ড. এ কে এম মতিনুর রহমান
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৯ এএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জাতীয় নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চাই

জাতীয় নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চাই

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত এ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যাত্রা খুব সুখকর নয়, বিশেষ করে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পথপরিক্রমা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রা সূচিত হয়েছিল, তার গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সংসদীয় ব্যবস্থাকে এখন আর প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র এমনকি ‘নির্বাচনী গণতন্ত্র’ কোনোটাই বলা সম্ভব নয়। ২০১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালের নির্বাচনের পর কার্যত বাংলাদেশ একদলীয় রাষ্ট্র এবং ক্ষয়িষ্ণু গণতন্ত্রের ধারা ‘হেজিমোনিক ইলেকটোরাল অথরিটারিয়ানিজম’ বা আধিপত্যশীল নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদে পরিণত করা হয়েছিল।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। যার ফলে ৫ আগস্ট ২০২৪, শিক্ষর্থীদের কোটা সংস্কার ও কোটাবিরোধী আন্দোলনে অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতার শহীদ হওয়ার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত হয়। সুতরাং নিখোঁজ গণতন্ত্র উদ্ধার এবং কার্যকর জাতীয় সংসদ বিনির্মাণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী বাছাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আজ আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন এক সংকটময় মুহূর্তে একত্রিত হয়েছি, যেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই; যা আমাদের গণতন্ত্রের গতিপথ এবং জাতির ভবিষ্যৎ যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। আমরা যেহেতু আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, এখন গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করা আবশ্যক এবং এর শুরুটা হতে পারে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সঠিক প্রার্থীদের নির্বাচন করার মাধ্যমে। প্রার্থী মনোনয়ন কমিটির দায়িত্ব অপরিসীম। আপনাদের এমন ব্যক্তিদের বেছে নেওয়া উচিত যারা জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করবেন, গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখবেন এবং জাতির উন্নতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করবেন। এটি কোনো সাধারণ কাজ নয় এবং শুধু উপযুক্ত ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরই বেছে নেওয়া হয়েছে এটি নিশ্চিত করার জন্য একটি স্পষ্ট পরিকাঠামো থাকা দরকার। আমার বিবেচনায় সঠিক ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করার জন্য কিছু মৌলিক মানদণ্ড উপস্থাপন করতে চাই:

শিক্ষাগত যোগ্যতা: শুধু শিক্ষা একাকী নেতৃত্বের মানদণ্ড নির্ধারণ করে না, তবে শাসন, নীতিনির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিল বিষয়গুলো বোঝার জন্য প্রার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে, যার ফলে তারা জেনেবুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং আমাদের দেশকে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সততা: স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে বা জনসেবায় অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতিতে অভিজ্ঞ প্রার্থীরা জনগণের চাহিদা এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার অনুষঙ্গী কাজগুলো বুঝতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে সততাও সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় মনোনয়ন কমিটিগুলোকে অবশ্যই প্রার্থীর অতীত রেকর্ড যাচাই করতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তারা এর আগে তাদের কর্মকাণ্ডে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির স্বাক্ষর রেখেছেন।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় ভূমিকা: গণতন্ত্র আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থার দর্শন ও ভিত্তি। প্রার্থীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন। তাদের গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণ এবং তারা যে নাগরিকদের সেবা করেন, তাদের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার মানসিকতা থাকা বাঞ্ছনীয়।

জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা: ভালো নেতা এমন একজন মানুষ যিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। প্রার্থীদের অবশ্যই তাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার, তাদের চাহিদা বুঝতে এবং তাদের সমস্যা সমাধানে পূর্বে রেকর্ড থাকতে হবে। এ যোগাযোগ নিশ্চিত করে যে তাদের অনুসৃত নীতিগুলো জনগণ এবং বাস্তবতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত।

দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও নেতৃত্বের দক্ষতা: বাংলাদেশ বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, পরিবেশগত ইত্যাদি। প্রার্থীদের ভবিষ্যৎমুখী স্পষ্ট দূরদৃষ্টি এবং সেই দৃষ্টিভঙ্গিগত রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নেতৃত্বসুলভ দক্ষতা থাকতে হবে। তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা, সমস্যা সমাধানে অভিজ্ঞতা এবং যে কোনো লক্ষ্যে জনগণকে একত্রিত করার দক্ষতা থাকতে হবে।

অর্থনৈতিকভাবে দুর্নীতিমুক্ত: প্রার্থীদের একটি পরিচ্ছন্ন আইনগত ও আর্থিক রেকর্ড থাকতে হবে। মনোনয়ন কমিটিগুলো অবশ্যই প্রার্থীদের পূর্ববর্তী ইতিহাস পরীক্ষা করবেন যাতে নিশ্চিত হয় যে, প্রার্থীরা দুর্নীতি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা আর্থিক কেলেঙ্কারি থেকে মুক্ত। এটি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং বজায় রাখতে অপরিহার্য।

জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় সক্ষমতা: বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় জাতি যার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম ও সংস্কৃতি রয়েছে। প্রার্থীদের অবশ্যই সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি উৎসাহিত করার ক্ষমতা প্রদর্শন করতে হবে। তাদের বিভেদমূলক বক্তব্য এড়িয়ে চলা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নির্মাণের ওপর জোর দেওয়া উচিত।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় জাতি এবং আমাদের প্রতিনিধিদের অবশ্যই এ বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করতে হবে। দলীয় মনোনয়ন কমিটিগুলো পুরুষ প্রার্থীদের পাশাপাশি মহিলা, অন্যান্য সম্প্রদায়, নতুন প্রজন্ম এবং বিভিন্ন অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ব্যক্তিদের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে একমঞ্চে আনার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং সব জনগণের কণ্ঠস্বরকে নিশ্চিত করে।

নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্বে উৎসাহিত করা: আমাদের তরুণ সমাজ এই জাতির ভবিষ্যৎ। অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, আমাদের নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে এগিয়ে আসার জন্যও সুযোগ দিতে হবে। মনোনয়ন কমিটিগুলো অবশ্যই নতুন ধারণা, শক্তি ও জনসেবার প্রতি শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসা তরুণদের সক্রিয়ভাবে খুঁজে বের করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিনিময় প্রক্রিয়া ভবিষ্যতের দায়িত্বের জন্য এ নতুন প্রজন্মের নেতাদের উন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করতে পারে।

জবাবদিহির সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করা: দলীয় মনোনয়ন কমিটিগুলো অবশ্যই জবাবদিহিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রার্থীদের পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য ও জনগণের কাছে তাদের অগ্রগতি রিপোর্ট করার একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অবশ্যই তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন এবং তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়বদ্ধ রাখার প্রক্রিয়া তৈরি করতে হবে।

যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে ভোটারদের সচেতন করা: যদিও মনোনয়ন কমিটিগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে চূড়ান্ত ক্ষমতা ভোটারদের হাতে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের প্রার্থীদের গুণাবলি বিবেচনা করে ও সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য ভোটার সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং তারা যে প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবেন, তাদের মধ্যে ব্যবধান কমাতে সাহায্য করবে।

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপ্রকৃতি, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ, মূল্যবোধ, বিশ্বাস আস্থা এবং তরুণ ও মেধাবীদের রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি অনাগ্রহ ইত্যাদির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। তা ছাড়া রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, কালো টাকা, পেশিশক্তি ইত্যাদি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিপুলসংখ্যক ধনিক-বণিকশ্রেণির, যা ক্রমাগতভাবে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মানুষ আগের মতো পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনের চেয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সম্পর্ক উন্নয়নে অধিক মাত্রায় গুরুত্ব প্রদানে আগ্রহী হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সিংহভাগ তরুণ। তরুণরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের কারণে সচেতন ও আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রাজনীতির কলাকৌশল নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু একটি ঘটনা নয়; এটি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং সমতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্বিবেচনার একটি সুযোগ। মনোনয়ন কমিটি দ্বারা প্রার্থী বাছাই আমাদের জাতীয় ইতিহাসের পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করবে। আসুন নিশ্চিত করি যে আমরা সততা, প্রজ্ঞা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ-অনুসন্ধানী দৃষ্টি নিয়ে এ মঞ্চে একত্রিত হই। মনোনয়ন কমিটির সদস্যদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনাদের দায়িত্বসমূহ সর্বোচ্চমাত্রার যত্ন এবং আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবেন; যাতে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের সুযোগ সৃষ্টি না হয়। ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে মেসেজগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ইতিবাচক পথে অগ্রসর করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের গণতন্ত্রের ভাগ্য এবং আমাদের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা আপনাদের হাতে। আসুন সবাই একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে গড়ে তুলি এমন এক বাংলাদেশ; যেখানে সত্যিকার অর্থে জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রতিটি নাগরিকের জীবন উন্নত হয়। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক মুক্তি, প্রতিষ্ঠা করাসহ সব পর্যায়ে বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণে একতাবদ্ধ হই।

লেখক: অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিক্সনসহ ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আজহারকে মুক্তি দেন, না হলে আমাকে গ্রেপ্তার করুন : জামায়াতের আমির

সাবেক এমপি হেনরীর ৬৮ হিসাবে ২০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ 

সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিলসহ ১৯ দাবি জবি ছাত্রফ্রন্টের

এক্সপ্রেসওয়েসহ ৪ মহাসড়ক ও আট সেতুর নাম বদলাচ্ছে 

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে পদযাত্রা, পুলিশের বাধা

সাংবাদিক ইলিয়াসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সোহেল তাজ

মালয়েশিয়ায় আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল দুই বাংলাদেশির

১০

ভালো শুরু করেও ধীর গতিতে বাংলাদেশ, শান্তর কাঁধে দায়িত্ব

১১

রাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ‘প্রতীকী জানাজা’

১২

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের সময় জানাল নেপাল

১৩

সাংবাদিকদের হাতুড়ি পেটা ও হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি কারাগারে

১৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৫

নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৬

দুদিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি মজিদ

১৭

ঝালকাঠিতে ছাত্রদলের কমিটি থেকে চারজনের পদত্যাগ

১৮

বিলিয়ন ডলার ছাড়াল বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য

১৯

১৩ বছর পর সম্পর্কটা বিয়েতে গড়াল : মেহজাবীন

২০
X