বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০ চৈত্র ১৪৩১
মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ধর্ষণের গজবমুক্তি হবে এবার?

ধর্ষণের গজবমুক্তি হবে এবার?

মাগুরায় ধর্ষিত শিশু আছিয়াকে দাফনের আগে প্রথম ও দ্বিতীয় জানাজার মধ্যবর্তী সময়ে আসামিদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। তাদের দাবি ছিল, আছিয়ার দাফনের আগে আসামিদের দাফন-কাফন সারা। ক্ষোভ কোন পর্যায়ে পৌঁছলে মানুষের মনে এমন আকাঙ্ক্ষা জাগে? অবশ্যই তা উপলব্ধির বিষয়। বিশ্বের কোনো কোনো দেশে এখনো ধর্ষক বা ধর্ষণকারীদের নিদারুণভাবে মৃত্যু কার্যকর করা হয়। সৌদিতে ধর্ষকের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় শিরশ্ছেদ করে। আরবীয় কতক দেশে পাথর ছুড়ে বা দোররা মারতে মারতে হত্যা করা হয়। ইরানে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি জনসমক্ষে ফাঁসি কিংবা গুলি করে হত্যা। ভারতে ২০১৮ সালে পাস হওয়া এক নির্বাহী আদেশে ভারতে ১২ বছরের কমবয়সী মেয়ে শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে ধর্ষণ প্রমাণ হলে ন্যূনতম ১০ বছর শাস্তির বিধান রয়েছে। পাকিস্তানে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা দশ থেকে পঁচিশ বছরের কারাদণ্ড।

চীনে কোনো নারীকে ধর্ষণ কিংবা ১৪ বছরের কমবয়সী কোনো মেয়ের সঙ্গে যৌনমিলনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয় যদি ভুক্তভোগী মারা যান অথবা মারাত্মকভাবে আহত হন। তবে সাধারণ ক্ষেত্রে ৩ থেকে ১০ বছর কারাদণ্ডের শাস্তি রয়েছে। মালয়েশিয়ার ফৌজদারি আইনে স্বামী-স্ত্রীর ধর্ষণও অন্তর্ভুক্ত। সম্মতিহীন যে কোনো যৌনতার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আফগানিস্তানে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় মাথায় গুলি করে। মঙ্গোলিয়ায় ধর্ষিতের পরিবারের কারও হাত দিয়ে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সেখানে বেশ ফের রয়েছে। দেশে এবার ধর্ষণ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে পবিত্র মাহে রমজানে। যে সময়টায় ধর্মমতে শয়তান বা ইবলিসকে বন্দি করে রাখা হয়। আবার এ সময়টায় দেশে ডেভিল হান্ট (শয়তান ধরা) অভিযান চলমান। এরপরও শঙ্কা ছিল নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে। কারণ গত মাস কয়েক ধরে বাজারে নিত্যপণ্যের উচ্চদর নিয়ে চলছিল তুমুল সমালোচনা। সেখানে কিছুটা ম্যাজিকের মতো সাফল্য আসে। ভোজ্যতেল আর চাল ছাড়া বাজারে মোটামুটি স্বস্তি ফিরেছে। একসময় পেঁয়াজের কেজি ২৫০-৩০০ টাকা ছিল, এখন ৪০-৪৫ টাকায় মিলছে। সবজির দামও হাতের নাগালে। বাজার এভাবে স্থিতিশীল থাকলে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ফুরসত পাবে। এ সময়ে অর্থনীতির কিছু সুখবরও আছে।

গত ছয় মাসে সরকার দেশি-বিদেশি ৬২ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করেছে। দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ১৮.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছর এ সময়ের তুলনায় ৪ বিলিয়ন বেশি। প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ৯টি দেশের ভিসা প্রসেসিং দিল্লির পরিবর্তে ঢাকায় চালু হয়েছে। দেশের রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অ্যাকাউন্ট থেকেই উদ্ধার করেছে ৬৩৫ কোটি টাকা। দেশের খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। গত ২২ মাসের তুলনায় সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে এ ফেব্রুয়ারিতে। অর্থ সেক্টরে এমন একটা স্বস্তির ঢেউয়ের মধ্যে মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণের ঘটনা। মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পাশবিকতার শিকার হয় শিশু আছিয়া। তাকে প্রথমে মাগুরা, পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সবশেষ তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। অত্যাধুনিক সিএমএইচের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বসাধ্য চেষ্টায়ও কুলাল না। বৃহস্পতিবার সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় শিশুটির, দুবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার হৃৎস্পন্দন আর ফিরে আসেনি।

