জাকির হোসেন
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২২ এএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রান্তিকালের কথকতা

বাকশালের রূপ ও স্বরূপ

বাকশালের রূপ ও স্বরূপ

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান মারা গিয়েছিলেন বাকশালের চেয়ারম্যান হিসেবে, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নয়। বাকশালকেই তিনি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ দর্শন বলে দাবি করেছিলেন। শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ পঁচাত্তরের ৩০ আগস্ট এক আদেশবলে বাকশাল গঠনের আদেশকে বাতিল করেন। ফলে ওইদিন থেকে শেখ মুজিব কর্তৃক বিলুপ্ত আওয়ামী লীগ পুনর্জন্ম লাভ করে। এই বিবেচনায় আওয়ামী লীগের নবজন্মের জনক হচ্ছেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। এটাই হলো ঐতিহাসিক সত্য। এই সত্যকে অস্বীকার করার নৈতিক শক্তি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তো বটেই; খোদ ইতিহাসেরও নেই।

আজ ২৫ জানুয়ারি। বাকশাল প্রতিষ্ঠার সেই কালো দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে রচিত হয়েছিল এই কালো অধ্যায়ের। ওই বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান পেশকৃত চতুর্থ সংশোধনী বিল সংসদে পাস হয়। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন তথা বাকশাল গঠনের পথ উন্মুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার চালু করা হয়। বিল পাসের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতিতে পরিণত হন। এক নজিরবিহীন ন্যূনতম সময়ের মধ্যে (মাত্র ১১ মিনিট) চতুর্থ সংশোধনী বিলটি সংসদে গৃহীত হয় এবং তা আইনে পরিণত হয়। দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব হলেও বিলটি নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা বা বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বিলের মাধ্যমে প্রশাসন ব্যবস্থায় এক নজিরবিহীন পরিবর্তন সাধন করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান দেশের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকারী হন। আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে তিনি এবং তার আত্মীয়স্বজনরা রাষ্ট্রের সবরকম ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন। ইতিহাসের এক নির্মম পরিহাস এই যে, বাকশাল গঠনের পদক্ষেপকে তিনি তার দ্বিতীয় বিপ্লবের সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। আর এ তথাকথিত বিপ্লবকে বাস্তবায়িত করতে শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের সব মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেন। অবরুদ্ধ করেন মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা।

চতুর্থ সংশোধনী বিল পাসের এক মাস পর পঁচাত্তরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে ‘বাকশাল’ গঠন করেন। একই সঙ্গে নিজেকে এই দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন। পাশাপাশি দল পরিচালনা এবং দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও একক ক্ষমতার অধিকারী হন। অর্থাৎ দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চার কোনো সুযোগ ছিল না। দলের মধ্যে যে কোনো পদে থাকবেন এবং কী দায়িত্ব পালন করবেন এটা নির্ধারণ করার এখতিয়ার একমাত্র শেখ মুজিবের। তার বাইরে অন্য কারও কিছুই করার ছিল না। আবার কয়েকটি দলের মাধ্যমে বাকশাল গঠিত হলেও দলের মধ্যে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের ছিল না কোনো কর্তৃত্ব। এভাবে শেখ মুজিবুর রহমান ওই সময় সরকার, সংসদ, রাষ্ট্র, সমাজ এবং রাজনৈতিক অঙ্গনের একাধিপতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

