জ্যোতি রহমান—কমনওয়েলথ ট্রেজারি, অস্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের একজন অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কার নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন
কালবেলা: বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার প্রধান দুর্বলতাগুলো কী কী?
জ্যোতি রহমান : সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা খুবই এককেন্দ্রিক। সব ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুঞ্জীভূত। এখানে মূল সমস্যা—প্রধানমন্ত্রী চাইলে ক্ষমতার বণ্টন করতে পারেন, আবার চাইলে খুব সহজে স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারেন। শেখ হাসিনা এই শেষের নীতিই গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রশাসনিক যে কাঠামো রয়েছে, তাতে শেখ হাসিনা না হয়ে অন্য কেউ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে হয়তো তিনি এটাই করতেন। অর্থাৎ আমি বলতে চাই, এ সিস্টেমে স্বৈরাচার তৈরি হওয়া খুবই সহজ।
হাসিনাকে স্বৈরাচার হতে এ সিস্টেম সহযোগিতা করেছে। এর মানে এই নয় যে, শেখ হাসিনার দোষকে মাফ করে দেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনা যে অপরাধগুলো করেছেন, সেগুলোর সব দায় তাকে নিতে হবে। আমি শুধু বলতে চাইছি, এ সিস্টেমে শেখ হাসিনা না আসলেও অন্য কেউ শেখ হাসিনা হয়ে আসতে পারতেন। আমাদের প্রশাসনিক সিস্টেমে এ ভয়টি সবসময়ই ছিল।
কালবেলা : বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো কি দীর্ঘমেয়াদে টেকসই বলে মনে করেন?
জ্যোতি রহমান : আমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো টেকসই মনে করি না। এ কাঠামো টেকসই নয় এবং কোনো দল স্বৈরাচারী হয়ে চিরকাল টিকতে পারবে না এটা প্রমাণিত, তবুও এখানে একটি বড় সমস্যা রয়েছে। যদি আমরা একনায়কতন্ত্রে ঢুকে যাই তবে সেই একনায়কতন্ত্র শেষ করতে হলে একটা বড় আন্দোলনের প্রয়োজন হয়, গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজন হয় অথবা রক্তপাতের প্রয়োজন হয়। আমরা এমনটা চাই না। আমরা এমন একটি সিস্টেম চাই যেখানে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটাতে হয়। আমরা চাই সঠিক গণতন্ত্র ও নিয়মিত শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার হস্তান্তর।
একনায়কতন্ত্র চালু হয়ে গেলে দুর্নীতি, অলিগার্কি, অসমতা চরমভাবে বেড়ে যায়। স্বৈরাচার চায় তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু খুঁটি তৈরি করতে। এ খুঁটিগুলোর ওপর ভর করেই সে শাসন করতে চায়। ফলে স্বৈরাচারের কাছে দেশের চেয়ে অলিগার্ক এবং ব্যাংক লুটেরাদের স্বার্থই বড় হয়ে দেখা দেয়। এ ধরনের স্বৈরশাসন ব্যুরোক্রেসি, র্যাব, সিভিল মিনিটরি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওপর নির্ভর করে চলে।
কালবেলা : বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক করতে হলে কোথায় পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করেন?
জ্যোতি রহমান : এখানে দুটি বিষয় রয়েছে। প্রথমত আমাদের বর্তমান সংবিধানে অনেক পরিবর্তন আবশ্যকীয়। আমার যতটুকু ধারণা, বর্তমান সংবিধানটি ২০১১ সালের সংশোধিত সংবিধানের অবস্থায় রয়েছে। ওই বছর সংবিধানে ১৫তম সংশোধনী আনা হয় এবং সেখানে সংবিধানের আগের অনেক কিছুই বাতিল করা হয়। এ সংবিধানটি অনেক বেশি এককেন্দ্রিক। সুতরাং এখানে রিফর্ম দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব ইতিমধ্যে পেশ করেছে। সংবিধানে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করা হয়েছে, উচ্চকক্ষে আনুপাতিক হারে সদস্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন-দুদকসহ বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে নিয়োগ হবে, সেগুলো থেকে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা বাদ দেওয়া হয়েছে। এ সংস্কারগুলো করতে পারলে ভালো হবে।
দ্বিতীয়ত, সংবিধানে সংস্কার আনার পর প্রয়োজন হবে রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ঐকমত্য ও সদিচ্ছা। যদি তারা একটি মিনিমাম আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে না পৌঁছায়, তাহলে হয়তো আমরা আবারও সংঘাতের দিকেই যাব। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মিনিমাম আন্ডারস্ট্যান্ডিং দরকার সেগুলো হচ্ছে, যারা যেখানে নির্বাচনে হারবে যদি নির্বাচনটি ফ্রি এবং ফেয়ার হয় তাহলে সেই নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়া। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এটাই হবে প্রথম পরিবর্তনের যাত্রা।
কালবেলা : আপনি অলিগার্কি নিয়ে কথা বলেছেন। এই অলিগার্ক কিংবা বিজনেস টাইকুনরা তাদের সুবিধা আদায়ে এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চায়। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সর্বশেষ মার্কিন নির্বাচনেও আমরা এই অলিগার্কদের আধিপত্য দেখলাম। এর থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় আছে কি?