টানা কয়েক দিন জীবন্মৃত থাকার পর দুপুরে মৃত্যুর কাছে হার মানল মাগুরায় ধর্ষিত আট বছরের শিশু আছিয়া। এ ঘটনায় শোক জানিয়ে আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সন্তানের শোকে পাথর মায়ের কান্না যেন থামছেই না। যে ক্ষত নিয়ে ঢাকায় আসা, তা নিয়েই ফিরতে হয় তাকে। শিশু আছিয়া ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা কারাগারে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কদিন ধরে দেশজুড়ে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচির মাঝেই শিশুটির মৃত্যু। এর জেরে শাহবাগ ও শাপলাকেন্দ্রিক আন্দোলন আবার গরম হয়ে ওঠার রাজনৈতিক আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পাশের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, শাহবাগ মোড়, কাকরাইল মোড় ও মিন্টো রোডে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ।

প্রাসঙ্গিকতার তোড়ে ধর্ষণের মামলার বিচার সাত দিনের মধ্যে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। একই সঙ্গে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে রোববার আইন সংশোধন করা হবে। আইন উপদেষ্টাকে কেন বলতে হয়েছে কথাগুলো? কেন ধর্ষণের বিচার দ্রুত করতে আইন সংশোধনের কথা এসেছে? প্রেক্ষিতটা বড় নির্মম। ধর্ষণের বিচার ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়া ধর্ষিতের জন্য খাঁড়ার ঘায়ের মতো বেদনার। আর ধর্ষকের জন্য নিস্তারের। ধর্ষণের বিচারপ্রার্থী হওয়ার যন্ত্রণা হাড়ে হাড়ে টের পান ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা। এ বিচার চাওয়া যেন আরও ধর্ষণের আমন্ত্রণ। বিচারের পথে পদে পদে আরও ধর্ষণেরই হাতছানি। বিচারের সময় নাস্তানাবুদ হতে হয় ধর্ষণের শিকার নারীকে। তার স্বভাব-চরিত্র এবং ইতিহাস নিয়ে এন্তার প্রশ্ন তোলা যায়। কিন্তু ধর্ষককে তা করা হয় না। ধর্ষকের আইনজীবী এ সুযোগটা ষোলো আনাই নেন। ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র হরণ করে তার ছোড়া প্রশ্নগুলো ওই নারীকে আরেকবার ধর্ষণের মতোই। এবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তসহ দেশের আর্থসামাজিক চিত্র ভিন্ন। এ ভিন্নতার মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ মামলার বিচার ও তদন্তের সময়সীমা কমিয়ে অর্ধেক করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তদন্তের সময় ৩০ দিনের স্থলে ১৫ এবং বিচারের সময় ১৮০ দিনের স্থলে ৯০ দিন করতে আইন সংশোধনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। কারণ, ধর্ষণ মামলার বিচারের বাস্তবতা ভুক্তভোগী বা সংশ্লিষ্টরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে করা ধর্ষণ মামলার খুব কমসংখ্যকই সত্য প্রমাণ করা যায়। গোটা প্রক্রিয়াটাই প্যাঁচে ভরা। বিচারপ্রার্থীদের পদে পদে ভোগান্তি অবধারিত। পুরো আবহটাই আসামিদের অনুকূলে।

কয়েকটি ট্রাইব্যুনালে পাঁচ মাসেও কোনো ধর্ষণ মামলায় আসামির সাজা হয়নি। বেঁধে দেওয়া ১৮০ দিনের সময়ে বিচার শেষ হয়নি একটি মামলাও। সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি ধর্ষণের মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে পাঁচ বছর ধরে মামলা বিচারাধীন ৩২ হাজার ৯৭২টি। তদন্তাধীন ২০ হাজার ১৮৩টি মামলা। এসব মামলার কোনোটির তদন্ত নির্ধারিত ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ হয়নি। এমনকি আদালতে প্রতিবেদন জমা পড়া ১ লাখ ৩১ হাজার ১৩৪টি মামলার তদন্তও বেঁধে দেওয়া সময়ে শেষ করা যায়নি। মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ২ হাজার ৫২৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৬৭ কন্যাশিশুসহ ৫১৬ জন। তার মধ্যে ৮৬ কন্যাশিশুসহ ১৪২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৮ কন্যাশিশুসহ ২৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ৫ কন্যাশিশুসহ ৬ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র-আসকের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে দেশে ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪০১ নারী। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ৩৪ এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে ৭ জন। ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে ১০৯ জন। এর মধ্যে ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যা করা হয় একজনকে। যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে কমপক্ষে ১৬৬ নারী। উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে ২ ও খুন হয়েছে ৩ নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হয়েছে ৬ পুরুষ এবং নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছে ৩৫ জন পুরুষ।

