বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১
ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৫০ এএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

ক্রান্তিকালের অনিবার্য সারথি বিএনপি

ক্রান্তিকালের অনিবার্য সারথি বিএনপি

এক চারণ দার্শনিক (লোকে অবশ্য পাগল বলে) প্রশ্ন করলেন, আইতাছস নাকি যাইতাছস? উত্তরের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই জবাব দিলেন, ‘ওই একই কথা। যেদিক থেকে যে যেভাবে দেখে।’ ব্যাপারটি হালকা হাস্যরসের হলেও ভেতরে গভীর দার্শনিকতা রয়েছে। আসা-যাওয়ার এ দুনিয়ায় চরম নির্লিপ্ততা নিয়ে এরকম কথা শুধু পাগল দার্শনিকরাই বলতে পারেন। অন্যরা এসব কথার ওজন মাপে নিজের লাভ-ক্ষতির তেজারতিতে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেউ কেউ অবশ্য পাগল সেজে সন্দেশ খায়। সম্প্রতি দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং রাজনীতিতে এরকম অনেক নতুন পাগল আমদানি হয়েছে। গত দেড় দশক হাসিনা রেজিমের হালুয়া-রুটি খাওয়া অনেক দল এখন অভ্যুত্থান-পরবর্তী ক্ষমতার ভাগ চাইছে। পতিত আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি ও কিছু ইসলামী দল রীতিমতো বিপ্লবী হয়ে উঠেছে। পটপরিবর্তনের পর গত ছয় মাসে নতুন ১৬টি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। জাতীয় জীবনে এর বড় কোনো প্রভাব না পড়লেও ব্যয়বহুল ও বাহারি ইফতার আয়োজনে সরব তারা। মৃত্যুঞ্জয়ী বিপ্লবীরাও অতি আত্মবিশ্বাসে গতানুগতিক প্রত্যাশায় গা ভাসিয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এমন বিতর্কিত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ এখন ব্যাপক চর্চিত বিষয়। গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের ‘বাবা’ সম্বোধন করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘তোমরা অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছ। কিন্তু আরও বড় দায়িত্ব পালন বাকি আছে। একাত্তরে আমরা যে সুযোগ নষ্ট করেছি, তোমরা সেই সুযোগটা নষ্ট হতে দিও না। তোমরা আমাদের জুলাইয়ের নেতা ছিলে, আরও অন্তত পাঁচ-দশ বছর আমাদের নেতা থেকে রাষ্ট্রকে একটা কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে দিও। এটাই আমার প্রত্যাশা।’

এ প্রত্যাশায় নিয়মিত রাজনীতিবিদদের মনে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে হতাশা দেখা দিতে পারে।

শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকের পর রোহিঙ্গাদের মতো উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি বিভিন্ন দলের নেতাদের মধ্যে। রোহিঙ্গারা স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের আশ্বাস পেয়েছেন। কিন্তু রাজনীতিবিদরা গণতন্ত্রে ফেরার প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। জাতিসংঘ মহাসচিবের সান্নিধ্য পাওয়ার পর বিএনপি মহাসচিবের প্রতিক্রিয়া ছিল চোখে পড়ার মতো। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কার তো অবশ্যই করতে হবে। সংস্কারের কথা তো আমরা আগে বলেছি। দ্রুত নির্বাচন করে একটা পার্লামেন্টের মাধ্যমে বাকি বিষয়গুলো ধরতে হবে। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া।’ এ ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিব কিছু বলেছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। ...তাকে নির্বাচনের টাইম ফ্রেম দিতে যাব কেন?’ মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গোলটেবিলটা... ঠিক বোঝেননি তিনি। তবে বৈঠকে যোগ দেওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির নবীন সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনারা বসে রিফর্মস কী নেবেন, সেটা ঠিক করেন। উনি বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। পৃথিবীর মধ্যে একটা নজির সৃষ্টি করবে আগামী নির্বাচন, এমনটা উনি আশা করেছেন।’

এদিকে, ইউনূস সরকারের ছোট-বড় সব ধরনের সংস্কারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন আন্তোনিও গুতেরেস। জুলাই নেতাদের দল বিকাশে চলছে নগদ কার্যক্রম। দুইয়ে মিলে নির্বাচন কি ঝুলে যাচ্ছে? দেশে এখন হাজারো দার্শনিক ও বিশ্লেষক এরকম মতামত দিচ্ছেন। তারা বলতেই পারেন, থাকছেন স্যার, নাকি আসছেন স্যার? অর্থাৎ বর্তমান সরকারের ভেতর-বাইরে থাকা জুলাই নেতারা কি থাকছেন নাকি নতুন মহাসমারোহে আসছেন? এর উত্তর কি ওই একই!

দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এখন কী করবে? শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছে তারা। এ সরকারকে নিজেদের আন্দোলনের ফসল এবং অংশীদার মনে করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই মুক্তির আনন্দে ভাসছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। আনন্দের আতিশয্যে কোথাও কোথাও হামলা, লুট ও দখলের মতো ঘটনায় জড়িয়েছে তারা। এমনকি, দুই ভাগ হয়ে নিজেদের মধ্যেও মারামারি করেছে কয়েকটি জায়গায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজের নেতাকর্মীদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, প্রতিযোগী রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি উদার মানবিকতার চর্চা করছেন। সবাইকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকুতি প্রকাশ করছেন প্রতিনিয়ত। নানা উসকানি ও বেয়াদবি সহ্য করেও নিজেকে পরিণত রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন তারেক রহমান। কিন্তু দীর্ঘ বঞ্চিত, নিপীড়িত, ক্ষুধার্ত কর্মী-সমর্থকদের লম্বা সময় বিনীত করে রাখা সত্যিই কঠিন। এরই মধ্যে অতি তেলবাজ ও দখলবাজ নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়েছে দলটি। সাধারণ লোক মনে করে, নির্বাচন দেরি হলে বিএনপির ক্ষতি হবে। উগ্র নেতাকর্মীদের বেপরোয়া আচরণে ভোট কমবে।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াত এসব ঘটনা তুলে ধরে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থান তৈরি করছে। বসে নেই নতুন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অনলাইন ও অফলাইনকেন্দ্রিক ক্রাউড ফান্ডিং করছে তারা। ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করায় মনোযোগী হয়েছেন তরুণ তুর্কিরা। এসব নিয়ে সাংবাদিকদের তেমন মাথাব্যথা নেই বলে ক্ষোভ জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ১১ মার্চ রাজধানীতে এক ইফতার মাহফিলে তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ দল সম্পর্কে সাংবাদিকরা কিছু লিখছেন না। যতটুকু পারেন ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে লিখছেন। পর্দার অন্তরালে অনেক কিছুই ঘটছে। সেগুলো কিন্তু আপনারা লিখছেন না। কোন ব্যবসায়ী কোন দলকে কত টাকা দেয়, কোন দল কোন ব্যবসায়ীর পৃষ্ঠপোষকতা করছে, কোন ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন—এগুলো কিন্তু আপনারা লিখছেন না। অনেক ব্যবসায়ী হত্যা মামলার আসামি, তাদের বিরুদ্ধে লিখছেন না। এমনকি জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের পরও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখছেন না।’

গণমাধ্যম নিয়ে বিএনপির অভিযোগ অনেক পুরোনো। গণমাধ্যমকর্মীদেরও হতাশা আছে দলটির মিডিয়া হ্যান্ডেল করা নিয়ে। ব্যক্তিগতভাবে অনেক নেতার প্রিয়ভাজন আছেন অনেক সাংবাদিক। কিন্তু দলীয়ভাবে কোনো উদ্যোগই মানোত্তীর্ণ হয়নি। শুধু সাংবাদিক নয়, বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব রয়েছে বিএনপির। সম্প্রতি কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘আমাদের কথা শোনা যখন থেকে বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি, তখন থেকে পতন শুরু হয়েছে।’ বিএনপি এসব কথা গুরুত্ব না দিয়েও বারবার ক্ষমতায় গিয়েছে। ক্ষমতার রাজনীতিই যখন মুখ্য, তখন অন্যদের মূর্খ ভাবলেও তাদের কিছু যায় আসে না। তবে গত ১৭ বছরের নির্যাতন এবং গত সাত মাসের নির্বাচনী অপেক্ষায় তাদের অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