জ্যোতি রহমান : অবশ্যই এটা আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সামনেও দেখা যাবে। বাংলাদেশে আশির দশক থেকে অর্থনৈতিক উল্লম্ফন শুরু হয়। সেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগে পরবর্তী কিছু বছরে কিছু পরিবার ব্যাপক সম্পদের মালিক হয়ে ওঠে। তারা কমবেশি রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে শুরু করে। কিন্তু ২০০৯ সালে হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন এই অলিগার্কদের সঙ্গে হাসিনা বড় ধরনের লিয়াজোঁ করে ফেলেন। বোঝাপড়াটা এমন যে, হাসিনা তাদের সাপোর্ট করবে, তারাও হাসিনাকে সাপোর্ট করবে।
হাসিনার সঙ্গে অলিগার্কদের সেই বোঝাপড়ার ফল ছিল অবাধ লুটপাট ও দুর্নীতির মহোৎসব। আমরা দেখলাম, ২০০৯-১০ সালে রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টগুলো তৈরি হলো, অনেক ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হলো, অনেক ব্যাংকের মালিকানা বদলে দেওয়া হলো, সরকারি বড় বড় প্রকল্পের ঠিকাদারি তুলে দেওয়া হলো তাদের হাতে; এমনকি অনেককে এমপি-মন্ত্রী বানানো হলো। এক কথায় হাসিনা এটাকে এক্সট্রিম পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু এখন সম্পূর্ণ একটি নতুন প্রেক্ষাপটে যদি দলগুলোর মধ্যে এ কমিটমেন্টটুকু তৈরি হয় যে, ফেয়ার নির্বাচন হবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে, তাহলে সিচুয়েশনটা কিছুটা ভালো হবে। কারণ প্রত্যেকে জানবে আমরা এখন যা কিছু করছি পাঁচ বছর পরে আরেকটি নির্বাচন হবে এবং আমরা যদি জিততে না পারি তাহলে আম ও ছালা সবই যাবে।
অলিগার্করাও জানে সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখলে সেটা নিরাপদ হবে না। যখন ফেয়ার এবং কম্পিটিটিভ নির্বাচন হবে তখন তারাও একটা পর্যায়ের মধ্যে থাকতে চাইবে। এগুলো হলো থিউরির কথা। প্র্যাকটিকালি এটা এত সহজে হবে না। তবে তিন-চারটা নির্বাচন ফেয়ার করতে পারলে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হবে।
কালবেলা : বিগত সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে প্রশাসন, পুলিশ, নির্বাহী বিভাগ এমনকি বিচার বিভাগও একটি আনহোলি অ্যালায়েন্সের মধ্যে ঢুকে গেছে। এমন ভয়ংকর অবস্থা খুব কম দেশেই দেখা গেছে। আপনার কি মনে হয় রাজনৈতিক দলগুলো অতি দ্রুত এ ধারা থেকে বের হতে পারবে?
জ্যোতি রহমান : প্রথমত, একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে আমাদের ব্যুরোক্রেসি, জুডিশিয়ারি, পুলিশসহ প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে তৈরি করতে হবে। আমি একটা কথা আগস্ট মাসের ৫ তারিখ থেকে বলে আসছি, সেটা হলো—গণআন্দোলনের মুখে এই অঞ্চলে অনেকবার সরকারের পতন হয়েছে। একনায়কতন্ত্র এ দেশে আগেও বারবার এসেছে। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ার পর হাসিনার মতো বায়তুল মোকাররমের খতিব কখনো পালিয়ে যাননি। এই উপমহাদেশের ইতিহাসে এমনটা কখনো ঘটেনি। এর অর্থ হলো, হাসিনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এতটাই রাজনীতিকরণ করেছিলেন যে, যার ফলস্বরূপ এগুলো ভঙ্গুর হয়ে গেছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পূর্ণরূপে রিফর্ম করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
এই রিফর্ম একদিনে হবে না। এটা আস্তে আস্তে করতে হবে। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সদিচ্ছা নিয়ে এগোতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, হাসিনার মতো প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতিকীকরণ কখনোই ভালো ফল আনবে না।
কালবেলা: বাংলাদেশ একটি বড় সমস্যা কর্মসংস্থানের স্বল্পতা। কোটা সংস্কার আন্দোলন বা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শুরুটাও ছিল মূলত বেকারত্ব বা চাকরির সুযোগ নিয়ে তৈরি হওয়া প্রশ্ন থেকে। নতুন সরকার আসার পরও গত কয়েক মাসে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক মানুষ চাকরিহীন হয়েছেন। এ বিষয়ে সরকার কী করতে পারে?