একের পর এক ঘটে চলা ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সামাজিক পরিচয়ও পাল্টে দিতে বসেছে। তা শহর থেকে গ্রাম, সবখানেই গজবের মতো। বাসে, ট্রেনে, নৌকায়, ঝোপঝাড়ে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, শিক্ষকের রুমে এমনকি নিজ ঘরেও ধর্ষণের আজাব। তা এই পবিত্র মাসটিতেও। এই পবিত্রতার সময়ে কুকুরের ভাদ্র-আশ্বিনের ব্যারাম কেন মানবকুলে? এ দুই মাসে মাদি কুকুর দেখলেই হামলে পড়ে মর্দ কুকুর। এ সময়টায় কুকুরের কামড়ের বিষও বেশি। সচেতন মানুষ তাই নিজ গরজেই সতর্ক থাকে কুকুর থেকে। বাঁচার রাস্তা থাকে মাদি কুকুরেরও। সে অসুস্থতা বা অন্য কোনো ওজর দেখালে মর্দ কুকুরটা শরমে লেজ গুটিয়ে সাইড কেটে চলে যায়। কিন্তু মানুষ মর্দগুলো শরমিন্দা হয় না শীত-গরম, এমনকি রহমত-বরকত-নাজাতের পবিত্র সময়েও। এরা শিশু থেকে বৃদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী থেকে গার্মেন্টসকর্মী কাউকেই রেহাই দেয় না। শীত-গরম সবই তাদের মৌসুম। এ ছাড়া ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার রেকর্ড কুকুরেরও নেই। বেশ কয়েকটি ঘটনায় কিছু মানুষের চেয়ে কুকুরের বেশি বোধবুদ্ধি প্রমাণিত। অ্যাসিড হামলার ভয়াবহতায় জেনারেল এরশাদ আমলে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড জারি করা হয়েছিল। বিস্ময়কর ঘটনা হচ্ছে, ওই আইনে ম্যাজিকের মতো মানুষ মর্দগুলোর অ্যাসিড সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে যায়। সময়ের অনেক ব্যবধানে এবার ধর্ষণের বিচারে সরকারের শক্ত-পোক্ত আইন কী ফল দেয়, অপেক্ষা করে দেখতেই হয়।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বনশ্রীতে নারী সাংবাদিককে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগে মামলা

রাণীশংকৈলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুলকে গণসংবর্ধনা

দুর্ঘটনায় নিহত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহ-মুখপাত্র

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিকে মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন

ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হচ্ছে

সভাপতিকে মারধর করায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

কাল বিটিভিতে রশীদ সাগরের উপস্থাপনায় ‘প্রিয় শিল্পীর প্রিয় গান’

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিড গান ব্যবহার করছে হাইওয়ে পুলিশ

ঈদ আনন্দ মিছিলে মূর্তি প্রদর্শনী নিয়ে জামায়াতের বিবৃতি

আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকি : যুবদল নেতা আমিন

১০

ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নামতে হবে : বকুল 

১১

ফুচকা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩

১২

বিএনপি নেতা খুনে গ্রেপ্তার ৪, পুলিশের সংবাদ সম্মেলন 

১৩

মসজিদের সাইনবোর্ডে ভেসে উঠল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

১৪

চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাদের ঈদ পালনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি

১৫

মামলা নেন না ওসি, বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন কৃষক

১৬

অবসরের পর কী করবেন, জানালেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম

১৭

উৎপাদন খরচ উঠছে না পোলট্রি খামারিদের : বিপিএ

১৮

‘স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয়করণ করেছিল’

১৯

ধানক্ষেতে পানি দেওয়া নিয়ে কোন্দল, কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

২০
X