ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৩ এএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

গণঅভ্যুত্থানের সুফল মিলবে কীভাবে

গণঅভ্যুত্থানের সুফল মিলবে কীভাবে

হাজার বছরের সংগ্রামের ফসল স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ সুফল ঘরে তুলতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। স্বাধীনতার পরেও কোনো আন্দোলন বা অভ্যুত্থান থেকে কাঙ্ক্ষিত দীর্ঘমেয়াদি সুফল আমরা পাইনি। আবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত সুফল নিয়েও জনগণের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তাহলে কেন বারবার আমরা ব্যর্থ হচ্ছি, তার উত্তর খোঁজা দরকার।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সাফল্য তো শিক্ষিত, বুঝদার এবং অভিজ্ঞদের হাতে রচিত হওয়ার কথা। নিশ্চয়ই শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী এবং খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষের হাতে নয়। তারা আবেগের বসে জীবন দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিতে পারে কিংবা গণঅভ্যুত্থান সফল করে দিতে পারে— যেমন দিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে। আহত ও নিহতদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর এবং খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষ।

প্রকৃতপক্ষে, গণঅভ্যুত্থানে সাফল্য লাভ রিলে রেসে সাফল্য লাভের মতো। সাধারণত, একটি রিলে দলে চারজন স্প্রিন্টার থাকে, যেখানে দলের প্রত্যেক স্প্রিন্টার একটি লাঠি বা ব্যাটন বহন করে একটি পূর্বনির্ধারিত দূরত্ব দৌড়ায়। এই রেসে ধারাবাহিকভাবে প্রথমজন দ্বিতীয়জনের কাছে, দ্বিতীয়জন তৃতীয়জনের কাছে এবং তৃতীয়জন শেষ স্প্রিন্টারের কাছে ব্যাটন পাস করে। ক্ষিপ্রতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে সাধারণত পরেরজন আগেরজন থেকে এগিয়ে থাকে। এই রেসে সাফল্য লাভ করতে হলে সবাইকে পুরোটা উজাড় করে দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তারা অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার জোরে প্রতিপক্ষের কৌশলের কাছে পরাভূত হয় না এবং সব ধরনের স্লেজিং উপেক্ষা করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। গণঅভ্যুত্থান থেকে কাঙ্ক্ষিত দীর্ঘমেয়াদি সুফল পেতে হলেও গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তীতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান তাদেরও স্বার্থান্বেষী মহলের কৌশল পরাভূত করে এবং সব ধরনের স্লেজিং উপেক্ষা করে ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখাতে হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান নামক রিলে রেসের প্রথম সারির স্প্রিন্টার হিসেবে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী এবং খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষ ঠিকই জীবন দিয়ে আমাদের হাতে ব্যাটন পাস করে দিয়ে গেছেন। যেমনটি দিয়ে গিয়েছিলেন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরসেনারা এবং নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের নূর হোসেনরা, যারা সবাই ছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতা ও গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান তারা কাঙ্ক্ষিত ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখতে পারছেন না। নেপাল ও শ্রীলঙ্কা পারলে আমরা পারছি না কেন? হ্যাঁ, ভৌগোলিক সীমারেখা বিবেচনায় নেপাল ও শ্রীলঙ্কা তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে আছে। এটিই একমাত্র কারণ নয়। আসলে তারা পেরে উঠেছে তাদের ইতিবাচক মানসিকতার জোরে। আর আমাদের না পারার জন্য আমাদের নেতিবাচক মানসিকতাই দায়ী।

আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংস্কৃতিতে আমিত্ব, সংকীর্ণতা ও বিভাজন নীতি, ঔপনিবেশিক মানসিকতা, রেষারেষি, হিংসা-বিদ্বেষ, ঈর্ষা, ফাঁকিবাজি, দুর্নীতিপ্রীতি, স্বজনপ্রীতি, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, সুবিধাবাদিতা, পরনির্ভরতা, অসহিষ্ণুতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, দলীয়করণ, ক্যাডারপ্রীতি, তদবির ও তোষামোদপ্রীতি, আত্মঘাতী প্রবণতা ইত্যাদি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রকটভাবে বিরাজমান। আবার গত দেড় দশকে এ নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো এতটাই প্রসারিত হয়েছে যে, তা আমাদের মনুষ্যত্বকেই চ্যালেঞ্জ করছে। নীরদচন্দ্র চৌধুরীর বিখ্যাত বই ‘আত্মঘাতী বাঙালী’তে বাঙালির বৈশিষ্ট্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তিনি যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছিলেন, আমাদের স্বাধীনতার অর্ধশতাধিক কাল পরও সেগুলোর কোনো উন্নতি হয়নি। বরং, কোনো কোনোটির হাজারগুণ অবনতি হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে এবং পরে ঘটনাপ্রবাহ দেখলে, যা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।