১৯৭১-এর উত্তাল মার্চে স্বাধীনতা যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে আলোচনার পাদপ্রদীপে আসেন তৎকালীন মেজর জিয়া। দীর্ঘ সংগ্রামে ক্ষত-বিক্ষত, উদভ্রান্ত রাজনীতিবিদদের অনুপস্থিতিতে জাতির ক্রান্তিকালে আলোকবর্তিকা হয়ে উদ্ভাসিত হন তিনি। স্বাধীনতা অর্জনের পর ব্যারাকে ফিরে নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ গঠনে ব্রতী হন বীরউত্তম জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫-এ দেশ আবারও ক্রান্তিকালে উপনীত হয়। রাজনৈতিক ব্যর্থতায় অনিবার্য প্রবেশ ঘটে জেনারেল জিয়ার। শক্ত হাতে দেশ পরিচালনার পাশাপাশি একপর্যায়ে গঠন করেন রাজনৈতিক দল। সৃষ্টিশীল নতুন এক উন্মাদনায় দেশ এবং নেতৃত্বকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। কিন্তু নিচ, হীন ষড়যন্ত্রকারীদের তা ভালো লাগেনি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তে কয়েকজন বিপথগামী সহযোদ্ধার হাতে শহীদ হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। দেশ চলে যায় বিশ্ববেহায়া স্বৈরাচারী এরশাদের হাতে। আবারও ক্রান্তিকালে পতিত হয় প্রিয় জন্মভূমি। এবার সংকট মোচনে এগিয়ে আসে তার গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তারই গৃহবধূ বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে নয় বছর পর স্বৈরাচারমুক্ত হয় বাংলাদেশ। জনগণ আপন করে নেয় নতুন এ নেতৃত্বকে। এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদের শীর্ষে রয়েছে খালেদা জিয়ার নাম। একাধিকবার রাষ্ট্র পরিচালনায় সফল এ নেত্রীকে এক-এগারোর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে আটক করা হয়। দেশ আবারও চলে যায় গণতন্ত্রহীন অনিশ্চিত গন্তব্যে। সেই থেকে কখনো কারাগারে কখনো রাজপথে থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন খালেদা জিয়া। ক্রান্তিকাল ঘোচাতে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তারেক রহমান। জিয়া ও বিএনপি পরিবার যেন এ দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার। স্বৈরাচারী এরশাদ ও হাসিনার শাসনামলে একে অন্যকে সহযোগিতা করেছেন। প্রতিবেশী ভারত দুজনের শাসনামলকে লম্বা করতে ভূমিকা রেখেছে। এ ধারণার বিপরীতে সাধারণ মানুষের কাছে অনিবার্য পছন্দ শহীদ জিয়ার বিএনপি। শুধু দেশের মানুষ নয়, বিদেশিদের কাছেও জিয়া এক বিরল মেধাবী রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক উইলিয়াম বি মাইলাম বলেছেন, ‘জিয়া ৭৫-এ মারা গেলে বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতো। তাকে আমি খুব পছন্দ করি। তার অবস্থান কোনোভাবেই মুজিবের নিচে হতে পারে না। আমি ভোট দিতে পারি না। দিতে পারলে জিয়ার দর্শনকেই সমর্থন করতাম।’

জিয়ার সততা ও দেশপ্রেম পুরোপুরি ধারণ করলে দেশের ক্রান্তিকাল কাটাতে এবারও হয়তো সফল হবে বিএনপি। তবে এজন্য দলের ভেতর-বাইরে তাদের শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। জামায়াত, আওয়ামী লীগ বা ভারতপন্থি নেতাদের সমন্বয়ে বিএনপি পরিচালিত হতে পারে না। খাঁটি জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশপন্থি হতে হবে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে। বিএনপিকে হতে হবে শহীদ জিয়ার মতো ধর্মভীরু, আধুনিক, স্বাপ্নিক, পরিশ্রমী এবং সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত নেতাকর্মীদের ভরসাস্থল।

লেখক: হেড অব নিউজ, আরটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ

স্বামীর কবর দেখতে গিয়ে ‘মারধরের’ শিকার জুলাই শহীদের স্ত্রী

বিএনপি কারো কাছে মাথা নত করেনি, করবে না : এ্যানী

ঈদে মামা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না’

চাঁদপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

ঈদ মিছিল নিয়ে হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি

সিলেটে মধ্যরাতে বিএনপি-যুবদল সংঘর্ষ

প্রতারণার শিকার জবি শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রদল নেতা

১০

৩২ শহীদ পরিবারের সঙ্গে জামায়াত আমিরের ঈদ উদযাপন

১১

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চেষ্টা প্রকৌশলী হাবিবের

১২

৩ যুগ ইমামতি শেষে রাজকীয় বিদায়

১৩

আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই : ডা. শফিকুর রহমান

১৪

রুনা লায়লাকে নিয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে যে কথা হয়েছিল শাহবাজ শরিফের

১৫

চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গল পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত

১৬

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চাওয়া ফ্যাসিবাদের অংশ : সারোয়ার তুষার 

১৭

আজ থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম শুরু

১৮

ইন্ডিয়া টুডেকে মাহফুজ আনাম / ‘বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, ছাত্রদের অনাগ্রহ, অস্পষ্টতায় জামায়াত’

১৯

কেউ আ.লীগকে পুনর্বাসিত করতে পাববে না : হান্নান মাসউদ

২০
X