বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০ চৈত্র ১৪৩১
ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৬ এএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

ডিম-মুরগি বিতর্কে শেয়াল এগিয়ে

ডিম-মুরগি বিতর্কে শেয়াল এগিয়ে

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িটি বেশ দ্রুতই দখলমুক্ত করা হয়েছে। গত ৯ মার্চ রাতে শহরের ছোট কালীবাড়ি এলাকার ওই বাড়ি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের বের করে সন্তোষ বড়ইতলা এলাকার আগের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আগের দিন দুপুরে প্রায় ২৫ জন ছিন্নমূল মানসিক প্রতিবন্ধীকে নিয়ে সেখানে ‘পাগলের আশ্রম’ চালু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক পরিচয়ধারী এক তরুণী। ওই তরুণীর নাম মারইয়াম মুকাদ্দাস ওরফে মিষ্টি। তিনি নিজেকে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক হিসেবে পরিচয় দেন। যদিও স্থানীয় সংগঠকদের কেউ তার দায় নেননি। তবে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতার খুঁটির জোর আছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। এদিকে, অন্য এক ঘটনায় গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় আহ্বায়কসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন সংগঠকদের উল্লেখযোগ্য কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওদিকে, নোয়াখালীর হাতিয়ায় এমরান উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন ওই প্রবাসীর বাবা। অভিযুক্ত জামশেদ একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর রুকন পদে রয়েছেন। অন্যদিকে, ‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ঢাকার গুলশানে একটি বাড়ি লুট করতে যায় একদল লোক। ৪ মার্চ মধ্যরাতে এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেন জুয়েল খন্দকার নামের এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল’-এর সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দেন। যদিও বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতৃত্ব তাকে বা তার দলকে স্বীকৃতি দেয়নি।

এদিক-ওদিক সবদিক মিলিয়ে সারা দেশে প্রতিদিন এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। সব ঘটনা খবরে আসছে না। সংগত কারণেই তা সম্ভব নয়। কিন্তু, ভুক্তভোগী হচ্ছে পুরো দেশবাসী। দুঃখের বিষয়, সব ঘটনাতেই ব্যবহৃত হচ্ছে চব্বিশের রক্তাক্ত অভ্যুত্থান। ফ্যাসিস্ট পতন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের নামেই চলছে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড। রক্তস্নাত জুলাই-আগস্টের দুঃসহ স্মৃতি এত দ্রুত ঝাপসা হওয়ার কথা নয়। তবে, কেন এই মচ্ছব মব! অনির্বাচিত হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি শুরুতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দেখা গেছে। গণদাবিতে পরিণত হয় পলাতক স্বৈরাচারী সরকার ও তাদের দোসরদের বিচার। আন্দোলনে হতাহতদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য হয়ে দাঁড়ায় অনিবার্য দায়িত্ব। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয় ইউনূস সরকার। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারের পরিধি বাড়াতে থাকে তারা। সেই অনুপাতে বাড়তে দেখা যায়নি জনবল ও মনোবল। পটপরিবর্তনের সাত মাস পরও পুলিশ ট্রমার অজুহাতে সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না। এই সুযোগে পেশাদার অপরাধীরা যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি সক্রিয় হয়ে মাঠে নেমেছে। গণরোষের কারণে ঘুষ-দুর্নীতির জগতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে, ঘুষের রেট বেড়েছে বলে কানাঘুষা চলছে। গত দেড় দশক ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের তল্পিবাহক প্রশাসন ইউনূস সরকারকে কতটুকু সহযোগিতা করছে—তা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ভোল পাল্টিয়ে তদবিরের মাধ্যমে সরকার ঘনিষ্ঠ হয়েছেন অনেক অভিযুক্ত আমলা। সফল অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের সরকারে সমন্বয়ের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙায় ব্যর্থতা এবং সার্বিক নিরাপত্তাহীনতায় সরকারের জনপ্রিয়তা দ্রুত কমে যাচ্ছে। যদিও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন সরকারপ্রধান। কিন্তু, দেশজুড়ে হঠাৎ ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার দায় কোনো দলকে দেওয়া যায় না। অভিযুক্ত, আটক ধর্ষকরা কোনো দল বা গোষ্ঠীর নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির সুযোগে বিকারগ্রস্ত সমাজের উল্লম্ফনের চিত্র এটি। সাম্প্রতিক ধর্ষণ কাণ্ডের ফলে দেশে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ চলছে বললে অত্যুক্তি হবে না। অথচ, কিছুদিন আগে ড. ইউনূস আওয়ামী শাসনামলকে আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে লোকে বলতেই পারে—আগেই ভালো ছিলাম। তা ছাড়া, সরকার সমর্থক পরস্পর বিরোধী মতাদর্শের উগ্র, ধর্মান্ধদের আশকারায় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব অপতৎপরতা দেশকে জঙ্গি তকমা দেওয়া আওয়ামী লীগের পুরোনো অভ্যাস বলে চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, সরকার চালাতে হলে নৈরাজ্য থামাতে হবে। সমস্যা বিশ্লেষণ করা সরকারের কাজ নয়। এ জন্য সমালোচকরা আছেন। সরকারের দায়িত্ব সমস্যার সমাধান করা।