ফলে আমরা সহজেই অন্যের পাতানো ফাঁদে পা দিই। আর স্বার্থান্বেষী শক্তি বারবার এ ফাঁদে ফেলে আমাদের সহজেই বিভাজিত করে তাদের কায়েমি স্বার্থসিদ্ধি করে। মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় লর্ড ক্লাইভ এ বিভাজনের কৌশল কাজে লাগিয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে আমাদের পরাধীনতার গহিন কূপে নিক্ষেপ করে। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে জনগণকে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তিতে ভাগের মাধ্যমে জাতিগত বিভাজনের যাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে শিক্ষক ও চিকিৎসকসহ সব পেশাজীবী, আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং এমনকি প্রতিরক্ষা বাহিনী বিভাজিত করার নীলনকশা সফলভাবে বাস্তবায়িত করা হয়। বিভাজনের চূড়ান্ত রূপ হিসেবে ঘরে ঘরে রাজনীতি ঢুকিয়ে ভাইয়ে-ভাইয়ে, ভাইয়ে-বোনে এমনকি বাবা-ছেলেতে স্থায়ী শত্রুতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে ক্ষমতার কিংবা দেশের নিয়ন্ত্রণ প্রায়ই আমাদের হাতে থাকে না। এ ক্ষেত্রে যারা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাদের করুণ পরিণতির কথা কারোর অজানা নয়। আমাদের টুকরো টুকরো করে স্বাধীনতা কিংবা গণঅভ্যুত্থানের সুফল ঘরে তোলা থেকে বিরত রাখতে অবিরাম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আমাদের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে হাতে আনার একমাত্র উপায় হচ্ছে একতাবদ্ধ থাকা, যা খুবই কঠিন কাজ। এজন্য মানসিক ও সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের চরিত্রে বিদ্যমান বাজে বৈশিষ্ট্যগুলো দূর করতে হবে। এটি এমন কাজ যা শুধু রাজনৈতিক শাসকরা একা করতে পারবেন না, বরং একে সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিকশিত হতে হবে। মানসিক বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন জেনারেশনকে এমন শিক্ষা দিয়ে উজ্জীবিত করতে হবে, যা তাদের দায়িত্বশীল, নৈতিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে সাহায্য করবে। আর সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে সংকীর্ণতা, হিংসা, দুর্নীতি, বৈষম্য এবং অসহিষ্ণুতা দূর করে এ জায়গায় ন্যায়, সততা ও সহানুভূতির মতো গুণাবলিকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।

মানসিক ও সামাজিক বিপ্লবের সফল বাস্তবায়নে শিক্ষাব্যবস্থায় যে পরিবর্তন প্রয়োজন, তা হলো—ছাত্রছাত্রীদের এমন মূল্যবোধ শেখানো। এটি তাদের সত্যিকারের নাগরিক ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রথমত, শিক্ষায় নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও দায়িত্বশীলতার দিকে উদ্বুদ্ধ হয়। দ্বিতীয়ত, সৃজনশীল চিন্তা ও সমালোচনামূলক বিশ্লেষণের ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন যেন শিক্ষার্থীরা সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হয়ে উদার দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে পারে।

তৃতীয়ত, আমাদের পাঠ্যক্রমে স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সমাজের বৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দিতে হবে যেন শিক্ষার্থীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিকড়ের প্রতি গর্বিত হতে পারে। চতুর্থত, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও আন্তরিক হতে হবে যেন শিক্ষার পরিবেশ উৎসাহব্যঞ্জক এবং প্রগতিশীল হয়ে ওঠে। সর্বোপরি, শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে একেকটি মানুষকে মানবিক ও সামাজিক দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এজন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি শিক্ষায় বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান, জনপ্রশাসন ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সংস্কারের জন্য ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করলেও শিক্ষা সংস্কারের জন্য এখনো কোনো কমিশন গঠন করেনি। অথচ, গত কয়েক দশকে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। জাতিকে সম্পূর্ণরূপে পঙ্গু করার জন্য তা করা হয়েছে।