বাকশালের বাইরে স্বতন্ত্র উপায়েও কেউ যাতে সংসদ সদস্য হতে না পারেন সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছিল এইভাবে যে, তখনকার সংসদে যারা সদস্য ছিলেন তাদের সবাইকে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকশালে যোগ দিতে বলা হয় এবং কোনো সংসদ সদস্য যদি তা না করেন, তাহলে তার সংসদ সদস্যের পদ বাতিল হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়। আবার ভবিষ্যতে বাকশালের বাইরে কেউ যাতে সংসদ সদস্য না হতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হয় যে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বাকশালের দ্বারা রাষ্ট্রপতি বা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত না হন, তাহা হইলে অনুরূপ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি বা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।’ এ ছাড়া চতুর্থ সংশোধনী দ্বারা এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় যে, ওই সংশোধনী পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে যান কোনো ভোট গ্রহণ ছাড়াই। ওই পদে তিনি থাকবেন পরবর্তী পাঁচ বছর। সংসদের মেয়াদ পৌনে দুই বছর অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সে সময়কার জাতীয় সংসদের মেয়াদ বাড়িয়ে আরও পাঁচ বছর করা হয়। শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংবিধানকে উপেক্ষা করে শেখ মুজিব তার ক্ষমতার মেয়াদ পৌনে দুই বছর বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা বিনাভোটের নির্বাচন করেছেন, দিনের ভোট সম্পন্ন করেছেন গভীর রাতে, নজির সৃষ্টি করেছেন ডামি নির্বাচনের। কিন্তু সংসদের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াননি। শেখ মুজিব তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে এই নজিরবিহীন কাজটিও করেছেন।

বাকশালের দর্শন বাস্তবায়নের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন দেশের সবকটি দৈনিক সংবাদপত্র বিলুপ্ত করেন। শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ অবজারভার এবং বাংলাদেশ টাইমস—এ চারটি পত্রিকা সাময়িকভাবে প্রকাশনার সুযোগ দেওয়া হয়।

এর আগে ওই বছরের ৭ জুন বাকশালের গঠনতন্ত্র কার্যনির্বাহী ও কেন্দ্রীয় কমিটি, পাঁচটি ফ্রন্ট এবং এর কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় দলের চেয়ারম্যান হিসেবে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল পদে প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলীর নাম ঘোষণা করেন। জিল্লুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মনি ও আবদুর রাজ্জাককে দলের সেক্রেটারি করা হয়। আর ফ্রন্ট পাঁটটি হলো—জাতীয় কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, জাতীয় যুবলীগ ও জাতীয় ছাত্রলীগ। এর সম্পাদকরা হলেন যথাক্রমে ফণীভূষণ মজুমদার, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, বেগম সাজেদা চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ এবং শেখ শহীদুল ইসলাম। ১৫ জনকে নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ১১৫ জন সদস্য রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