কিন্তু, কি করছে ইউনূস সরকার? আগের রাজনৈতিক সরকারগুলো নেতাকর্মীদের সুবিধা দিতে গিয়ে সরকার ও দলকে একাকার করে ফেলত। অন্তর্বর্তী সরকারের সেই সমস্যা থাকার কথা নয়। কেননা, তারা নির্দলীয়। নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর প্রতি অনুগত থাকার দরকার নেই। জনকল্যাণে নিবেদিত থাকার প্রয়োজনে কঠোর হতেও বাধা নেই। সমস্যা সমাধানে দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন জরুরি। কিন্তু, এরই মধ্যে সংকট মোচনে তাদের বিরুদ্ধে কালক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি… এনসিপিকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার আশঙ্কা করছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। এনসিপির বক্তব্যের সঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপের মিল খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ‘স্থানীয় না জাতীয় নির্বাচন আগে’—এ নিয়ে বিতর্কের ফলে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে এনসিপির বিরোধ চলমান। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গণপরিষদ নির্বাচন ও জুলাই সনদ। সম্প্রতি গণপরিষদ এবং সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে বলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেছেন। সেটা নাকচ করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার। এখানে কোনো জাতীয় ঐক্য, এ বিষয়ে হয়তো হবে না। একটি মেজর পলিটিক্যাল পার্টির সদস্য হিসেবে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হবে সবচেয়ে জরুরি এবং আমাদের অগ্রাধিকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণপরিষদ হচ্ছে শুধু রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি ফোরাম। সে ক্ষেত্রে যে কোনো জাতীয় সংসদের এখতিয়ারই হচ্ছে ‘এ টু জেড’ সংবিধান সংশোধন করার এখতিয়ার। আমরা মনে করি, বিভিন্ন রকমের শব্দাবলি এবং যেগুলো রাজনৈতিক অভিধানে নেই, সেগুলোর অসংলগ্ন অপ্রয়োজনীয় আচরণ যেন না করি।’ এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মনে করেন, ‘পুরোনো সংবিধান ও পুরোনো শাসনকাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়।...সেকেন্ড রিপাবলিকের (দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র) জন্য নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন দল কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও আমাদের সার্বভৌমত্ব বারবার হুমকির মুখে পড়েছে। ... একটি একদলীয় সংবিধানের মাধ্যমে ফ্যাসিজম এবং একদলীয় স্বৈরতন্ত্রের বীজ বপন করা হয়েছিল।’ এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বিতর্ক আরও উসকে দেন। তিনি বলেন, ‘যতদিন না পর্যন্ত খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখছি, ততদিন যেন কেউ ভুলক্রমেও নির্বাচনের কথা না বলে।’ সম্প্রতি আবার একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘পুলিশ নাজুক অবস্থায় আছে। এই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে, আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।’