এ ছাড়া গণঅভ্যুত্থানের সুফল পেতে প্রয়োজন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র একত্রে কাজ করা। পরিবার হচ্ছে শিশুর প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র, যেখানে নৈতিকতা, মানবিকতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধের বীজ রোপণ করা হয়। বাবা-মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের উদার দৃষ্টিভঙ্গি, সহনশীল আচরণ ও সততার উদাহরণ স্থাপন করতে হবে। সমাজের প্রতি দায়িত্বও অপরিহার্য, যেখানে জনগণকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, আলোচনা সভার মাধ্যমে সংকীর্ণতা, বৈষম্য এবং অন্যায় প্রথাগুলোর বিরুদ্ধে সচেতন করা হয়। আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে সমন্বিত প্রচেষ্টা পরিচালনা এবং আইন ও নীতি প্রণয়ন করে একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়পরায়ণ প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা। দুর্নীতি, বৈষম্য ও অসচ্ছলতার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠন করতে হবে, যেখানে জনগণ স্বাভাবিকভাবে ন্যায়বিচারের সুবিধা পায়, সুশিক্ষিত হয় এবং তাদের মানবিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।

সঠিক শিক্ষা, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক সচেতনতা একত্রে কাজ করলে, দেশের জনগণকে এমন একটি উন্নত, মানবিক ও ন্যায়পরায়ণ জাতি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যে জাতিকে কোনো প্রতিপক্ষ শক্তি বা নব্য ঔপনিবেশিক শক্তি কোনো ভয়, লোভ, লালসা, ব্ল্যাকমেইল করে বিভাজিত করতে পারবে না।

শুধু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে সুফল মিলতে পারে। এজন্য প্রয়োজন আমাদের মানসিকতা সংস্কারের জন্য একটি স্থায়ী কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত মানসিকতা সংস্কারের জন্য একটি স্থায়ী কমিশন গঠন করা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রিলে রেসে দ্বিতীয় স্প্রিন্টার হিসেবে এটাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের প্রত্যাশা। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার এ কমিশন গঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের রিলে রেসে বাটনটা তৃতীয় স্প্রিন্টারের কাছে দিয়ে যাবেন। আর পরবর্তীকালে যারা স্প্রিন্টার হিসেবে আসবেন তাদের দায়িত্ব হলো নৈপুণ্যের সঙ্গে কাজটি এগিয়ে নেওয়া। এ কাজটি পাঁচ জেনারেশন অর্থাৎ ১০০ বছর ধরে করতে পারলে স্বাধীনতা ও গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত সুফল মিলবে। আর তা না হলে স্বৈরশাসক কিংবা ফ্যাসিবাদী শক্তি এ দেশে বারবার বহুগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে আসবে। তাই আসুন, আমাদের মানসিকতা সংস্কারের মাধ্যমে একতাবদ্ধ হয়ে দেশকে স্বার্থান্বেষী শক্তির সর্বগ্রাসী আগ্রাসন থেকে রক্ষা করি।

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টঙ্গীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

যশোরে ২৮ মন্দিরে অনুদানের চেক বিতরণ

২০ লিটার দুধ দিয়ে যুবকের গোসল, নেপথ্যে কী?

পারভেজ হত্যার ঘটনায় ঘৃণ্য রাজনৈতিক অপপ্রচার চালাচ্ছে ছাত্রদল : উমামা ফাতেমা

ভূমি-কৃষি সংস্কার ও পরিবেশ সুরক্ষা কমিশন গঠনের দাবি

নিরাপদে পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু

রাব্বির গোলে জিতল বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে এনসিপির ‘শৃঙ্খলা কমিটি’ গঠন

ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

১০

শূন্যতার মাঝেই টিটির স্বপ্ন

১১

জবিতে লিফট বিতর্ক, ব্যাখ্যা দিলেন উপাচার্য

১২

আইএম হওয়ার শর্ত পূরণ করলেন তাহসিন

১৩

বিসিএসএ'র নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত

১৪

ঢাবিতে ছবি তুলে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেল চুরি, অতঃপর...

১৫

সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে জনগণ : বিএনপি নেতা

১৬

আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

১৭

নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার বিবৃতি

১৮

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

১৯

মৃত্যুভয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছি: হাথুরু

২০
X