রাজনীতির ময়দানের দৃশ্যপট প্রতিদিন বদলে যাচ্ছে। আগামী দিনের প্রত্যাশিত নির্বাচন সামনে রেখে শুরু হয়েছে নানা হিসাব-নিকাশ। ‘কিংস পার্টি’ গঠন নিয়ে বিতর্ক চলছেই, বাকযুদ্ধ প্রতিদিন প্রবল হচ্ছে। নির্বাচন চলতি বছর না আগামী বছর সে বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। বর্তমানের প্রধান দল বিএনপি সর্বোচ্চ এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জারি রেখেছে। নির্বাচনে বিজয়ী হলে সমমনাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বিএনপি। দীর্ঘদিনের বৈরী রাজনৈতিক শক্তি ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে ঐক্য গড়ার পয়গাম নিয়ে সম্প্রতি চরমোনাই পীরের দরবারে হাজির হয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। সপ্তাহ না ঘুরতেই বিএনপির মহাসচিবও চরমোনাই পীরের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামী মাসে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জোর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির দ্রুত নির্বাচনের দাবির বিপরীতে ‘আগে সংস্কার ও গণহত্যার বিচার’ পরে নির্বাচন—এ দাবিতে এখনো সোচ্চার জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া নেতৃবৃন্দ। তারা সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিও জানাচ্ছেন। দল হিসেবে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে কি না, সে প্রশ্নও এখন উঠছে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের আগে জমে থাকা অসংখ্য অমীমাংসিত বিষয়ের সুরাহা করতে হবে। সরকারপ্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সামনে পাহাড়সমান সমস্যা এবং অসংখ্য রাজনৈতিক ইস্যু পড়ে আছে। বিশেষ করে নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার দরকার, সে ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বললে চলে; চারটি কমিশনের প্রস্তাবনা জমা দেওয়া ছাড়া। সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের সুপারিশমালা হস্তান্তর করে। কাজ শেষ করতে না পারায় বিচার বিভাগ ও প্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে দেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তন এবং মূলনীতি বদলানোর যৌক্তিকতা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এসব বিষয়কে স্পর্শকাতর হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দল ও অংশীমহল মনে করছে যে, ওইসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে গেলে জটিলতা এবং বিভাজন আরও বাড়বে। এ ছাড়া যে বিষয়টি সামনে চলে এসেছে, তা হলো সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, গণভোট করে না সংসদে? সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া উপস্থাপনায় তিনটি বিকল্প প্রস্তাব রেখেছে। প্রস্তাবগুলো হলো গণপরিষদ, গণভোট অথবা কী কী সংস্কার হবে; তা রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করে আগামী নির্বাচনে গঠিত সংসদে সংবিধান সংশোধন করা। সংবিধান সংস্কার কমিশনের মত হচ্ছে, ওই তিনটির মধ্যে কোন পথ বেছে নেওয়া হবে, তা ঠিক করবে সরকার এবং রাজনৈতিক দল ও অংশীমহল। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে বিএনপি, জামায়াত এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। বিএনপির বক্তব্য হচ্ছে, নির্বাচিত সংসদে হবে সংবিধানের সংস্কার। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকবে। কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করতে হবে, তাই নিয়ে হবে এ অঙ্গীকার। নির্বাচিত সংসদ এসব বিবেচনায় নিয়ে সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে। তবে নির্বাচনের আগেই সংস্কার চাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের বক্তব্য হলো, নতুন সংবিধানের অধীনে নির্বাচন এবং পরবর্তী সংসদ গঠিত হবে। নির্বাচনের আগে সংস্কার না হলে পরে তা আর নাও হতে পারে বলে মনে করে দলটি। ফ্যাসিবাদী শাসন অবসানে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতৃত্ব চাচ্ছেন, গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করা হোক। সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর গণপরিষদই সংসদে রূপান্তরিত হবে বলে তারা মনে করেন।
চারটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে সরকার এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো মতবিনিময় বা বৈঠক করেনি। তবে সংস্কারের সুপারিশের বৈঠকের আগেই সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে যে, ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ চলছে। তবে এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই বললেই চলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি জানাচ্ছে। জানুয়ারি মাস শেষ হচ্ছে। আর কয়েক দিন পর অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস অতিবাহিত হবে। সরকারের সামনে বিস্তর কাজ ও কঠিন চ্যালেঞ্জ পড়ে আছে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে এবং সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কবে নাগাদ বৈঠক শুরু করবে, সেদিকেই রাজনৈতিক মহল ও অংশীদারের নজর। এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি, তাতে করে সংস্কারের প্রস্তাবনা ও ঘোষণাপত্র নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো দুরূহ হবে বলেই মনে হয়।
এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের প্রশ্নে ছাত্র নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনে যথেষ্ট উত্তাপ ছড়ায়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যদি সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে তো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’ রাষ্ট্র সংস্কার নির্বাচিত সরকারেরই করা উচিত বলে তিনি ওই সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন। বিএনপি মহাসচিবের ‘নিরপেক্ষ সরকার’ বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। নাহিদ ইসলাম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘১/১১-এর বন্দোবস্ত থেকে আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।’ ফেসবুকে নাহিদ ইসলাম আরও লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারিনি, এত হত্যা ও অপরাধের পরেও।’ আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘পেশাদারিত্ব রক্ষার্থে সরকারে থেকে অনেক কিছুই বলতে পারি না। তবে জনগণকে অন্ধকারে রাখাটাও অনুচিত। সরকারে থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতার বিরুদ্ধে আমরাও। কোনো উপদেষ্টা রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলের ও সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা অনুচিত।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যখন দেশ সংস্কারের কাজে নিয়োজিত, তখন বিএনপি বলল, এ সংস্কার করার ম্যান্ডেট বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও জুলাই স্পিরিট ধারণকারী ছাত্র-জনতার সম্মেলনে যখন নতুন একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান হওয়ার আভাস পেল, তখনই বিএনপি সেটিকে চিহ্নিত করল তাদের দলীয় স্বার্থের বিপক্ষ হুমকি হিসেবে।’ হাসনাত তার ফেসবুকে আরও লিখেছেন, ‘বিএনপির এক সিনিয়র নেতা আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের কোনো দ্বন্দ্ব না থাকার কথা বললেন অকপটে। অথচ তিনি ভুলে গেলেন, এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে। গুম-খুন ও গণহত্যা করে বাংলাদেশকে অরাজকতার শীর্ষ চূড়ায় নিয়ে গেছে।’
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ধরনের মাস্টার প্ল্যান রয়েছে কি না, এ প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সচিব রুহুল কবির রিজভী। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “যখন শুনি ‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’—এ যেন শেখ হাসিনার সেই কথারই প্রতিধ্বনি ‘আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র’। এ ধরনের বক্তব্য কোনো উপদেষ্টার কাছ থেকে শোভা পায় না।” সরকার নিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা তো এও শুনছি, সরকারের ভেতর থেকে কেউ কেউ রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছেন। তাহলে তো সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনগণ প্রশ্ন করতেই পারে।’
বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে নির্বাচন, সংস্কার, ‘কিংস পার্টি’ নিয়ে যখন বাকযুদ্ধ চলছে, তখন জামায়াতে ইসলামী নতুন রাজনৈতিক মিত্রের সন্ধান করে চলেছে। এক সময়ের মিত্র বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় জামায়াত এখন দলকে শক্তিশালী করা এবং রাজনৈতিক জোট গঠনের দিকে অনেক বেশি মনোযোগ দিয়েছে। আর তাই জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ‘বিভেদ ভুলে ঐক্যের দাওয়াত’ নিয়ে চরমোনাই পীরের দরবারে হাজির হন গত ২১ জানুয়ারি। চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির। এই দলটি ধর্মভিত্তিক অন্য দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে আক্রমণ করে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে থাকে। জামায়াতে ইসলামীর কোনো দায়িত্বশীল নেতা এর আগে কখনো চরমোনাই পীরের দরবারে যাননি। তাই জামায়াতের আমিরের চরমোনাই পীরের দরবারে হাজির হওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার খোরাক হয়েছে। এর কয়েক দিন পর রাজধানীতে দলের এক অনুষ্ঠানে চরমোনাই পীর জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একক বাক্স দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা যে, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলোর একটি জোট গঠনের সম্ভাবনা প্রবল। এ বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে ভেতরে ভেতরে আলাপ-আলোচনা চলছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত সোমবার ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীরের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পীর সাহেব ও বিএনপি মহাসচিব ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি শরিয়াহবিরোধী কোনো বক্তব্য না দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা দশটি বিষয়ে একমত হয়েছেন। বৈঠকে ভোটকেন্দ্রিক ঐক্য গড়ার বিষয়েও আলোচনা হয় বলে তিনি জানান। চরমোনাই পীরের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের বৈঠকের পর এক সপ্তাহের মধ্যেই বিএনপি মহাসচিবের এ বৈঠককে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন হিসাব-নিকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তাদের দল গঠন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফেব্রুয়ারির মধ্য থেকে শেষ ভাগে ছাত্র নেতৃত্বের দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। বিএনপি ছাত্র নেতৃত্বে দল গঠনকে সন্দেহের চোখে দেখছে। তবে নতুন দলের উদ্যোক্তারা সংসদীয় আসন, উপজেলা ও ইউনিয়নে বিএনপির দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দলে টানার চেষ্টা করবেন, সংবাদপত্রের খবরে এমনটাই আভাস দেওয়া হয়েছে। ছাত্রনেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য দলের নেতাদের জন্য নতুন দলের দরজা খোলা থাকবে। রাজনৈতিক অঙ্গনের নানা সমীকরণ, সংস্কার, নতুন দল এবং জোট গঠনসহ হিসাব-নিকাশ কোন গন্তব্য গিয়ে মিলবে; সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। আগামী দিনের রাজনীতিতে অনেক নাটকীয়তা ঘটবে, থাকবে চমক—এ আভাস এখনই দেওয়া যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলাম লেখক