এই সব বাহাসে আওয়ামী লীগ বিরোধী অভ্যুত্থানকারীদের শক্তি ক্রমাগতভাবে বিভাজিত হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ ফ্যাসিস্ট পতন আন্দোলনের সতীর্থ কিছু ইসলামী ও বামদলের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম সমর্থনকারী দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। তারা এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারকে সন্দেহ করছে। তাদের ধারণা, নতুন দলকে সংগঠিত করতে সময় দিচ্ছে সরকার। নানা অজুহাতে তাই নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো মনে করে, দেশজুড়ে সহিংসতা বেড়েছে। মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছে না সরকার। এই সুযোগে পরাজিত শক্তির উত্থান ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্লেষকরা। ডিম আগে না মুরগি আগে? এই অহেতুক বিতর্কে লাভ শুধু শেয়ালের। ঐক্যের ফাটলে পলাতক ফ্যাসিস্ট ধূর্ত শেয়ালের মতো নানা ফন্দি ফিকিরে ফিরে ফিরে আসবে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে প্রতিবেশী ভারত। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন ভালোভাবে নেয়নি তারা। এটা এরই মধ্যে দুদেশের সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। গণহত্যার আসামিকে গত দেড় দশকের কৃতজ্ঞতায় রাজসিক আতিথেয়তায় রেখেছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ বিরোধী নানা অপপ্রচারে লিপ্ত তিনি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল মনে করে ভারত বিভিন্ন সময়ে অযাজিতভাবে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকে। গত শুক্রবার নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ভারত একটি ‘স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল’ বাংলাদেশের পক্ষে। যেখানে সব অমীমাংসিত বিষয় গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং ‘সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।” এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ রাখার বার্তা দিয়েছে। অথচ, আওয়ামী লীগ শাসনামলে তিন দফা একতরফা নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উটপাখি সেজে থেকেছে তারা। বিরাট গণতন্ত্রের দেশ হয়েও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ফ্যাসিস্ট সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যের ফলে একাত্তরে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। কিন্তু, বিজয়ের এক বছরের মধ্যেই ক্ষমতার মোহে ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়ে সেই ঐক্য। ভ্রাতৃহন্তারক হয়ে যান মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তিযোদ্ধারা। সেই বিভেদ স্থায়ী হওয়ায় অসংখ্য শ্রেষ্ঠ সন্তান হারিয়েছে প্রিয় জন্মভূমি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সৈনিকদের মাঝে সেই ইতিহাস ফিরে এলে জাতির জন্য তা হবে ভয়ংকর বিপর্যয়। দেশ-জাতির বৃহৎ স্বার্থে বড়দের গতানুগতিক একগুঁয়েমি আর ছোটদের জ্যেঠামি পরিহার করা একান্ত জরুরি। না হলে গভীর হতাশায় নিমজ্জিত হবে নতুন করে স্বপ্ন দেখা জাতি। ভুক্তভোগীদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন—সত্যিকারের স্বাধীনতার জন্য আর কতকাল ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?

লেখক: হেড অব নিউজ, আরটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও ভারতে বিমান বিধ্বস্ত, এক পাইলট নিহত

ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে জান্তার ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি

বনশ্রীতে নারী সাংবাদিককে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগে মামলা

রাণীশংকৈলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুলকে গণসংবর্ধনা

দুর্ঘটনায় নিহত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহ-মুখপাত্র

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিকে মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন

ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হচ্ছে

সভাপতিকে মারধর করায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

কাল বিটিভিতে রশীদ সাগরের উপস্থাপনায় ‘প্রিয় শিল্পীর প্রিয় গান’

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিড গান ব্যবহার করছে হাইওয়ে পুলিশ

১০

ঈদ আনন্দ মিছিলে মূর্তি প্রদর্শনী নিয়ে জামায়াতের বিবৃতি

১১

আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকি : যুবদল নেতা আমিন

১২

ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নামতে হবে : বকুল 

১৩

ফুচকা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩

১৪

বিএনপি নেতা খুনে গ্রেপ্তার ৪, পুলিশের সংবাদ সম্মেলন 

১৫

মসজিদের সাইনবোর্ডে ভেসে উঠল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

১৬

চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাদের ঈদ পালনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি

১৭

মামলা নেন না ওসি, বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন কৃষক

১৮

অবসরের পর কী করবেন, জানালেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম

১৯

উৎপাদন খরচ উঠছে না পোলট্রি খামারিদের : বিপিএ

২০
X