জ্যোতি রহমান : গত দেড়-দুই বছরে বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি উভয় জায়গাতেই বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। তবে এ সময়ে আমাদের দেশের সার্বিক দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ হয়নি। আমাদের সামনে অনেকগুলো নিয়ার টার্ম ক্রাইসিস ছিল যেমন—মূল্যস্ফীতি, এক্সচেঞ্জ রেট বা আন্দোলনের পরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আমরা এগুলোতেই দৃষ্টি দিয়েছিলাম। এর মধ্যে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সংকট আরও বেড়েছে। আমাদের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। আমরা তাদের জন্য কোনো সমাধান এখনো বের করতে পারিনি।
এখানে প্রথমে আমি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে চাই। আমাদের একটি বিশাল পরিমাণ যুব জনশক্তি রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেটধারী। দুঃখজনকভাবে, গত ১০-১৫ বছরে হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হয়েছে, যার আশু সমাধান নেই। বিশালসংখ্যক শিক্ষিত যুবক সার্টিফিকেটধারী হয়েছে কিন্তু তাদের কোনো দক্ষতা নেই। তাদের মধ্যে দক্ষতা তৈরির কোনো ব্যবস্থা আমরা করিনি। এটা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।
একটি দেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানের খাত হলো প্রাইভেট সেক্টর। যে দেশের প্রাইভেট সেক্টর যতটা এগিয়েছে, সে দেশের অর্থনীতি ততটাই এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশে যেহেতু এখনো ভারী বা প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠান সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই এখনো আমাদের নির্ভরতা গার্মেন্টস শিল্প এবং ডমেস্টিক সার্ভিস সেক্টরের ওপর। আমাদের এমপ্লয়মেন্ট এরিয়া মূলত এই সেক্টরগুলো কেন্দ্রিক। এখানে ততটা দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, তাই এখানে গ্র্যাজুয়েট এমপ্লয়ির দরকার নেই। আবার গ্র্যাজুয়েশন করে কেউ এ সেক্টরগুলোতে কাজ করতে আগ্রহী হয় না। ফলে গত দশ বছরে আমরা যে বিপুল পরিমাণ গ্র্যাজুয়েট সাপ্লাই করেছি, তাদের আমরা কাজ দিতে পারছি না।
আমাদের যে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত বেকার তৈরি হচ্ছে, সেখানে ছেলেমেয়েদের কোনো দোষ নেই। আমরা তাদের স্কিলভিত্তিক শিক্ষা দিতে পারিনি, এটা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি। তাই প্রথমত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আনতে হবে। এরপর আমাদের যে শিক্ষিত তরুণরা রয়েছে, তাদের কাজে লাগানো যাবে, একটি সম্মানজনক বেতন দেওয়া যাবে এমন জব সেক্টর তৈরি করতে হবে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আগামী ১০-১৫ বছর একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে।
কালবেলা : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আপনার কোনো পরামর্শ বা সুপারিশ আছে কি?
জ্যোতি রহমান : আমার দুটি সুপারিশ। প্রথমটি হলো, আপনারা দ্রুত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করুন। আমি জানি এটা খুবই কঠিন কাজ তবুও যদি বলব, এটা আপনাদের করতে হবে। আর যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে না পারেন, তাহলে আমার পরামর্শ থাকবে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্তর্ভুক্তির সরকার চায় কিছু সংস্কারকাজ করতে। এ লক্ষ্যে সরকার কিছু কমিশনও গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো এরই মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সরকারের উচিত এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে আলোচনা করা। দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটি ডিল করা যে, এ কাজগুলো এখন সম্পন্ন করা হবে।
আমরা দেখছি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদসহ একজন ব্যক্তি দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য অনেক বিষয়ে দলগুলোর একমত রয়েছে। তাই টুকিটাকি যেসব বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরির পথ সুগম হোক—এটাই প্রত্যাশা করি।
শ্রুতিলিখন: মুজাহিদুল ইসলাম