চতুর্থ সংশোধনী বিষয়ে ওই সময় বিশ্বনেতাদের কিংবা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কোনো মন্তব্য পত্রপত্রিকায় পাওয়া যায়নি। তবে এসব ঘটনায় তখন দিল্লিতে গণতন্ত্রমনারা ভীষণ মর্মাহত হয়েছিলেন এবং জয়প্রকাশ নারায়ণ এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘মুজিবকে আমরা গণতন্ত্রের বরপুত্র হিসেবে জানতাম। আমাদের ধারণা, ভারতের পরামর্শে তিনি এটা করেছেন।’ তার এ বক্তব্যের সত্যতা মেলে চতুর্থ সংশোধনী বিল পাসের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার দিনই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর অভিনন্দন বার্তার মাধ্যমে। ওই অভিনন্দন বার্তায় ইন্দিরা গান্ধী বাকশাল এবং শেখ মুজিবের সাফল্য কামনা করেন।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান মারা গিয়েছিলেন বাকশালের চেয়ারম্যান হিসেবে, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নয়। বাকশালকেই তিনি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ দর্শন বলে দাবি করেছিলেন। শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ পঁচাত্তরের ৩০ আগস্ট এক আদেশবলে বাকশাল গঠনের আদেশকে বাতিল করেন। ফলে ওইদিন থেকে শেখ মুজিব কর্তৃক বিলুপ্ত আওয়ামী লীগ পুনর্জন্ম লাভ করে। এই বিবেচনায় আওয়ামী লীগের নবজন্মের জনক হচ্ছেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। এটাই হলো ঐতিহাসিক সত্য। এই সত্যকে অস্বীকার করার নৈতিক শক্তি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তো বটেই খোদ ইতিহাসেরও নেই। তাই শেখ মুজিবকে যারা ভালোবাসেন এবং খন্দকার মোশতাককে যারা ঘৃণা করেন, তাদের উচিত আওয়ামী লীগের ব্যানারে বাকশালি আচরণ না করে সরাসরি বাকশালের ব্যানারে রাজনীতি করা। এতে শেখ মুজিবের আত্মা শান্তি পাবে। যে দলটি শেখ মুজিব বিলুপ্ত করেছিলেন, খন্দকার মোশতাক যে দলের পুনর্জন্মদাতা সেই দলের ধ্বজাধারী হয়ে মুজিবপ্রেমিক হিসেবে দাবি করাটা রাজনৈতিক প্রহসন বৈ অন্য কিছু নয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে আওয়ামী দুঃশাসনের ফলে দেশে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, যারফলে অনেকে মনে করেছেন, দেশটা পাকিস্তান থাকলেই ভালো ছিল। কারণ দেশের তখন আইনকানুন বলে কিছু ছিল না। মুজিব পরিবারের সদস্যরা এবং আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা চারদিকে দাপিয়ে বেড়াত। তাদের প্রধান কাজ ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুতদারি, লাইসেন্স-পারমিট ব্যবসা, মানুষের জায়গাজমি দখল, নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজি, সর্বোপরি নারী ধর্ষণ, গণলুণ্ঠন এবং ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া। শেখ মুজিব তার নিজের ব্যর্থতা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই বলে যে, ‘মানুষ পায় সোনার খনি আর আমি পেলাম চোরের খনি।’ বলেছেন, ‘পাকিস্তানিরা সব নিয়ে গেছে, শুধু চোরগুলো রেখে গেছে, এই সব চোর নিয়ে গেলে আমি বাঁচতাম। আমি বিদেশ থেকে ভিক্ষে করে আনি, চাটার গুষ্টি সব চাইট্যা খাইয়া ফ্যালা দেয়। আমার গরিব কিছু পায় না।’ শেখ মুজিব এ ধরনের সস্তা বুলি আওড়ালেও দলের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিপরায়ণ এবং দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন এবং নিজের ক্ষমতাকে একচ্ছত্র করতে আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে গঠন করেছিলেন বাকশাল।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। দলটির প্রতিষ্ঠালগ্নে শেখ মুজিব ছিলেন জেলে। তবুও মওলানা ভাসানী তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। দুই নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। তিনি তাকে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করার জন্য মওলানা ভাসানীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিবের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ মওলানা ভাসানী খন্দকার মোশতাকের আবদার উপেক্ষা করেছিলেন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, সেই মওলানার জন্মদিন এবং মৃত্যু দিবস পালনে আওয়ামী লীগ নেতারা শুধু নিঃস্পৃহই থাকেননি, তাচ্ছিল্যও দেখিয়েছেন।

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতামূলক পরামর্শ

আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ডিইউএমসিজেএএ’র

আ.লীগ নিষিদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

তিলকারত্নের বিদায়: নারী দলের কোচ খুঁজছে বিসিবি

রূপগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত ২ কিশোরের মৃত্যু

টেন্ডার ছাড়াই ৭০ হাজার টাকায় ১৮ বিঘা জমি নিলেন বিএনপি নেতা

সরকারি চাকরির স্বেচ্ছায় অবসরের বয়স-পেনশন নিয়ে যেসব প্রস্তাব

হাজিদের মোটা অঙ্কের অর্থ ফেরত দিচ্ছে এশিয়ার মুসলিম দেশ

‘বিএনপি ও প্রশাসনের কতিপয় লোকজন আ.লীগকে রক্ষা করছে’

ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে নির্বাচন যেন বিলম্বিত না হয় : সাইয়েদুল আলম

১০

বিইউ’র নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম

১১

কামরুলের ১৫ হিসাবে সাড়ে ৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

১২

দেশকে খুনি হাসিনা ধ্বংস করে গেছে : ড. খন্দকার মারুফ

১৩

রংপুর শহরে বন্ধ সব পেট্রল পাম্প, ভোগান্তি চরমে

১৪

কমেছে বিদেশগামী অভিবাসীর সংখ্যা, বেড়েছে নারীদের বিএমইটি নিবন্ধন  

১৫

পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

১৬

বাংলাদেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ

১৭

৫০ হাজার টন গম এলো আর্জেন্টিনা থেকে

১৮

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় খালাস পেলেন যারা

১৯

নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য নাম ও প্রতীক চাইলেন শিক্ষার্থীরা

২০
X