে সাংবাদিকরা অসহায়। বোঝানো কঠিন এ প্রশ্নে গণমাধ্যম শুধুই বয়ানকারী। ততক্ষণে সংখ্যালঘু শব্দটি ডিসকারেজ করে ‘সকল নাগরিক’ শব্দটি গুরুত্ব দিয়ে তুলসী গ্যাভার্ডকে অনেকটা চপেটাঘাত করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। এ সময়টাতেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের বর্ণ, ধর্ম, জাতি এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে মানবাধিকার রক্ষায় তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, তা ধর্মীয়ভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।
ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তার সঙ্গে মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স সাক্ষাৎ করতে এলে ড. ইউনূস এসব কথা জানান। এ সময় সিনেটর পিটার্স বলেন, তার মিশিগান কনস্টিটুয়েন্সিতে অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বাস করেন, যার মধ্যে ডেট্রয়ট শহরও অন্তর্ভুক্ত। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ গত কয়েক মাসে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে বিশাল পরিমাণ মিথ্যা তথ্যও প্রচারিত হয়েছে। এ মিথ্যা তথ্যের কিছু অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ড. ইউনূস তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আগস্টে পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, ধর্মীয় নয়। অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামের সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও সমাজকর্মীদেরও বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান, যাতে তারা ধর্মীয় ঐক্যের বাস্তব তথ্য জানতে পারেন।
কথা আসলে বড় বিচিত্র জিনিস। একই কথা সকালে যার ওজন পাঁচ টন, বিকেলে তার ওজন পাঁচ গ্রামও থাকছে না। স্থান-কাল-পাত্রভেদে একই কথার ওজন যে একেক রকম, তা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের সামান্য কথা অসামান্যভাবে আবার প্রমাণ করল। আদতে তিনি তেমন নতুন কিছু বলেননি। ১৭ মার্চ এনডিটিভিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সঞ্চালক বিষ্ণু সোম তুলসীকে বলেছিলেন, ‘ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আমরা অনেক পটপরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র কি সেখানকার পরিস্থিতি আমলে নিচ্ছে এবং রাজনীতির বাইরেও সব পর্যায়ে স্থিতিশীলতা রাখতে তৎপর আছে?’ জবাবে তুলসী বলেছেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অনেক দিন ধরে নিপীড়ন, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে আসছে এবং এটি মার্কিন সরকার ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে।’ তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্বব্যাপী ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদ দমন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সে লক্ষ্যেই তারা কাজ করছে। ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন ক্যাবিনেট বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।’ তুলসীর এ কথাগুলো সরকারি কর্মকর্তা বা কূটনীতিকদের ব্যবহার্য ফরম্যাট করা কথা।
এখানে দৃশ্যত উত্তেজিত হওয়ার মতো তেমন উপাদান নেই। এরপরও ঢাকা-দিল্লি দুখানেই অনেকটা আকস্মিক প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা এবং দেশে ইসলামী সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিস্থিতি গোলমেলে করে দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাড়াজাগানো সফর, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে কক্সবাজারে লাখো রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার, ইউনূসের চীন সফরের সময় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আসন্ন বিশেষ বৈঠক, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ইত্যাদি মিলিয়ে গোলমেলে অবস্থার মাঝে এসব কথাবার্তা।
মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা তুলসী গ্যাবার্ড ২০২৫ সালের শুরু থেকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের অষ্টম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এক সময় হাওয়াই রাজ্যে সর্বকনিষ্ঠ আইনপ্রণেতা ছিলেন। ডেমোক্রেট দলে ২০০২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকে কাজ করেছেন। পরে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেন ২০২৪ সালে। তিন দিনের ভারত সফরে এসে গ্যাবার্ড সে দেশের চ্যানেল এনডিটিভিকে সাক্ষাৎকার প্রদান করেন, যা মার্চ ১৭, ২০২৫-এ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ‘গভীর উদ্বিগ্ন’ বলে গ্যাবার্ড সাক্ষাৎকারটিতে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথাও বলেছেন, ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদী’রা নানা দেশে ‘ইসলামী খেলাফতে’র আদর্শে শাসনক্ষমতা হাতে নিতে চায় কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন এ আদর্শকে পরাস্ত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। পাশাপাশি বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া দ্বিতীয় আরেকটি সাক্ষাৎকারেও তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদের বিপদ বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করছে।’ তাৎক্ষণিক তুলসীর এসব কথার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বাংলাদেশ। তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো প্রমাণ বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ঝাঁজালো ভাষায় বলা হয়েছে, তুলসীর বিবৃতি বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস। এটি একটি দেশকে অন্যায় ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
কাকতালীয়ভাবে তুলসী গ্যাবার্ডের ভারতে অবস্থানকালেই দেশটিতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের বর্বরতার নতুন নজির। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজার অপসারণের দাবিতে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়েছে। নাগপুরের খুলদাবাদে স্থানীয় মুসলিমরা মাজার ঘিরে অবস্থান নিলে আওরঙ্গজেবের প্রতীকী কবর আগুনে পোড়ায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। এতে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস আর ফাঁকা গুলি ছুড়লে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর যানবাহনে লাগানো আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের সাতটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করতে হয় স্থানীয় প্রশাসনকে। প্রয়োজনে বাবরি মসজিদের মতো মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন দল দুটির শীর্ষ নেতারা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তোলা মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী দিল্লিতে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। কথা হয়েছে, সীমান্ত নিরাপত্তা সন্ত্রাস দমন, সাইবার নিরাপত্তা, নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সুরক্ষা অংশীদার নিয়ে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তুলসী।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট
ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন
মন্তব্য করুন